ধ্বংস স্তুপের নীচে কাটানো প্রতিটি মুহুর্তের মৃত্যুময় অন্ধকার,
মায়ের কোল হারা প্রতিটি শিশুর কান্না,
স্বজনের আহাজারি
আর নিঃস্পন্দ প্রতিটি লাশ ছুঁয়ে
আজ আমি অভিশম্পাত দিচ্ছি- ধ্বংস হ’ নরপিশাচেরা
যারা কেড়ে নিয়েছিস আমার ভাই, আমার বোনকে-
নিশ্চিহ্ন হ’ তোরা চিরতরে ।
সীমাহীন শান্ত ও ধৈর্য সম্পন্ন মানুষের দেশ বাংলাদেশ। পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই- কিন্তু হৃদয়টা এত কোমল যে পাশের একটা মানুষের কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারি না। বাংলাদেশের মানুষের এত অসীম সহনশক্তি, যে বার বার এক জাতীয় খচ্চরদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনি, প্রতিবার আশায় বুক বাধি- হয়ত এইবার তাদের ঘুম ভাঙবে, তারা গরিব মানুষের মূল্যায়ন করতে শিখবে। তারা আগের বারের রেকর্ড ভেঙ্গে তারা বৃহত্তর খচ্চর হয়, আর দা
তখন বেশ ছোট। কত হবে বয়স?
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন দেখা দিল। নখটা তুলে ফেলতে হবে। অভিজ্ঞ জনেরা বললো নখ তুলে ফেললে সেখানে আবার নতুন নখ গজায়। তাই দৌড় দিলাম মেডিকেল এ। কোন কাজ আমি সাধারনত একাই করি। এক্ষেত্রেও আমি একাই মেডিকেল এ গেলাম। সরকারী মেডিকেল গুলোতে খরচ অনেক কম তাই মানুষও প্রচুর। আমি ১০টাকা দিয়ে জেনারেল সার্জারীর একটি টিকেট কাটলাম। টিকেটটাই প্রেসক্রিপশন। জেনারেল সার্জারীতে তুলানা মূলক
"মা আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে। হাতে এক ঘন্টা মাত্র!"
ফিজিক্স বইটা হাতে নিতে গিয়ে আয়নায় চোখ পড়লো হঠাত। কাছে গিয়ে দেখতে পারলাম, কেমন যেন একটা বলয়। যার মধ্যে কি যেন একটা আটকা পড়েছে যেন। দিনে দুপুরে হ্যালুসিনেশন!
সাভারের ব্যাঙ্ক কলোনির দেয়ালগুলো ভরে গেছে 'সন্ধান চাই' বিজ্ঞপ্তিতে। অসংখ্য ছবি, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর...। বৃষ্টিতে কতগুলোর লেখা মুছে গেছে, ছবি ঝাপসা হয়ে গেছে। রঙিন ছবি, সাদাকালো ছবি... পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্টুডিওতে কোট টাই পরা হাস্যোজ্জ্বল ছবি, পিকনিকে বন্ধুদের ছবি থেকে কেটে আলাদা করা ছবি... কতগুলো প্রাণ, হাসি, আনন্দ, উচ্ছ্বলতা, সম্ভাবনা...
আমরা মানুষ গুনি, কেউ গোনে ভোট!
তাইলে পাউডা কাটাই লাগবো, ভাইজান? মেয়েটা আকুল হয়ে প্রশ্ন করে।
টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম কদিন। দৃশ্যগুলো সহ্য হবার নয়। কংক্রিটের পিলারের মাঝে কোমর পর্যন্ত আটকে থাকা এক আলতাফের আকুতিভরা বাক্য 'ভাই আমারে বাঁচান' আমাকে ঘুমোতে দেয়নি দুদিন। এত শত মানুষ মরেছে নির্মমভাবে, কিন্তু আলতাফের আটকে থাকার দৃশ্যটাই আমার চোখে আটকে গেছে। কারণ পরদিন সকালে উঠে জেনেছি আলতাফ চলে গেছে।