[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
"স্যার"দের সমীপে
-------------------------
চোখ রাঙায়া ভয় দেখালে
“কসাই কাদের”, মইত্যা
তাই বলে কি বিবেক নিয়া
যাবেন পিছু হইট্যা ?
কিংবা যদি কেউবা সাধে
পান, কলিজু, লইট্যা
দেশের কথা ভুইলা তাতে
যান গা যদি পইট্যা
তাকায় দেখেন আমজনতা
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।
সময়টা মনে হয় ছিয়ানব্বইয়ের দিকে হবে। চ্যানেল ফোরের একটা ডকুমেন্টারি দেখছিলাম বাসায় সবাই মিলে। তাতে ব্রিটেনে পালিয়ে থাকা একাত্তরের ঘাতক দালালদের কুকীর্তির বর্ণনা, আর তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছিল। পুরো ডকুমেন্টারিটা দেখে ক্ষেপে গিয়ে আব্বুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই লোকগুলো বাংলাদেশি, তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বাংলাদেশের সাথে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ব্রিটিশ মিডিয়া, আর তাদের বিচার হবে ব্রিটেনে? আমরা কি এতটাই অক্ষম? আমরা নিজেরা এদের বিরুদ্ধে কিছু করবো না?
হাজার মানুষ হত্যা করেও
যাচ্ছে বেঁচে কাদের,
কাঠখড় এত ভস্ম করে
এই কি বিচার তাদের!
[justify]
শাহবাগ এসে রিকশা আটকে গেলো। সামনে অবরোধ করেছে একদল তরুণ। রাস্তা ঘিরে ওরা গোল হয়ে বসে আছে। গান গাইছে। কোন ভাঙচুর নেই, ধ্বংস নেই। ক্ষোভ আছে, বিহবলতা আছে।
ঈশ্বর জলদগম্ভীর স্বরে বলিলেন, কাবিল, তোমার বিরুদ্ধে ভাতৃহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে। গত শতকে যৌবনকালে তুমি তোমার সহোদর হাবিলকে চাপাতি দ্বারা কোপাইয়া হত্যা করিয়াছিলে।
বৃদ্ধ কাবিল মিটিমিটি হাসিল শুধু।
ঈশ্বর কহিলেন, হাবিলকে হত্যা করিয়া তুমি তাহার বাটী গমনপূর্বক তাহার স্ত্রীকে ধর্ষণ করিয়াছিলে, এই অভিযোগও প্রমাণিত।
বৃদ্ধ কাবিল পরম তৃপ্তিতে চক্ষু মুদিল।
বাংলার মাটিতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে চান, তাদের জন্য আজ এক বিশেষ খুশির দিন। জামায়াতে ইসলামীর এক উচ্চপদস্থ নেতা কাদের মোল্লার ৭১এর অপরাধ আজ আদালতে প্রমাণিত। আইসিটির রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু ফাঁসির রায় না হওয়ায় আমাদের অনেকেই বিক্ষুব্ধ ও হতাশ। সেই হতাশা থেকে কি আমাদের আজকের দিনের বিশাল অর্জনকে কিছুটা হলেও আমরা ভুলতে বসেছি?
মধ্য বয়সে এসে এমন একটা ক্যাচালে জড়িয়ে পড়বেন স্বপ্নেও ভাবেননি খবিরউদ্দিন। বিশ বছর ধরে সরকারী চাকুরী করে যা কামিয়েছিলেন তা দিয়ে শহরে দুইটা বাড়ি তৈরী করে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। আরো দশ বছর এই চাকরীতে আরাম করে কাটানো যাবে।