দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।
১।
বিহবল ভাবটা তাড়াতাড়িই সামলে নেন গোলাম। আযমীর দিকে অলিভওয়েলের শিশিটা এগিয়ে দেন- “নে বাবা, দু’ফোঁটা খেয়ে নে চট করে। মাথাটা ঠান্ডা হবে। বেশি খাসনে যেন, এটুকুই দেয় জালিমগুলো।” হতাশ দৃষ্টিতে জনকের দিকে তাকায় গোলামকুমার। সেই দৃষ্টি দেখে নরম হন গোলাম, মিন মিন করে বলেন- “কি হয়েছে? চাঁদ ঊঠলে উঠবে, তাতে এত ভয়ের কি আছে? আশ শামসু ওয়াল কামারু বি হুসবান, ওয়ান নাজমু ওয়াশ শাজারু ইয়াস জুদান”। এইবার রাগে ফেটেই পড়ল গোলামকুমার- “আমাকে কি ভারতের শান্তিটিভির দর্শক পাইছেন? পান্তাভাতের মধ্যেও নায়কের মত একখান আয়াত আওড়াবেন আর গলে যাব? আপনার দৌড় কদ্দুর সে তো আমি ভালই জানি।” আবার মিন মিন করেন গোলাম- “আরে, কি হয়েছে ভেঙ্গে বল।” একটু ঠান্ডা হয় গোলাম কুমার, বলে- “কি ভাবেন নিজেকে? দাদাজানকে নাহয় সৌদী রাজ্যের রাজা নিজে উদ্ধার করে নিয়ে গেছিল, আপনাকে তো তাও করবে না।”
ঘুরাঘুরি.কম নামে ফেসবুকের একটা গ্রুপ আছে আমাদের। সদস্যরা নিজেদের ঘুরাঘুরি ছবি তথ্য শেয়ার করেন গ্রুপে, নতুন কোন ভ্রমন পরিকল্পনা থাকলে সেটা ও নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নেন। এ ছাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ও মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি’র আয়োজন করা হয়। এ ক্ষেত্রে আনকোরা, অপ্রচলিত স্থানগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়। গতবছর এরকম দুটি আয়োজন ছিলো। জুলাইয়ের ১৩,১৪ দুদিন প্রায় ৫০ জনের একটা গ্রুপ লঞ্চে করে ঘুরেছিলো দেশের উত্তর পশ্চিম স