আমার মা । আমার জীবনের প্রথম আলো । মায়ের হাত ধরেই রবীন্দ্রনাথ এসেছেন আমার জীবনে । শৈশবের “বীরপুরুষ” কবিতার শিশু রবীন্দ্রনাথ ক্রমশঃ বড় হয়েছেন আমার জীবনে । এক সময়ে আমি জেনেছি, মেঘে ঢেকে যাওয়া বিধুর গোধূলি গগনের গান ছাড়িয়ে আমার মা রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনকে ভালবেসেছিলেন । যে রবীন্দ্রনাথ একলা বাহির হ’ন পরমেশ্বরের অভিসারে ও লজ্জিত হ’ন নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী আত্মগৌরবের, তিনিই লিখেন “অচলায়তন” ।
১
শুকরিয়া আদায় করিয়া এই লেখাটা শুরু করিলাম, কারণ এই দেশে 'আপত্তিকর' কোন কিছু আর মানিয়া নেওয়া হইবেনা। যদিও আপত্তিকর এর সংজ্ঞা এখনও জানা নাই। সরকার মহোদয় ফরমাইয়েছেন যে - 'আপত্তিকর' কোন কিছু দেখলেই ঠুশ করে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে। নালিশ ঠুকার ঠিকানা, complainmoha@gmail.com । এই তড়িৎ ডাক(ইমেইল) ঠিকানাখানা লেখা আকারে(প্লে
শাহবাগ আন্দোলনের একেবারের শুরুর দিকের কথা। কুখ্যাত রাজাকার কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার প্রত্যাশিত ফাঁসির রায় না পাওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ তখন জ্বলে উঠেছে। সেই আগুনের সবচেয়ে বড় শিখাটি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে শাহবাগে। শিখার আগুন শুধু শাহবাগে স্থির থাকে না, আমরা জানি সেই আগুন বাংলার প্রতিটি মানুষের বুকে, সেই আগুন বাংলার প্রতিটি অলিতে গলিতে। আমরা যেইসব দুর্ভাগা স্বার্থপর, যারা সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেশের ব
সারারাত উৎকণ্ঠা, ঘুম হয়নি একটুও। না, হয়েছে বোধহয় সামান্য; ভোরের দিকে। উচাটন মনও কখনও কখনও হার মানে ক্লান্ত শরীরের কাছে। আধো তন্দ্রায় ফজরের আযান শুনেছি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম অল্প কিছুক্ষনের জন্যে। কি যেন আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখলাম, মনে করতে পারছি না। এখন ক’টা বাজে, সাতটা?
নতুন টুইটার শিখেছি। বেশ ইন্টারেস্টিং জিনিস, জামাতির পেছন দিয়ে বংশদন্ড প্রবেশের জন্য উত্তম হাতিয়ার। ভেবে দেখলাম জামাতির গুষ্টি বাঁশেরকেল্লা গড়বে তাতে আশ্চর্যের কিছু নাই, যে হারে লোকে এগুলিরে বাঁশ দেয় দুইচারটা কেল্লা বানানো তেমন কঠিন নয়।
বিরাট এক স্পন্দনশীল অন্ধকার আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে পেঁচিয়ে ধরেছে, চারিদিকে কালো জল ছলছল করছে। ওর মধ্য দিয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে বেরিয়ে আসতে চাইছি আলোয়। তখনও কালো বা আলোর কথা ঠিক বুঝতে পারি না, কিন্তু একটা অদ্ভুত তাড়না আমায় ঠেলা মারে, আমার সদ্য তৈরী হওয়া মগজে কোটি কোটি বছর আগের যে স্মৃতি খোদাই হয়ে আছে, সেই স্মৃতিই আমার পূর্বসংস্কার, সেই আমাকে জানায় আলো আর কালোর গল্প।
আমি মোটামোটি ভাবে বেশ শান্তশিষ্ট এবং ভীতু প্রকৃতির মেয়ে।কিন্তু কেন যেন জীবনের বিভিন্ন বয়সে এবং পরিস্থিতিতে আমার কিছু পাগলাটে স্বভাবের বন্ধুবান্ধব জুটে যায়, যাদের কুপ্ররচনায় নানারকম কুকর্মে লিপ্ত হই। মাতৃদেবী বরাবরই এইসব অসৎসঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছেন।