পাজামা ভাসিয়ে ঝোল
মনে পড়ে পাজামা ভাসিয়ে ঝোল, ভাঁজ ধ’রে ক্রমাগত
গড়ানো শিশিরের মতো চলে গেছে, মুমিন সাবধান…
আঃ কি স্বেচ্ছাচারী আমি, হাওয়া আর নিংড়ানো ঝোলে মেখে
যেতে-যেতে ফিরে চাই, লোল ঝোল ফেলে ফেলে
কেন তুমি আলস্যে এলে না কাছে? নিছক সুদূর
হয়ে থাকলে বাঘা তেঁতুল ; কিন্তু কেন? কেন, তা জানো না?
লালা ঝরানোর জন্য? হবেও বা। স্বাধীনতাপ্রিয়
একটা শহর জেগে উঠে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে বলেছিল বিপ্লব চাই অথবা মৃত্যু। তখন আমি স্কুলবয়, ফুলের অসুস্হতা তেমন বুঝতাম না। বাগানভরা প্রজাপতি থোকায় থোকায় ঝুলে থাকত। ন্যাংটা শিশুরা অন্ধ পাখিদের খসে পড়া পালক কানে ঝুলিয়ে বিষণ্ণ বৃষ্টিতে শাওয়ার নিত। শিশুদের দুই হাত দুইদিকে প্রসারন করে মাপা হত মুক্তির পরিধি।
ঝরঝর কলকল শুনে খাই টাসকি
নারী দেখে হুজুরের ঝরে পড়ে রস কি?
টনটন ঠনঠন "আল্লামা' ইস্পাত
রাস্তায় নারী দেখে, আল্লামা কুপোকাত!
ওগো পাশের বাড়ির বালা
তুমি বাঁধালে এক জ্বালা
তুমি চলতে ফিরতে ঝরিয়ে গেলে এই মুমিনের লালা
(এই কাহিনী সম্পূর্ণ সত্য; ছাগলামি অবিশ্বাস্য মনে হইলে নিজ দায়িত্বে ঔষধ খাইয়া লইবেন)
“ঠিকানা লিখে দিলুম ভাই, বোনের খবর নিয়ো
কেমন আছে ফুলকলিরা ‘লিখে’ আমায় পত্র দিয়ো”
‘লিখে’ হবে না ‘দেখে’ হবে শব্দটি ভুলে গিয়েছি, কিছুতেই মনে করতে পারছিনা। পল্লীকবি জসীম উদ্দিন এর ঠিকানা কবিতার প্রথম দুটি লাইন। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করলে নিশ্চিত হয়া যেত কিন্তু কেন জানি না ইচ্ছে করছে না। সব কিছুই কেমন যেন বিষাদের সুরে গুনগুন করছে মনের মাঝে।
অনেকেই হয়তো স্বীকার করবেন যে গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে চলমান বিতর্কের অনেকখানিই শুধুমাত্র প্রকৃত তথ্যের পর্যালোচনা থেকে নিরসন হওয়া সম্ভব। এরকম পর্যালোচনা যে নেই তা কিন্তু না; সরকার কর্তৃক গঠিত গ্রামীন ব্যাংক সম্পর্কিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন (২০১১) কিংবা ফেব্রুয়ারী ২০১৩ এর গ্রামীন ব্যাংক কমিশনের অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পড়লেও বহুল প্রচলিত অনেক গুজবের পরিষ্কার উত্তর পাওয়া যায়।
এখন রঙিন টিভি দেখে দেখে অভ্যস্ত আমরা যদি সাদাকালো টিভির দিকে তাকাই, সেটা আমাদের অনেক বিবর্ণ, বোরিং বলে মনে হবে। নিজের চোখে চারপাশকে যেমন দেখতে পাই, টিভির ছবিগুলো তার বাস্তবসম্মত প্রতিরূপ আদৌ নয় কিনা।