[justify]বাড়িটা হঠাৎ করেই ফাঁকা হয়ে গেলো। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ। গরমের ছুটি। বউগুলো ছানাপোনা নিয়ে তাই বাপের বাড়ি চলে গেলো। দাদাভাইও বাড়ি নেই। রাত ১০ টার পর ভাত খাবো কীনা জিজ্ঞেস করলেন আম্মা। বল্লাম একটু পরে খাবো। আম্মা ঠিকাছে বলে সাথে এও বল্লেন, ‘আজকে আমরা মা-পুত। একলগে খাই চলো!’ তখনই মনে পড়লো, এই শুনশান বাড়িটাতে, একা বাড়িটাতে আর কেউ নেই, আমি আর আম্মা শুধু!
সে অনেকদিন আগের কথা, সেই সময় মানুষ পৃথিবীতে খুব আনন্দে থাকতো, পরম সুখে জীবনযাপন করতো। সে এক চমৎকার অবস্থা। কারুর কোনো কাজ করতে হতো না, যার যা দরকার সব হাতের কাছে এসে হাজির হতো। একথালা পোলাও চাই, এসে গেল ফার্স্ট ক্লাস পোলাও। এক প্লেট বিরিয়ানি চাই, এসে গেল দারুণ চমৎকার বেহেশতী বিরিয়ানি। এক বাটি পায়েস চাই, এসে গেল মনোরম স্বর্গীয় স্বাদের পায়েস। মখমলের তাকিয়া চাই, এসে গেল তাকিয়া। হীরার দুল চাই, এসে গেল
আমি ধর্মগ্রন্থের কিংবা আকাশের ঈশ্বরকে দেখিনি।
তিনি দেখতে কেমন কিংবা আছেন কি নেই তা আমি নিশ্চিতভাবে জানিনা!
তবুও, আমার একজন ঈশ্বর আছেন!
প্রতিটি মুহূর্ত তার উপস্থিতি-তার ভালবাসা আমি আমার সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে অনুভব করি।
আমার শরীরের প্রতিটি রক্তকণা, প্রতিটি অণু-পরমাণু প্রতিটি ন্যানো-পিকো সেকেন্ডে তার প্রতি ষোড়শাঙ্গে শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা-ভালবাসা জানায়!
অবশেষে সাপ পালক বালকটি সাপের ছোবলে মারা গেল। তার মৃত্যুতে তার মায়ের কান্না দেখে আমার সাপ পালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু! সেই স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে বাজার থেকে সাপও কিনে আনলাম, সাথে দুধ -কলা। সেই থেকে দুধ-কলা খাইয়ে আমি সাপ পালা শুরু।
দিন পনের আগের কথা । হঠাত মাথায় ঢুকল একটা নেটবুক লাগবে । হোস্টেলে ডেস্কটপ আছে একটা , কোনরকম ভাবে কাজ চালিয়ে নেয়া যায় ! কিন্তু একটা নেটবুক হলে যে অনেক সুবিধা , টুকটাক অনেক কিছুই করা যাবে ! আবদার টা ছিল আমার আম্মার কাছে ! আম্মা সেটা রেফার করে আব্বার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ! আমি কাচুমাচু মুখ নিয়ে আব্বার কাছে নেটবুকের কথা বললাম !আব্বু প্রথমে একটু ভ্রূ কচকালেন, তারপর বললেন
নারীর মহাশূণ্যে পদচারণার পঞ্চাশ বছর
ভ্যালেন্তিনার পথ ধরে ছুটে চলেছে পৃথিবীর নারীরা
আশির দশকের একসময় দক্ষিন আফ্রিকার ব্লুমফনটেন শহরের সবচেয়ে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রে কলেজের এক অলরাউন্ড ছাত্র ছিল একাধারে রাগবি আর ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক। ক্লাসের হেড প্রিফেক্টও ছিল সে। স্কুলের হেডমাষ্টার যোহান ভলসটেড ছেলেটিকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। ওলন্দাজ বংশোদ্ভূত অতিশয় ধার্মিক এই অবস্থাপন্ন পরিবারের বড় ছেলেটিও গ্রে স্কুলের উপরের ক্লাসের মেধাবী ছাত্র। স্কুলের ক্রিকেট টিমের অনেক জয়ে এই দুই সহোদরের ব্যাটিং নৈপুণ্য অবদান রেখেছে। টিম ক্যাপ্টেন ছোট ভাইটি একদিন হেডমাস্টারকে বলে বসল যদি একদিন সে ক্রিকেটের মক্কা লর্ডসে খেলার সুযোগ পায় তবে স্যারকে সে প্লেনের টিকিট পাঠাবে। তখনও দক্ষিন আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ এক দেশ। কথা সেই বালকটি রেখেছিল। ১৯৯৪ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত দক্ষিন আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ সহ বিমানের টিকিট পৌঁছে যায় গ্রে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঠিকানায়। প্রেরকের নাম হান্সি ক্রনিয়ে, মিডল অর্ডারের উদীয়মান প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান।