হেফাজতে'র ১৩ দাবী পড়ে চরম বিনোদিত হয়েছিলাম এবং তাদের বক্তৃতা শুনে সেই বিনোদনের ষোলকলা পূর্ণ হল।
একজন বক্তা বললেন - আল্লাহ'র হুকুম ছাড়া কোন কিছুই চলবে না, ঠিক এর পরের বাক্যে বললেন আমাদের হুজুর যে আদেশ দিবেন সে হুকুম আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। দেখুন কথাটা কতটুকু স্ববিরোধী।
শ্রীমতী এমা ওয়েজউডের বয়স তখন তিরিশ পেরিয়েছে। বাড়ির দাদা ও দিদিরা সবাই বিয়ে-থা করে অন্যমুখো। কেবল এক দিদি বাড়িতেই থাকেন, তাঁর হাড়ের অসুখ, বিয়ে হয়নি; এই দিদি, শয্যাশায়ী মা আর বুড়ো বাপের দেখাশোনা এমা’কেই করতে হয়। তাঁর নিজেরও এই বয়সে আর বিয়ের আশা নেই বললেই চলে।
- তানভীর আহমদে
হেফাজতের বাংলাদেশ
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা আর রাজনীতিতে নতুন উত্তাপে সবার মনে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ? কিন্তু কেন এই লংমার্চ, কি তাদের দাবী? হেফাজতে ইসলাম লংমার্চকে ঘিরে তাদের ১৩ দফা দাবিনামা পেশ করেছে, দাবীগুলো যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করলে এগুলোযে অন্তঃসারশূণ্য সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে, আর গনতান্ত্রিক দেশে দাবী আদায়ের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করার আগেই ঢাকা অভিমূখে লংমার্চ করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর যে কোন প্রয়োজন ছিলোনা সেটি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো এই আলোচনায়।
ইদানীং মুমিন সাহেব খুব পেরেশানের মধ্যে আছেন। কারণ উনি বেশ কিছুদিন হয় উনার ধর্মানুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন না। ধর্মানুভূতি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে পড়ার পরে বাধ্য হয়ে এলাকার বড় হুজুরের কাছে গেলেন। হুজুর সব শুনে বললেন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে, তারপর আমি একটা তাবিজ দিব সেটা ভিজিয়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস পানি খাবেন। এভাবে সাতদিন খাওয়ার পর তিনটা ছাগল নিয়ে মাজারে এসে শিন্নি দিতে হবে। ছাগলের রঙ কালো হতে
বর্তমানে বাংলাদেশের একটি মানুষও আর হরতাল চায় না। গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী, নাশকতা-নেশাগ্রস্তকে এই তালিকায় রাখছি না। আমার ধারণা যারা বিএনপি কিংবা জামাত সমর্থন করে তারাও এই ‘হরতাল’ নামক বিভীষিকা হতে মুক্তি চায়। আমিও আর একটি হরতালও চাই না। যদিও হরতাল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা, তবু আধুনিক হরতাল এখন কেবল গণতন্ত্র আর স্বাধিকার আদায়ের শানিত অস্ত্র নয়, এখন হরতাল মানেই জ্বালাও-পোড়াও আর ককটেল উৎ
সুদীর্ঘ সময় ধরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে বাংলা ব্লগমণ্ডল শত ফুল ফুটিয়েছে। বহু মত, বহু ভাবনা আমাদের অনলাইন জগতকে মুখর করে রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাব্লগ যে আন্দোলনের সূতিকাগার সেই, শাহবাগ আন্দোলনের সূত্র ধরেই বাংলা ব্লগ আক্রান্ত হয়েছে তার নেমেসিস, রুদ্ধচিন্তা ও মৌলবাদের নখরের নিচে। রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীন শক্তি, নির্লিপ্ত সামাজিক গোষ্ঠী, চিন্তারহিত বুদ্ধিজীবী, স্বার্থসন্ধানী মিডিয়া, সকলেরই চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের ভাবনার খেরোখাতা।
১
একজন মানুষের বাসায় যে তেত্রিশটা বানর থাকতে পারে সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। আবু ইউসুফ এর কাজ কর্ম সবসময়েই উল্টাপাল্টা। বিজ্ঞানী মানুষ অবশ্য একটু পাগলাটে না হলে মানায় না। এর আগে ইউসুফ যখন কোমল সাহিত্য মেশিন বানিয়েছিল, তখন ওটার ডেমো দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছিল। বলে, তুই তো ব্লগে নানা উল্টা পাল্টা কথা লিখিস, তোর কিছু লেখা দে, আমার মেশিনে ঢুকিয়ে দেখি কেমন কাজ করে। আমি ওকে ভালোবেসে মুড়ি খা বলে চলে এসেছিলাম। পরে ওর মেশিন এর দুর্গতির কাহিনী শুনে সমবেদনা জানাতে বাসায় গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। এক রুমের ভিতর নানা আকারের নানা জাতের তেত্রিশটা বানর পুরে রেখেছে। ঘটনা প্রথমে চেপে যাবার চেষ্টা করলেও পরে অনেক পীড়াপীড়ির পর ব্যাটা মুখ খুলল। কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম। সে তার বানরের পালকে কবিতা লেখা শিখাতে চায়। বলে, বিজ্ঞানী সফদর আলী যদি গিনিপিগ ট্রেনিং দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করাতে পারে তবে আমি কেন বানর দিয়ে কবিতা লিখাতে পারব না? সফদর আলী যে একটা গল্পের চরিত্র এটা কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এরপরে বানর দিয়ে কবিতা লেখানর কি দরকারটা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করে নৌকাই ছেড়ে দিলাম।
সোনায় মোড়ানো ছাত্রলীগের যদি হইতা
দিনেদুপূরে চাপাতি দিয়া তামাম বিশ্বজিতরে টুকরা টুকরা কইরাও
প্রাইমিনিস্টারের হাত থিকা নিতা পারতা শ্রেষ্ঠ সাঁতারুর পুরস্কার;
যদি হইতা ছাত্রদলের কেউ, কাদের মোল্লারে সত্যায়ন দিয়া জিব্রাইলের ডানায়,
লাশের অপেক্ষায় ককটেল ফুটাইতে ফুটাইতে তুমি
পথে প্রান্তরে উড়াইয়া দিতা ম্যাডামের গোলাপী হরতাল
আর খোয়াবে দেখতা হাওয়া ভবনের ম্যাজিক রিয়ালিজম;