একাকী নদীটির ধারা আলোর সীমা ছাড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে চলে গেছে চুপচাপ। গভীর, নীল, নির্জন স্রোত। আধা ঘুম, আধো জাগা সেই ধারা বয়ে চলেছে নিজেরই নীলাভ সবুজ স্বপ্নের ভিতর দিয়ে।
ডিসেম্বরের সাতাশ তারিখ দুই সুটকেসে জীবনটাকে ভরে সামিয়া উঠে পড়লো ভাড়া করা সাদা রঙের টয়োটা গাড়িটায়। আগে এই ধরনের রজনীগন্ধা সজ্জিত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখতাম, আর এবার গাড়ির ভেতর থেকে দেখলাম রাস্তাটাকে। সেই রাস্তাটা, রাস্তাগুলোকে পার করে একসময় চলে আসলাম মিরপুরের এক চিপায় তুরাগ নদীর পাড়ের এক বাড়িতে, যে বাড়িটা আমার মা-বাবা বানিয়েছিলেন তাদের জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দিয়ে। ডিসেম্বরের সাতাশ তারি
দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।
জুন ২৩, ২০১৩।
সবুজ সাগরের তীরে ছোট্ট শহরটি ঝিমিয়ে আছে। চারদিক গরমে পুড়ছে। আর আমি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে। সাথে দুই মেয়ে--একটা স্ট্রলারে বসে আরেকটা তাকে ঠেলছে। আমার কাঁধে একটা বড় ঝোলা, আর গলায় একটা অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়ে পাখি সহ অনেক কিছু শিকার করা যায়। আজকাল ছবি তোলার কথা বলতেও ভয় লাগে, পাছে বানর খেতাব পেয়ে যাই।