শাহবাগে আজ সচলায়তনের সদস্যরা অন্য দিনের মতোই জড়ো হয়েছিলেন, তবে এবার সচলের ব্যানার নিয়ে। শাহবাগে জড়ো হওয়া আনুমানিক তিন লক্ষ মানুষের ভিড় থেকে বেতারায়তনের বই-দেশিক আড্ডায় তিনজন সচল এসে উপস্থিত হয়েছিলেন গতকাল রাতে। আড্ডায় ছিলেন ওডিন, সুরঞ্জনা, স্যাম ও হিমু।
সাথে রাজাকার ফাসির দাবীতে সোচ্চার শাহবাগ সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গার চলমান আন্দোলনের খবর শুনছিলাম অপেক্ষা করছিলাম লন্ডনেও এমন কিছু হয় কিনা। অবশেষে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি ইভেন্ট থেকে জানতে পারি শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে শুক্রবার আলতাব আলী পার্কে থাকার ডাক দেয়া হয়েছে। সাথে সাথেই টেক্সট মেসেজে বন্ধু বান্ধবকে ব্যাপারটা জানিয়ে দেই। সবাই তখন চরম উৎসাহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত একজন আমার দাওয়াত কবুল করেছে সে যাইহোক একজনই বা কম কিসে?
দুপুর ২টা থেকে শুরুর হওয়ার কথা থাকলেও আমার সেখানে পৌছতে একটু দেরি হয়ে যায়। ততক্ষনে দাবী আদায়ের স্লোগান পুরো দমে শুরু হয়ে গেছে। এত মানুষ দেখে মন ভরে উঠল। বেশ কয়েক জায়গা থেকে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল।
শাহবাগে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অবস্থান নিতে শুরু করার পর থেকেই অস্থির হয়ে উঠছিলাম। একেতো হরতাল, ঘর থেকে বের হওয়া হয়নি, ফেসবুক বা বন্ধুবান্ধব পরিচিতজনদিয়ে রাজশাহীতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ সমাবেশের কোন আওয়াজই যেন ছিলো না অন্তত প্রথম দিনটা।
এটা ঠিক রাজশাহীতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নড়াচড়াও যেন ঢাকার হাইকমান্ড না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক শুরু হয়ে ওঠে না তা আজ বছর তিরিশেক ধরেই। বাবা-মাদের তরুণ যুগের রাজশাহী আর এখনকার শহরে অনেক ফারাক। তা সেই ফারাকটা মনে হয় জেনেরেশন গ্যাপ-ই হবে, শুধু আমার শহর না, পুরো দেশ জুড়েই। সবখানেই যেন আমরা আমাদের প্রজন্ম 'ধরি মাছ, না ছুঁই পানি' করে পাশ কাটিয়ে যেতে চাই সব ইস্যুকেই।
যখন বেশ ভালো রকমের বিরক্তি নিয়ে নিজেদের দম ফেলার ছোট্ট পরিসর ‘আমাদের রাজশাহী’ গ্রুপে জিজ্ঞেস করছি, “ঘটনা কী, জাগো বাহে, কুন্ঠে সবাই? “ হুট করেই চোখে পড়লো রাজশাহীর সাধারণ শিক্ষার্থীদের তৈরি করা দু’টো ছোট্ট ইভেন্ট। আলুপট্টির মোড়ে কসাই কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে সমবেত হতে ৭ তারিখ দুপুর আর ৮ তারিখ বিকেলে আহ্বান জানানো হচ্ছে রাজশাহীবাসীকে।
৪ দিন হল শাহবাগ চত্বর প্রজন্ম চত্বরে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ছিলাম, সে যেন এক প্রাণের মেলা, তারুণ্যের জাগরণ। একটা দল, নাম নেই, ব্যানার নেই, কিছু তরুণ তরুণীর স্লোগান আছে শুধু। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, আমাকে দলে ডেকে নিল। শুরু করলাম তাদের সাথে স্লোগান দেয়া।
ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
গ-তে গোলাম আজম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
তোমার অর্জুন একটা বেশ্যা মাগির পুত। নিজের মায়ে তার শুইছে বারো মাইনসের লগে তাই আমারেও সে বিলাইয়া দিছে পাঁচ ভাইয়ের বিছানায়। কর্ণ কি মিথ্যা কয় আমি একটা বেশ্যা? একটা বেশ্যারে জুয়ার দানে তুইলা দিতে যুধিষ্ঠিরের যেমন যায় আসে না তেমনি একটা বেশ্যারে কেউ বিবস্ত্র করলে অর্জুনেরও আসে যায় না কিছু...
এক এক-এ এক
রাজাকারের মুখোশ খুলে একটু খুঁজে দেখ!
দুই এক-এ দুই
জানলে পরেই বলবে তুমি- ‘তুই রাজাকার’ তুই!
তিন এক-এ তিন
রাজাকারের ফাঁসির দাবী দেশমাতৃকায় ঋণ!
চার এক-এ চার
ঘাপটি মারা দালালেরা আর পাবেনা পার!
পাঁচ এক-এ পাঁচ
সমাজে নয়; বনের পশু চিড়িয়াখানায়, পারলে বনে বাঁচ!
ছয় এক-এ ছয়
একটা বুকভরা শ্বাস টানলে পরে দূর হবে সব ভয়!
সাত এক-এ সাত
যুদ্ধ মানে তোমার হাতে আমার হাতে হাত!
৪১ বছর ধরে একটা বাড়িতে ছিলাম!
নতুন বাড়িতে উঠে সবকিছু মানিয়ে নিতে, ঘরটাকে সাজাতে ও নানা ঝামেলায় ঘর কখনো পরিষ্কার করা হয়নি।
কিন্তু এখন আর এই বাড়িতে শ্বাস নেয়া যাচ্ছে না- কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ও রোগ-জীবাণু তে ঘরে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঘরের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সব কাজ-গোসল-রান্নাবান্না-ঘুমানো-বাথরুম করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের সহযোগীদের প্রতিবাদ সংকলন
[justify]অনেকদিন ধরে একটা গল্পের প্লট মাথায় ঘুরছিল। একটা মেমরি শপের গল্প। সেটা হল, একটা কর্পোরেশন, যারা মানুষের স্মৃতি, স্বপ্ন ইত্যাদি নিয়ে একটা ভার্চুয়াল দুনিয়া তৈরি করে, একটা মেয়ে সেই কোম্পানিতে গিয়ে খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন মানুষের স্মৃতি, স্বপ্ন টুকরা মিলিয়ে তার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের দেশ তৈরি করে। গল্পটা মাথার ভেতরে লেখা হয়ে ছিল, কিন্তু কাগজে কলমে লিখতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ, সেটা একটা নি