প্রতিমাসে কালার গানের হাতে নির্যাতিতা কুকিলদের নিয়ে একবার করে হানা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো কুকিল ফিচারিং কালা। মরদ কা বাত হাতি কা দাঁত। মাস ফুরাতে বাংলাদেশে এখনও ঘন্টা দুয়েক বাকি। এসে গেলো কুকিল ফিচারিং কালার দ্বিতীয় পর্ব।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা অনুযায়ী আদিতে না ছিল পৃথিবী, না ছিল আকাশ, শুধু এক বিরাট শূন্যতা হা হা করতো, তার নাম ছিল গিন্নুঙ্গাগ্যাপ। তার দক্ষিণে ছিল আগুনের জগৎ মাস্পেল আর উত্তরে ছিল ঠান্ডা তুষারের জগৎ নিফলহেইম। মাস্পেল থেকে উষ্ণ বাতাস গিন্নুঙ্গাগ্যাপ পেরিয়ে এসে পড়তে থাকলো নিফলহেইমের তুষারে, জমাট তুষার গলতে থাকলো, খসে খসে পড়তে থাকলো গিন্নুঙ্গাগহ্বরে।
টাইটান ক্রোনাসের সময় মানবজাতির সোনালী যুগ ছিলো। টাইটান যুদ্ধে ক্রোনাসের পরাজয়ের সাথে সাথে সেই যুগের সমাপ্তি ঘটে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন জিউস। জিউস তখনো তার ক্ষমতাকে পুরোপুরি নিষ্কন্টক করতে পারেননি। তাকে টাইটান যুদ্ধের পর আরো দুটি যুদ্ধে জড়াতে হয়- জায়ান্টদের সাথে এবং টাইফুনের সাথে। সেই দুটি যুদ্ধের আগে জিউসের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মানবজাতির সৃষ্টি। আসলে সোনাল
এই যে, প্যাঁচালের পয়লা ভাগ---
(লেখার বিষয়ের সাথে 'রায়েরবাজার বধ্যভূমি' ফটোগ্রাফির দূরবর্তী কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানা নেই, তবে নিকটবর্তী সম্বন্ধযোগ নেই।)
উস্তাদ, ঐ উস্তাদ; হুন না!
[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]
হালুম হুলুম হালুম হুলুম
ঐ এলো রে মামা
পরেছে সে কালোর সাথে
হলদে ডোরার জামা।
বিদেশে অনেকগুলো বছর কাটানোর পর অল্পদিন হলো আবার ফিরে এসেছি ঢাকায়। নিজ জন্মস্থানের প্রতি আকর্ষণ কী কখনো মলিন হয়?
সেবার অনেকদিন বাদে বাবা বাড়ি ফিরল একটা কলার ডোঙা হাতে করে। বৃষ্টিটা সবে ধরে এসে চারদিকে তখন ছায়া ছায়া সন্ধ্যে নামছে একটু করে। বর্ষার শেষাশেষি বিকেলগুলো যেমন হয়, ভেজা ভেজা স্যাঁতস্যেঁতে। চারপাশ ভিজে থুবড়ে আছে। গাছপালার পাতা থেকে সরসর টুপটাপ পানি পড়তে ব্যাঙগুলো ঝিঁঝিঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘ্যাঁ ঘোঁ ঘ্যাঁ ঘোঁ করে রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে একসাথে। এর মাঝে লম্বা লম্বা পা ফেলে শেওলা ধরা উঠোনটা মাড়িয়ে বারান্দায় উঠে এসে ডোঙাটা সামনে বাড়িয়ে ধরে একমুখ হাসি দিয়ে বাবা বললে, দ্যাখো, তোমার জন্যে কি এনেছি! হ্যাপি বার্থডে!