[justify]
আফজাল মোটেও স্বস্তির মধ্যে নেই।
সারাটা দিন ধরে কারেন্ট থাকে না। এই গরমের মধ্যে কারেন্ট ছাড়া থাকা যে কী রকম কষ্টকর তা এখন আফজাল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। আগেরকার দিনে মানুষরা যে কীভাবে থাকত সে এখন তা চিন্তাও করতে পারে না। সে মেসে থাকে। তার রুমমেট শরীফ হচ্ছে বড্ড ঘুমকাতুরে। এই অসহ্য গরমেও সে দিব্যি আরাম করে ঘুমায়। ঘুমানোর সময় তার মুখটা কিছুটা হা করা থাকে। মুখ দিয়ে প্রায়ই লালা পড়ে বালিশ ভিজে যায়। আফজালের দেখতে কুৎসিত লাগে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না।
‘হেফাজতি’ হরতালের কয়েকটা খবর শুনে মন খারাপ হয়ে গেল! শুধু মন খারাপ না সাথে অসহায় ক্ষোভ ও জন্ম নিল মনে! একটা খবর চিটাগাঙ এর আরেকটা সিলেটের।
“চিটাগাঙ এ এক হিন্দু দম্পতীকে রিক্সা থেকে নামিয়ে তাদের বিয়ের সনদ দেখতে চাওয়া!!!”
“সিলেটে রিক্সা থামিয়ে জনে জনে ধর্ম জিজ্ঞেস করা,কালেমা জিজ্ঞেস করা!!!”
বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে সংখ্যার দিক থেকে সংখ্যালঘু বলা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর দেশব্যাপী এই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। গত এক মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ১৮৭টি বাড়িঘর ও ১৬২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০৮টি মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ১১৩টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
খানিকক্ষণ আগে একটা সন্দেহজনক চরিত্র হেফাজতে ইসলামের উদ্ভট মামার বাড়ির আবদাগুলির একটা উত্তরের তালিকা ফেসবুকে ইনবক্স করে 'ছড়িয়ে দেবার জন্য' অনুরোধ করেছে।
ভালো করে পড়ে দেখলাম এটা তো ছাগুদেরই প্রশ্নের ছাগুমার্কা উত্তর, আর মুক্তমনাদের হাতেই তার প্রচারের ভার পড়েছে! (হেফাজতে ইসলামী জামাত শিবিরের দাবীর সমর্থক এবং যুদ্ধাপরাধীদের মু্ক্তি চেয়েছে, কাজেই ছাগু বলতে তাদের কোন সমস্যা দেখি না)
অনেকদিন ধরে অনেক কিছু দেখলাম, জামাতকে লাই দিয়ে মাথায় উঠাতে উঠাতে এখন এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে ওরা এখন আর শুধু চুল টানা আর চর থাপ্পড়ে সীমাবদ্ধ থাকছে না, পুরো মাথা কেটে ফেলার আবদার করা শুরু হয়েছে। আমাদের মহামান্য প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রী মহোদয়গণ আবার বলছেন তাদের সেই দাবী তারা বিবেচনা করেও দেখবেন। হেফাজতে ইসলামের লোকজন এবং কতিপয় কপট ধার্মিক, ধর্ম প্রেম যাদের কাছে নিউ মডেলের জুতো কেনার মত
[justify]
আজ মাসুদ রানার জন্মদিন।
আমাদের বয়স বাড়ছে। ফুটবল মাঠ ছাড়া হাফপ্যান্ট পড়লে লোকে বাঁকা চোখে তাকায়। নাইন্টি ফোরের সেই মনে গেঁথে যাওয়া সেলিব্রেশনের বেবেতো আর রোমারিও- তাদের দুইজনের ছেলেরাও নাম লিখিয়েছে পেশাদার ফুটবলে। রানা হারামজাদা এখনো সমানে লাম্পট্য চালিয়ে যাচ্ছে।
“কিন্তু” অব্যয়টা আজকাল কিছু বিশেষ গোষ্ঠীর সাথে অন্বয়যুক্ত হয়ে পড়েছে, কোন বাক্যে “কিন্তু” ব্যবহার করতে গেলে এখন নিজের মধ্যে একটা জাতির বিবেক ভাব চলে আসে। “আমিও বিচার চাই, কিন্তু…..” এর কাহিনী সবার জানা। ফেসবুকচারণার অভিজ্ঞতায় দেখলাম কোন স্ট্যাটাস বা মন্তব্য “আমি রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু…” দিয়ে শুরু হলে অবধারিতভাবে কোন না কোন জামায়াতি প্রপাগান্ডায় বা সুড়সুড়িতে শেষ হবে। এখন এসেছে নতুন আরেকট