সারাদেশে মহাসমারোহে শিবিরের ডাকা হরতাল চলছে...
প্রস্তুতি চলছে লংমার্চের...
গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করতে বলা হয়েছে, রুমি স্কোয়াডের অনশন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে...
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমার ব্লগ, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্লগারদের...
ইউটিউব তো আগে থেকেই বন্ধ...
একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব কটা জানালা... যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, তারা আর চুপি চুপিও আসবে না হয়তো...
মাননীয় সরকার বাহাদুর,
সারাদেশ জুড়ে কয়েক মাস ধরে চলমান নাশকতার পরিকল্পনাকারী জামাত-শিবিরের ফেসবুক প্রোপাগাণ্ডা পেজ "বাঁশের কেল্লা" ও "ইসলামী ছাত্রী সংস্থা" বহাল তবিয়তে আছে। রাষ্ট্রের গোয়েন্দা পুলিশ ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী কমিশন তাদের কিছুই করেনি, করতে পারেওনি।
১
বেদচর্চিত যুগে, ব্রাহ্মণ শাসিত সমাজে বসে চার্বাক বলেছিলেন, "ভন্ড, ধূর্ত আর নিশাচরেরাই বেদের কর্তা"। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন "বিশ্বজগৎ নিজের নিয়মেই ভাঙে, গড়ে, তার জন্য সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দরকার নেই"। নৈতিকতার পাশব মানদণ্ড লোভ আর ভয়ের অসারতা তুলে ধরে বলেছিলেন, "স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই, আত্মা অবিনশ্বর নয়"। প্রাচীন ভারতের বস্তুবাদী এই দর্শন গ্রন্থিত হয়েছিল। যুক্তিতর্ক দিয়ে ঈশ্বরকে নাই করে দেয়া দর্শনের কপালে যা জোটা স্বাভাবিক, চার্বাক দর্শনের বইগুলো পুড়িয়ে দেয়া হলো।
প্রথমবার যখন এক বন্ধুকে ভালোবেসে ফেলেছি, আমার বিশ্বাস হতে চায়নি! বন্ধুকে বললাম, তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। বলে আমরা দুজনেই খুব হাসলাম। এখনো সেই ঘটনা আমার বিশ্বাস হতে চায়না। মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছি। ভালোবাসার মতো দারুণ একটি বিষয়ও হয়তো কোনো কৃতিত্বের বিষয় হতে পারতো। কিন্তু সে-ও হয়নি। যাঁদেরকে ভালোবাসা উচিত, তাঁদেরকে ঠিকঠিক ভালোবেসে ওঠা হয়না। আম্মার খেয়াল রাখার দরকার ছিল। আমি আম্মার খেয়াল রাখিনা। আম্মা আমার খেয়াল রাখেন ৯ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে। ওনার কখনো ভুল হয়না। আমার কেবলই ভুল হয়ে যায়। আমার সহোদরাদের খোঁজও আমি কিছু রাখিনা। ওরা আমার খোঁজ রাখে। ভালোবাসায় আমি নিতান্ত ব্যর্থ একজন মানুষ। ভাবলেই আমি দারুণ ক্ষীণ, নিতান্ত ক্ষুদ্র বোধ করি নিজেকে।
১৯৯০সাল। পুরো দেশে তখন অচলাবস্থা। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সেই আন্দোলনে আমিও একজন সক্রিয় কর্মী। বয়সে কিশোর হলেও রাজপথে ছিলাম সক্রিয়। বাম ধারার রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকায় নব্বুইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের প্রতি আমার আগ্রহও ছিল বেশি। মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) শেষে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা আমি তখন জেলা শহর মৌলভীবাজার-এ থাকি। সার্বক্ষণিক শহরে অবস্থানের কারণে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ সবকিছুতেই উপস্থিতি ছিল সরব।
আমাদের ক্লাসের অপু আর দীপুর নাম কিভাবে লছাগু গছাগু হয়ে গেল সেই গল্প বলি। অপু আর দীপুর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলই বেশী ছিল। অপু লম্বা, চিকন। অপুর বুদ্ধিশুদ্ধিও বেশ লম্বা লম্বা, চিকন চিকন। ক্লাসের ফার্স্ট বয় না হলেও পড়াশোনায় ভালোভাবেই উতরে যেত। খেলাধুলায় ভালো। আবার বিতর্ক করতো বেশ। দীপু গোলগাল, বেঁটে। বুদ্ধিও বেশ গোলগাল। পাশ ফেল ছাড়াও বিবেচনায় উত্তীর্ণ বলে যে একটা গ্রেড আছে সেটা আমরা দীপুকে দেখে
আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?
পহেলা এপ্রিল, ২০১৩: ভুলে-ভরা ফুল! ভুলে ধরা প্রজাপতি ভুল ছড়া শিখিয়েছে,
ভুল সংকল্পে শিখে ফেলা ব্যাকরণ, সমাস -- মানুষ পণ্যের প্রতিরূপ হয়ে গেছে,
বিক্রি হয়েছে সদা সবাই; শেকড়ে জ্বালানী পুড়াই প্রশাখা’তে জমে যায় দাহ,
শাঁখা সব বৈরাগ্য জেনেছে, পাতায় পাতায় উনুনে’র সনাতন জ্বলুনি প্রত্যহ;
প্রতিটি আলোর শীর্ষ ধরে রাখে বনানী’র উচ্চতর যে বৃক্ষ তার নাম থাকে কি কোন?