আমরা দিন শুরু করি ফেসবুকে কয়টা নোটিফিকেশন আসলো তা দেখে - ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে খবর পড়ি - শাহবাগীদের গালি দেই - অফিসে যেতে যেতে সরকারের কাজে হতাশ হই - অফিসে বসে বিএনপির নির্বুদ্ধিতায় নির্বাক হই - তারপর আবার বাসায় এসে মশামাছি মারি - আনন্দে ফেসবুকিং করি - টকশোতে রাজা উজির মারি - বান্ধুবান্ধবীদের হাই হ্যাল্লো বলি - প্রিমিয়ার লিগ আর লা লিগা দেখে স্ট্যাটাসের বন্যায় হোমপেজ ভাসাই - মাঝে মধ্যে দুপুরে ভরপেট খেয়ে ভুড়ি দুলিয়ে একটা পাওয়ার ন্যাপ নেই - উইকঅ্যান্ডে মুভি দেখি - তারপর রাতের আড্ডাতে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেশটা সম্ভাব্য কত প্রকারে রসাতলে গেল তা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেই - দিতে দিতে কখন ভোর হয়ে যায় - সেই খেয়াল আর থাকে না - এরপর ঘুমের স্বল্পতার জন্য আবার শাহবাগীদের গালি দেওয়া শুরু করি।
[justify]আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু অদ্ভুত লোক্জন অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন। কোনো এক আজগুবি কারণে এক্কেবারে সহজ সরল জিনিসটি বুঝতেও রাজ্যের সময় ব্যয় করে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতেই থাকেন তারা। অবশ্য আমাদের মত উপমহাদেশিয়দের সব জিনিস সহজে বুঝতে পারাটা সহজ কর্ম নয়। যেমন, তিনজন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট যখন একসাথে আবেদনপত্র জমা দিতে কোনো অফিসে যায়, তখন কোন সে স্বর্গীয় কারণে যে তাদের সবার জন্ম
এদেশে আন্দোলন শুরু হয় কিন্তু শেষ হওয়ার আগেই আন্দোলন ছিনতাই হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়, বহু পুরাতন। একমাত্র ব্যতিক্রম ৭১। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ এই নেতৃত্বই শেষ করতে সক্ষম হয়, যদিও মাঝে ভাসানী থেকে শুরু করে চীনপন্থী উগ্র বাম মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে জাপ্টা-জাপ্টি করার চেষ্টা করে ব্যারথো হয় এবং চীনপন্থী নেতৃত্ব পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বণ করে চীন থেকে বিষ মেশানো ধানের পাতা এনে বাংলাদেশের মাট
হঠাৎ মনে হলো, সবাই মিলে কোরাসে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কেমন হয়?
আমাদের ছোটোবেলাতেও (মানে বেশিদিন আগে না) শহরেই একটু নিরিবিলির দিকে দিব্যি জোনাকিদের দেখা মিলত। এখন নগরায়ণের ঠেলায় তারা সব উধাও। তা কেউ যদি প্রশ্ন করে, জোনাকিদের ‘কনজার্ভেশন’ প্রয়োজন কেন, তাদের আদৌ দরকারটা কী, তাহলে কী উত্তর দেবেন?
আমি বলব, গত দুই সপ্তাহে যে একগুচ্ছ ছানাপোনার প্রেজেন্টেশনের পরীক্ষক হয়ে এলাম, অ্যালঝাইমার্স (স্মৃতিভ্রম) আর বার্ধক্যের উপর, সেগুলোর প্রতিটা – প্রতিটাই – কাজ করা গেছে কেবলমাত্র সামুদ্রিক জোনাকিদের জ্যোতি ধার করে!
[ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব সহজ সরল ভাষায় এবং সহজবোধ্য করে ছোটদের জন্য “ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” লিখেছেন। এই পদ্যটি সেই রচনাটির অনুকরণে রচিত।
তাঁকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ এটি পদ্য আকারে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন।]
এক
এই আমাদের সবুজ বাংলাদেশ
কী অপরূপ, শান্ত-স্নিগ্ধ বেশ!
জানো তোমরা যে দেশ মোদের প্রাণ
নাম ছিল তার পূর্ব পাকিস্তান!