শোন শোন পুরবাসী, শোন দিয়া মন,
তেঁতুলেরি কথা আজই, করিগো বর্ণন।
ভাবিওনা এসব তেঁতুল গাছের ডালে ধরে,
রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া যায় মনটা উদাস করে।
গাছের তেঁতুল দেখলে খোকার মুখে ঝরে লালা,
অন্য তেঁতুল দেখলে মোদের দিলে করে জ্বালা।
আমাদেরও ঝরে লালা (মুখে নয়রে বোকা!)
যৌবনেরই চাপে আজও আমরা বুড়ো খোকা।
তেঁতুল যদি নিজদেহ না করে হেফাজত,
আমরা ভাবি, ঐ দেখা যায় মালে গণিমত!
এই না ভেবে মমিন মোদের উঠিয়া দাঁড়ায়,
সবাই আগেই টের পেয়েছিলো, গরুর শ্লীলতাহানির সালিশে বেদম মজা হবে। তাই বিকেলের দিকে এলাকার লোক সরোয়ার মেম্বারের বাড়ির প্রশস্ত উঠানে এক মহোৎসব বসিয়ে দিলো।
ছেলেটা আমাদের স্কুলে ক্লাস সিক্সের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল। ইংরেজীর ক্লাস চলছিল, রঞ্জন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। রবিন আর ঝন্টু বেঞ্চের উপর একে অন্যের কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, আর মাথা নীচু করে কুটকুট করে হাসছিলো। আর আমরা হাসছিলাম ডেস্কের তলায় মুখ গুজে। স্যার একখানা রামধমক দিবেন এমন সময় হেডস্যার একটা ছেলেকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন। ঢুকেই রবিন আর ঝন্টুর দিকে তাঁর বিখ্যাত ভ্রু উলটানো হাসি দিয়ে একটু দেখলেন। রঞ্জন স্যার গদ্গদ মুখে এগিয়ে আসলে হেডস্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
শূন্য প্রাসাদে সাইকি এদিকে চায় ওদিকে চায়, যতদূর চোখ যায় চেয়ে চেয়ে দ্যাখে। না, নেই নেই কিউপিড নেই কোনোখানে। সে আসবে না। মনকে শক্ত করে সাইকিও বেরিয়ে পড়ে প্রাসাদ ছেড়ে। বাকী জীবনটা সে হারানো স্বামীকেই খুঁজবে। তাছাড়া তার জীবনের আর প্রয়োজন কী?