কাদেরীয়া বাহিনীর ভয়ে টাঙ্গাইল এলাকায় পাকিস্তানী খুনীরা তটস্থ থাকত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারত আমাদের যুদ্ধে যোগ দিলেও, তাদের ছত্রীবাহিণী টাঙ্গাইলে অবতরণ করে কাদেরীয়া বাহিনীর পাহারায়। ষোল ডিসেম্বরের পাকিস্তানী জান্তার আত্মসমর্পণের সময় কসাই নিয়াজীকে কাদের সিদ্দিকীর হাত থেকে বাঁচাতে ভারতীয় বাহিনীকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়। তারপর চল্লিশ বছরের অনিবার্য পঁচনের ফলশ্রুতিতে কাদের সিদ্দিকী এক দিন বিক্রী হয়ে যান জামায়াতে ইসলামীর কাছে।
গত কয়েকদিন যাবৎ একটা অদ্ভুত গুজব ভাসছিলো ঢাকা শহর জুড়ে। ঈদের দিন সকাল দশটায় নাকি পাঁচ জনের একটা কমান্ডো দল পিজি হাসপাতাল থেকে গোলাম আযমকে বের করে নিয়ে আসবে, তারপর শাহবাগ ওভারব্রিজের গায়ে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। কোথা থেকে এ গুজবের উৎপত্তি কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু ঈদের দিন ভোর বেলায় পিজি হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার লোকের ভীড় দেখে বোঝা গেল, অনেকেই গুজবটা বিশ্বাস করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে জামাই আদরে থাকা গোলাম আযমের খাবারের তালিকা দেখলাম আজ। ওটা দেখে ভীষণ রকমের অপরাধবোধ হলো। অপরাধবোধটা এলো তাদের কথা ভেবে, যারা অসহ্য কষ্টে দুবেলার খাবার যোগাড়ে হন্য হচ্ছেন। জন্ম সূত্রে তারা অপরাধী হয়েই জন্মেছেন। তাদের অপরাধ তারা হৃতদরিদ্র। দেশ- জাতি- ইতিহাস এসব বড় বড় বিষয়ের চেয়ে পেটের চিন্তাই এদের দিশেহারা করে রাখে সর্বক্ষণ। কিন্তু আশ্চ
একান্তই ব্যাক্তিগত অভিব্যক্তি।
এমনিতে আমি বোধহয় একটু বোকা কিসিমেরই মানুষ। না মানে পরিবারের লোকজন সে রকমই বলে কি না । এই যেমন, বাজারে গেলে দোকানদার নাকি আমাকে ঠকায়, সুযোগ পেলেই রিক্সা অথবা সিএনজি ওয়ালা বেশী ভাড়া নেয়, ইত্যাকার কথাবার্তা। এ সব শুনে শুনে আমারও ওরকমই ধারনা।
এ হেন বোকা মানুষটার মাথায় ইদানিং একটা বুদ্ধি খেলছে। আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে একটা মতামত নিই।
পাহাড়ে যারা যান তাদের মন পাহাড়ের চেয়েও উঁচু হবেই বলে আমরা ভেবে নিই, কিন্তু কথাটা সত্য নয়। পর্বতারোহীর অনেক জালিয়াতি ধরা পড়েছে যুগে যুগে, মিথ্যা খ্যাতির লোভে, স্পন্সরের টাকার জন্য, অসফলতার দায়ভার এড়াতে অনেকেই পাহাড় চুড়োয় না পৌঁছেও বলে দেন- আমরা শীর্ষে !
মহিলার বয়স আশি হতে পারে, নব্বই হতে পারে, এমনকি একশোর বেশীও হতে পারে। এরকম থুত্থুড়ে বুড়ি আমি জীবনেও দেখিনি। একজন মানুষের শরীররে এত ভাঁজ থাকাও সম্ভব?