তেত্রিশ বানর নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড হয়ে যাবার পর আবু ইউসুফ এদের বিদায় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল। ব্যাটা বদমাশ আমাকে বলে,
- তোর গত জন্মদিনে তো আমি কিছু দেইনি। এই তেত্রিশ বানর আমি তোর জন্মদিনের উপহার দিলাম
আমি বললাম,
- শুধু গত না বিগত কোন জন্মদিনেই তুই আমাকে কিছু দেস নাই। আগত কোন জন্মদিনেও কিছু দেয়া লাগবে না। আমারে মাফ কর।
(দৃশ্য ১) ১৯৭১ সালের নভেম্বরেরে প্রথম সপ্তাহ, অবরুদ্ধ ঢাকা শহরে লুঙ্গি পরিহিত এক মৌলভি রিক্সায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আনমনে। হালকা হিমেল হাওয়ায় উড়ছে তাঁর এক মুঠো কাঁচাপাকা দাঁড়ি। ন্যাড়া মাথায় তাঁর ধবধবে সাদা মৌলভি টুপি। দুদিন পরেই হাওয়ায় যেন মিলিয়ে যান সুঠাম দেহের সেই মৌলভি সাহেব।
“আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তারা ছাড়া আমাদের আর ভরসা নেই। ভোট আমরা আ-লীগকেই দেবো।“
বন্ধুর মুখে এ কথা শুনে চমকালাম। জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা মানে কারা?”
“আমরা মানে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চাই, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চাই না।"
হেফাজতে'র ১৩ দাবী পড়ে চরম বিনোদিত হয়েছিলাম এবং তাদের বক্তৃতা শুনে সেই বিনোদনের ষোলকলা পূর্ণ হল।
একজন বক্তা বললেন - আল্লাহ'র হুকুম ছাড়া কোন কিছুই চলবে না, ঠিক এর পরের বাক্যে বললেন আমাদের হুজুর যে আদেশ দিবেন সে হুকুম আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। দেখুন কথাটা কতটুকু স্ববিরোধী।
শ্রীমতী এমা ওয়েজউডের বয়স তখন তিরিশ পেরিয়েছে। বাড়ির দাদা ও দিদিরা সবাই বিয়ে-থা করে অন্যমুখো। কেবল এক দিদি বাড়িতেই থাকেন, তাঁর হাড়ের অসুখ, বিয়ে হয়নি; এই দিদি, শয্যাশায়ী মা আর বুড়ো বাপের দেখাশোনা এমা’কেই করতে হয়। তাঁর নিজেরও এই বয়সে আর বিয়ের আশা নেই বললেই চলে।
- তানভীর আহমদে
হেফাজতের বাংলাদেশ
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা আর রাজনীতিতে নতুন উত্তাপে সবার মনে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ? কিন্তু কেন এই লংমার্চ, কি তাদের দাবী? হেফাজতে ইসলাম লংমার্চকে ঘিরে তাদের ১৩ দফা দাবিনামা পেশ করেছে, দাবীগুলো যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করলে এগুলোযে অন্তঃসারশূণ্য সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে, আর গনতান্ত্রিক দেশে দাবী আদায়ের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করার আগেই ঢাকা অভিমূখে লংমার্চ করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর যে কোন প্রয়োজন ছিলোনা সেটি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো এই আলোচনায়।
ইদানীং মুমিন সাহেব খুব পেরেশানের মধ্যে আছেন। কারণ উনি বেশ কিছুদিন হয় উনার ধর্মানুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন না। ধর্মানুভূতি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে পড়ার পরে বাধ্য হয়ে এলাকার বড় হুজুরের কাছে গেলেন। হুজুর সব শুনে বললেন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে, তারপর আমি একটা তাবিজ দিব সেটা ভিজিয়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস পানি খাবেন। এভাবে সাতদিন খাওয়ার পর তিনটা ছাগল নিয়ে মাজারে এসে শিন্নি দিতে হবে। ছাগলের রঙ কালো হতে
বর্তমানে বাংলাদেশের একটি মানুষও আর হরতাল চায় না। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী, নাশকতা-নেশাগ্রস্তকে এই তালিকায় রাখছি না। আমার ধারণা যারা বিএনপি কিংবা জামাত সমর্থন করে তারাও এই ‘হরতাল’ নামক বিভীষিকা হতে মুক্তি চায়। আমিও আর একটি হরতালও চাই না। যদিও হরতাল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা, তবু আধুনিক হরতাল এখন কেবল গণতন্ত্র আর স্বাধিকার আদায়ের শানিত অস্ত্র নয়, এখন হরতাল মানেই জ্বালাও-পোড়াও আর ককটেল উৎ