১৫২৭ বা ১৫২৮ সালের কোন এক ঝড়ের রাত। বঙ্গোপসাগর।
উথাল পাথাল অবস্থা, মট করে জাহাজের মাস্তুল উড়ে গেল এক ঝটকায়। এত বড় জাহাজ নড়ছে যেন কাগজের নৌকা। কাপ্তেন আলফন্সো আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে যেরকম পারে শক্ত কিছু ধরে আছে আর বিড়বিড় করে হা ঈশ্বর হা ঈশ্বর করছে। ক্লান্ত হুয়ান হঠাৎ হাত ফসকে ছিটকে উড়ে পড়ে গেলো সাগরে, চোখের নিমিষে কালো পানি যেন গিলে নিল তাকে। জাহাজের সকলে ভয়ার্ত স্বরে সকলে আউড়ে চলেছে এম নম দো পায় দো ফিলিও দো এস্পিরিতো সান্তো...
[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।
মফস্বলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদবী নিয়ে যিনি জীবন যাপন করেন, তিনি সৎ,আদর্শবান নিরীহ টাইপ হবেন এটাই স্বাভাবিক। রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন সাহেব এর ব্যতিক্রম নয়। উনি উনার জীবনটা একটা নির্দিষ্ট রুটিনের আওতায় প্রায়ই কাটিয়ে দিয়েছেন। ফজরের নামাজ পড়ে একটু হাঁটাহাঁটি করেন। ঘরে এসে স্ত্রীর সাথে গল্প করে করে বেলা বিস্কুট দিয়ে চা খান। তারপর ছেলেমেয়েদের ঘুম