তারপর ঝুম ঝুম করে মেঘ নেমে আসে। আমাদের ঘিরে ধরে। পর্দার পর পর্দা পড়তে থাকে। চোখের সীমানা ছোট হয়ে আসে। একটা হালকা স্বচ্ছ চাদরে ঢাকা পড়ে আমাদের চারপাশ। মেঘবাড়ির মানুষ আমরা, মেঘেতে হই মশগুল...
তারও আগে, ভোর হবার আগে আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদে, পাশের টিলায়, ঝুম ঝুম শব্দ হয়। বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আলোয় দেখি সেই জলধারা। জঙ্গলযাত্রা শুরু করবো, অপেক্ষা।
দূর থেকে দেখা সেই নারীঃ
প্রাচীন দ্রাবিড়ের অবাক বিস্ময় নিয়ে, অবিশুদ্ধ এক গঙ্গার ধারে, যেন কৃষ্ণা... এক দ্রৌপদি,
পুরুষের স্বপ্ন, কামনা, আর লোভ জড়িয়ে পথহারা সে, এক... পদ্মীনী মানবী!
চোখে তার কাঞ্ছঞ্জংঘায়-কুয়াশা... রহস্যময়, অচিন, অদেখা কবিতা,
মুখে তার হিমালয় থেকে ভেসে আসা শৈত্যপ্রবাহের...নিস্তব্ধ, করুন বিষন্নতা।
প্রতিক্ষায় সে থাকে... এক সাঁওতালি পুরুষের জন্য
[justify]
রঙের মেলার শহরে ঢোকার পথেই পড়ে এই স্থাপনাটি
কোন এক গ্রামে এক বুড়ি আর তার মাইয়া থাকতো। বুড়ির চাল-চুলাই সম্বল। বুড়া মারা গেছিল সে অনেকদিন আগে। রাইখা গেছিল একটা ছাগল। গ্রামের এক কোনায় বুড়ির বাসা। বাসার থিকা একটু হাঁটলেই বন। বুড়ির মাইয়া ঐ বনে ছাগল চড়াইতো, পথের ধারের শাক-লতা-পাতা, গাছের ফল কুড়াইতো, লাকড়ি টুকাইতো। সেই শাক লতাপাতা খাইয়া আর বাড়ি বাড়ি লাকড়ির যোগান দিয়া কোনমতে তাগো দিন কাটতো। বুড়ির মাইয়ার নাম আছিলো দুলি।