অনেকদিন ধরে বুয়েটে মৌলবাদী রাজনীতিরে আগ্রাসনের উপর একটা তথ্যনিষ্ঠ লেখা লিখবো বলে ভাবছিলাম। কিন্তু দেশের বাইরে থেকে বুয়েটের তথ্য জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আজকের এই সংবাদটা দেখে একটা ছোট আকারের সাধারণ অবজারভেশন না লিখে পারলাম না।
গল্পটা শুরু হোক ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘুবীর সিং কে দিয়ে। বলা হয়ে থাকে রঘুবীর সিং পশ্চিমা কোনো দেশে জন্ম নিলে রঙিন আলোকচিত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
তো সেই রঘুবীর সিং হাইস্কুলে পড়ার সময়ে কোনো এক অলস দুপুরে পারিবারিক লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করেন অঁরি কার্তিয়ে ব্রেসোর “বিউটিফুল জয়পুর” নামের বইটি। এই বইটিই পরবর্তিতে রঘুবীর সিং-এর ভবিষ্যত যাত্রাপথ নির্ধারন করে দেয়। তারও একযুগ পরে একদিন বিকেলে রঘুবীর তাঁর সদ্য প্রকাশিত দুটি আলোকচিত্রের বই বগলদাবা করে হাজির হলেন তার প্রিয় আলোকচিত্রী কার্তিয়ে ব্রেসোর ভিলায়। ততোদিনে রঘুবীর নিজেও প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।
সময়টা ২০০৮ সাল নাগাদ হবে। গুগলের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে গবেষণার কথা আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু সত্যি ভিডিওতে দেখা চালক-বিহীন গাড়ির অভিজ্ঞতাই আলাদা। লেসার-রাডারে নিজের মত করে গাড়ি চারপাশের সব কিছু “দেখে” সেইমত চলছে। নিউস রিপোর্টটা দেখে এত চমৎকৃত হয়েছিলাম যে মনে হয় এই গাড়ি বাজারে এলে আমি প্রথম যুগের খরিদ্দার হবার জন্য ঝাঁপাবো। আমার এমনিতেই ড্রাইভিং খুব একটা ভাল লাগে না। আমার হয়ে মেশিন গাড়ি চালিয়ে দিলে আমি মেশিনদের কাছে চির-কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।