এ এক অসহনীয় অবস্থা! হাজার মেইল দূরে বসে কিছু করতেও পারছি না, সাভারের এক একটি ছবি দেখে, সংবাদ পড়ে সহ্য করতে পারছি না এত কষ্ট, আবার এইসব সংবাদ থেকে নিজেকে স্বার্থপরের মত দূরে সরিয়ে রাখতেও পারছি না। কেবল মনে হচ্ছে মস্তিষ্কে চিরকালের মত গভীর দাগ পড়ে যাচ্ছে, ঐ নূপুর পড়া পায়ের ছবি, ঐ মৃত যুগলের ছবি জীবনে আমি মাথা থেকে মুছতে পারব না। গোল্ডফিশের মত ২ সপ্তাহ বাদে রানা প্লাজার নাম ভুলে গেলেও বহু বছর বাদেও দুঃস্বপ্নে ওরা এসে ঠিক ঠিক হানা দিয়ে যাবে। হয়তো কিছুটা মনুষ্যত্ব এখনো ধরে রেখেছি বলেই এই ভোগান্তি। রাজনীতির নানারকম গদিতে বসে থাকা অবিশ্বাস্য রকমের পিশাচ হলে হয়ত এই যন্ত্রনা হতো না।
পুরাতন দুষ্টচক্র, নতুন দুর্ঘটনা। ধ্বসে গিয়েছে আরও একটি বহুতল ভবন, কেড়ে নিয়েছে শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ। আবারও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে কিছু জানোয়ার, নিজের মুর্খামি আর লোভের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে অসহায় শ্রমিকদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার এবং দলের ‘দোষ’ আড়াল করবার হাস্যকর চেষ্টায় যতখানি ব্যস্ত, উদ্ধারকাজে এবং দুর্গতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রযন্ত্রের ততখানিই অবহেলা। আব
"এখানে সামান্য প্লাস্টার খসে পরেছে,তেমন গুরুতর কিছু হয়নি।"
[ সাভার থানা নির্বাহী কর্মকর্তা; রানা প্লাজায় বিশাল ফাঁটল ধরা পরার পর দেখতে এসে]
"অন্যায় করে কেউ পার পাবে না,শাস্তি দেয়া হবে"
[স্থানিয় সাংসদ মুরাদ জং : ভবন মালিক সোহেল রানা কে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাচার করে মিডিয়ার সামনে]
"ঐ মানুষ গুলো মুল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে ভবনচাপা পড়েছে।"
সাভারে “রানা প্লাজা” ধ্বসে পড়ে এ পর্যন্ত আড়াইশ’য়ের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরো অসংখ্য লোক এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ভবন ধ্বসে পড়া বা এ জাতীয় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হয় নাগরিকদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী করণীয় বা কী করণীয় ছিলো তা আলোচনা করাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
সাভারের দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এখন আড়াইশত ছাড়িয়ে গেছে, আহত দ্বিসহস্রাধিক। এক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাদা ছোঁড়াছুঁড়িকে ইগনোর করে আমাদের জনগনকেই এগিয়ে আসতে হবে। দেশে যারা আছেন তাদের সাহায্যের পাশাপাশি প্রবাসী বাঙ্গালীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রয়োজন রয়েছে এক্ষেত্রে।
কিন্তু অনেকেই কনফিউজড কিভাবে, কার মাধ্যমে সাহায্য পাঠানো যাবে সে ব্যাপারে। প্রথম দিন সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা উদ্ধার কর্মীর টর্চলাইট পর্যন্ত চুরি হয়ে গিয়েছে যেখানে সেখানে এই বিষয়ে একটু সাবধাণতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাবধাণতার মানে এই নয় যে সাহায্য করতে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে। একটু সর্তকভাবে ডোনেশন করলে সেই ডোনেশনের একটা অংশও যদি কাজে আসে সেটুকুও যথেষ্ট।
ফেরেশতা তুই, না পরী,
তা হয়নি কারো জানা,
ছোট্ট মানুষ, ক্যান এলি তুই?
কেউ করেনি মানা?
কীসের এত বল তাড়া তোর?
বল কীসে তোর ভাল?
মায়ের আধার সইল না আর?
চাইলি এতই আলো?
অন্ধকারের আড়াল ঘেষে
এই যে তোরা এলি-
ঘুমোয় মা তোর, কাঁদছে খালা,
বল না কী আর পেলি?
ভাবিস কেঁদে চোখ ভাসাবি,
মিলবে সবই তাতে?
ছোট্ট রে তুই, বুদ্ধি কোথা?
নেই কিছু তোর হাতে-
নেই বিছানা, নেই বালিশ আর
নেই মশারী, কাপড়,
সাভারে ধ্বসে পড়া ভবনের মালিক ছিলেন সোহেল রানা। ধ্বসে পড়া ভবনে যেদিন ফাটল দেখা দেয় সেদিনও তিনি টিভিতে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে বলেছেন ভবন ঠিকই আছে। ঘটনার দিনও ভাবনে থাকা গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের আসতে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করেছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর আমরা জানতে পারি যে সোহেল রানা এই ভবনটি একজনের যায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন। এই কাজে তিনি ব্যবহার করেছেন তার রাজনৈতিক পরিচয়।পত্রিকা মারফত জা