আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন ধূমপানে ক্যান্সার হয়? আরো এটাসেটা কী কী জানি হয়! ডাঁহা মিথ্যে কথা। কিচ্ছু হয়না। একেবারেই কিছু না! এই লেখাটিতে সেই বিষয়ে বলছি। মহাপণ্ডিত গবেষকরা যে তামাককে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তার পেছনে বিরাট রাজনীতি আছে। মূল বিষয়টা অন্যরকম। যুগ বদলেছে, এখন আর তেলমশলা গুলিয়ে খাইয়ে দিলেই কি আর মানুষ ভুল বুঝে বসে থাকে? থাকেনা। সত্য সবার কাছে পৌঁছবেই। আপনার কাছেও পৌঁছবে। কিন্তু সত্য পৌঁছনোর আগে তামাকের প্রাথমিক এটাসেটা সম্পর্কে একটুখানি বলে নেই।
[আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। দুই- পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]
শোন শোন পুরবাসী, শোন দিয়া মন,
তেঁতুলেরি কথা আজই, করিগো বর্ণন।
ভাবিওনা এসব তেঁতুল গাছের ডালে ধরে,
রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া যায় মনটা উদাস করে।
গাছের তেঁতুল দেখলে খোকার মুখে ঝরে লালা,
অন্য তেঁতুল দেখলে মোদের দিলে করে জ্বালা।
আমাদেরও ঝরে লালা (মুখে নয়রে বোকা!)
যৌবনেরই চাপে আজও আমরা বুড়ো খোকা।
তেঁতুল যদি নিজদেহ না করে হেফাজত,
আমরা ভাবি, ঐ দেখা যায় মালে গণিমত!
এই না ভেবে মমিন মোদের উঠিয়া দাঁড়ায়,
সবাই আগেই টের পেয়েছিলো, গরুর শ্লীলতাহানির সালিশে বেদম মজা হবে। তাই বিকেলের দিকে এলাকার লোক সরোয়ার মেম্বারের বাড়ির প্রশস্ত উঠানে এক মহোৎসব বসিয়ে দিলো।
ছেলেটা আমাদের স্কুলে ক্লাস সিক্সের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল। ইংরেজীর ক্লাস চলছিল, রঞ্জন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। রবিন আর ঝন্টু বেঞ্চের উপর একে অন্যের কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, আর মাথা নীচু করে কুটকুট করে হাসছিলো। আর আমরা হাসছিলাম ডেস্কের তলায় মুখ গুজে। স্যার একখানা রামধমক দিবেন এমন সময় হেডস্যার একটা ছেলেকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন। ঢুকেই রবিন আর ঝন্টুর দিকে তাঁর বিখ্যাত ভ্রু উলটানো হাসি দিয়ে একটু দেখলেন। রঞ্জন স্যার গদ্গদ মুখে এগিয়ে আসলে হেডস্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
শূন্য প্রাসাদে সাইকি এদিকে চায় ওদিকে চায়, যতদূর চোখ যায় চেয়ে চেয়ে দ্যাখে। না, নেই নেই কিউপিড নেই কোনোখানে। সে আসবে না। মনকে শক্ত করে সাইকিও বেরিয়ে পড়ে প্রাসাদ ছেড়ে। বাকী জীবনটা সে হারানো স্বামীকেই খুঁজবে। তাছাড়া তার জীবনের আর প্রয়োজন কী?
মুখবন্ধ