ঢাকা সময় আজ সকালে একটা অনিচ্ছাকৃত বাগের কারণে মন্তব্যগুলো প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু মন্তব্যের কাউন্টার দেখাচ্ছে বেশী। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। সমস্যাটি সমাধাণ করা হয়েছে।
[justify]যেদিন নরপশু রাজাকার কাদের মোল্লার বিচারের রায় হল সেদিন সেই ৫ই ফেব্রুয়ারি ছিল আমার অসম্ভব ব্যাস্ততার দিন। খুব সকালেই কর্মস্থলে প্রবেশ, ইন্টারনেট তো অনেক পরের কথা মোবাইল ব্যাবহার করার সুযোগটাও পাইনি। রায় জানতে পারিনি দুপুর পর্যন্ত, কিন্তু রায় নিয়ে মনে কোন সন্দেহ ছিলনা। সাময়িক কাজের বিরতিতে যখন- একজনকে কেন মাত্র একবারই ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো যায়, একথা ভাবছিলাম তখনি এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ফোনে বিরাট ধাক্কা। এটা কিভাবে সম্ভব, কাদের হারামিটার ফাঁসি হয় নাই ???
শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে গড়ে ওঠা আন্দোলন আমাদের গোটা জাতিকে একটি ক্রান্তিকালীন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে! আজকে সময় এসেছে আত্ম-উপলব্ধির, সময় এসেছে আত্ম-সমালোচনার, সেই সাথে শত্রু মিত্র-কে বোঝার – যা আমাদেরকে ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা প্রদান করবে।
দার্শনিক ফুরিয়ের প্রগতির সম্ভাবনায় এতটাই আপ্লুত ছিলেন যে, ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন, মানুষ একদিন স্বীয় ক্ষমতাবলে সমুদ্রকে পরিণত করবে লেবুর শরবতে, যখন পৃথিবীতে হোমারের মত কবি থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, নিউটনের মত বিজ্ঞানী থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, মলিয়ের মত নাট্যকার তিন কোটি সত্তর লাখ। ফুরিয়েরের ভবিষ্যতবাণীতে অতিশয়োক্তি রয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে রয়েছে স্বপ্ন, যার দৌলতে প্রগতির পথে পা বাড়াতে পারে চিরকালের
ফাল্গুনের হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা বিস্রস্ত শাহবাগ প্রজন্ম চত্তর। ভোর হলেই শুরু হবে পিশাচের ঘোষিত সদম্ভ হরতালের সময়। আগের রাতেই নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন ব্লগার রাজিব। ব্যাক্তিগতভাবে না চিনলেও, রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে মাঠে নেমেছিলেন বলেই তাকে যেতে হলো অকালে। শুধু হত্যায় থেমে থাকেনি তারা, অনলাইনে এবং কিছু চিহ্নিত সংবাদমাধ্যমে তার নাস্তিক পরিচয়, তার লেখা ব্লগকে (?) আলোচনায় এনে প্রমাণ করার চেষ্টা চালানো হলো