ছোকরা দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে, উ উ উ উ ডাক্তার সাব ব্যথা।
আমার প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল এবার। এইরকম আজব পেশেন্ট আমার বিশ বছরের জীবনে দেখিনি। আর কসম খোদার আমি বিশ বছরের ডাক্তারি জীবনে নিতান্ত কম দেখিনি। একবার এক রোগী এসে কাঁচুমাচু হয়ে আধা ঘণ্টা বসে ছিল। বারবার জিজ্ঞেস করি সমস্যা কি। মিনমিন করে লাজুক গলায় কি যেন বলে। অবশেষে একটা ধমক খেয়ে একটু জোর গলায় বলে,
- ডাক্তার সাহেব আমার হিট হয়না।
মাঝে মাঝে সামাজিক আড্ডায় শুনি, “ব্লগারদের মুখ খুব খারাপ। কোন শিষ্টতা নেই, শালীনতা নেই। আন্তর্জালের এই যুগে কেউ কারুর মুখ দেখে না তো, তাই যা ইচ্ছে তাই লিখে। বর্বরদের মতো ভাষা। ব্লগতো না, আগের দিনের পাড়ার “রক” আর কি!
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের একাংশের প্রতিক্রিয়া ও আচরণ বুঝতে গেলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে আমাদের। একাধিক বিবেচনায় দেশ পেছন দিকে হাঁটছে, সে যাত্রায় ক্ষণিকের জন্যে সঙ্গী হলাম নাহয় আমরাও।
মতি সাহেব বড়ই ফাঁপড়ে আছেন! দুই পক্ষের চাপাচাপিতে একেবারে চিড়েচেপ্টা অবস্থা। তার বিশাল বক্ষও শুকিয়ে চিমসে মেরে গেছে। আগে তিনি বক্ষ যেন না বুঝা যায় সেজন্য শার্টের নিচে টাইট স্যান্ডু পড়তেন। অথচ এখন টি-শার্ট পড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তাকাচ্ছেও না। এটা অবশ্য একটা ভাল ব্যাপার। কিন্ত ঝামেলা লেগেছে অন্যখানে! গতকাল রাতে এক সুললিত কন্ঠের নারী ফোন করে বলল-“মতি ভাই,ভাল আছেন?”
[justify]
আমাদের ঘরে রাতের বেলা কখনও আলো জ্বলে না।
সবই ঠিক আছে। সবার মত আমরাও সকালে উঠি, গোসলে যাই। খেয়ে-টেয়ে যে যার কাজে যাই, আবার ফিরে আসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা হলেই। ঘরে আলো জ্বালানো হলেই মা চেঁচিয়ে বলেন, ‘আলো জ্বালাইল কে রে? কে জ্বালাইল? ওরে চোখ যে জ্বালা করে...’
১.
আমি তো শুধুই কথা বলে যাই- বলার জন্য বলা। বলতে হয় তাই বলা। আমার কথায় তো গভীরতা নেই। শুধুই কথা, একগুচ্ছ শব্দের নিছক শব্দ। চোখে আমার নদী নেই, সমুদ্রের বিশালত্ব নেই। মৃতপ্রায় চোখ দু’টি শুধুই চেয়ে থাকে। কথা বলে না সে চোখ। কোনো ভাষা নেই তাদের। তাই নির্জনতাই স্থায়ী হোক। একান্ত নীরবতায় কাটুক সময়। রাত্রির গভীরতা পাক রহস্যকে আর রহস্য তোমাদের; যেমনটা পেয়েছি আমি।
২.
গত পরশু দেখলাম ‘লা মিজারেবল’, অনেকটা দেরি-ই হয়ে গ্যালো দেখতে তারপরেও তো দ্যাখা হয়েছে এটাই মূল ব্যাপার।
১৫ বছর ধরে আমার মা ঢাকার একটি পরিচিত দৈনিক কাজ করতেন। ওই দৈনিকের প্রাসাদে প্রায়ই লেখা নিয়ে আড্ডা দিতে আসতেন একজন বয়স্ক মানুষ। হাতে একটা ছড়ি থাকতো, তাতে নিজেকে বেশ ভারি ও সম্ভ্রান্ত লাগতো মনে করে তিনি আত্মতৃপ্তি বোধ করতেন। পত্রিকার সাহিত্য-সাময়িকী বিভাগের লোকজন ও সম্পাদক তাঁকে খুব পছন্দ করতেন, তা নয়। কিন্তু তিনি একজন সাবেক আমলা, প্রাক্তন সিএসপি (এই তিনটি অক্ষরের প্রতি কোনো কিম্ভুত কারণে বাঙাল