বাতাস বলে, আমি বইতে চাই
পাল বলে, বইতে দেবোনা, এই ফুলে দাঁড়ালাম
এ হেন দ্বন্দ্বে মাঝি বড়ই আহ্লাদিত!
ডাল গুড়ো করার যাঁতাকলে ক্যাঁচর ম্যাঁচর শব্দ করে ডাল পিশাচ্ছে ব্লাউজ না-পড়া দুটি পৌঢ়া; যে কুটনী মহিলা তাদের এই কাজের তদারকি করতে এসে চেয়ারে বসে গুড়গুড় করে হুক্কা টানছে তার গায়েও ব্লাউজ ছিল না,- কাছেই জানালার ফাঁক গলে ভেসে আসছে ঘেঁটুপুত্র কমলার ফুঁপানো কান্না। তার কান্না ল্যাপটপ থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে আমাদের মাথায় নেশা ধরায়, স্তব্ধ স্থির পাতলা কুয়াশার মত ঝুলে থাকে ঘরের ছাদের নিচে। আমরা কমলার কান্ন
শাহবাগ আন্দোলনের ১৭তম দিনে পুরো ২৪ ঘণ্টা প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর ছবি তুলে বানানো হয়েছে প্রায় দুই মিনিটের এই টাইম-ল্যাপস ভিডিওটা। শাহবাগ আন্দোলনের বিশালত্বকে ধরে রাখার আরেকটা প্রচেষ্টা বলতে পারেন।
বেশ কদিন ধরেই খবরের কাগজে দেয়া বইয়ের বিজ্ঞাপনগুলো রোদেলার চোখের ঘুম কেড়ে নিচ্ছিল। গতবার মনের সাধ মিটিয়ে বই কেনা হয়নি ওর। বাপরে বাপ, কী ভিড় স্টলগুলোর সামনে!
গত ০৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলে আসা শাহবাগের আন্দোলনের কারণে আজ যুদ্ধাপরাধী , জামাত শিবির, রাজাকার এই শব্দগুলো আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের মনের শব্দকোষে একটি ঘৃণ্য জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমার ঘরের মাত্র আড়াই বছরের শিশুটিও মাঝে মাঝেই বলে উঠছে রাজাকারের আস্তানা জালিয়ে দাও গুড়িয়ে দাও। এই ছোট্ট শিশুটির মনে আজকে যেই ঘৃণা যেই ক্ষোভ তাও এই শাহবাগ আন্দোলনের একটি বড় অর্জন। আমার বিশ্বাস আমার ছেলের মত আজ প্রতিটি ঘ
"দেশ, কাল ও শান্তির কথা ভেবে রয়েছি আমরা নীরব
যখন নীরবতা ওরা দুর্বলতা ভাবে রক্ত করে টগবগ"
রক্ত ফুটছে... সকাল থেকে এই খবরগুলো দেখে...
গভীর রাতে গ্রামের বাড়ির কাঠের জানলায় ছন্দ করে দুবার টোকা দেবার খটখট শব্দ। রিনা ঘুমনোর জন্য কেবলই শুয়েছিল। কিন্তু, এই শব্দ তার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সে বিচলিত হয়ে তারাতারি উঠে পড়ল। জানালা খুলল। নিঝুম অন্ধকারে চারিদিকে ঝি ঝি পোকার শব্দ।
রিনা, কেমন আছো ?
ভাল। এতরাতে তুমি ? ভিতরে আসো।
না। আসতে পারব না। তোমার কথা মনে পড়ল। তাই তোমাকে দেখতে আসলাম। বাবু কি করে ?