গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ-এর প্রথম যে বইটা পড়েছিলাম সেই বইটার নাম খুব অদ্ভুত ছিল! Memories of My Melancholy Whores নামটা দেখেই মনে হয়েছিল, এই বইটা দিয়েই না হয় আমি মার্কেজ-এর জাদুময় জগতে প্রবেশ করি! বই পড়তে শুরু করেই বলা চলে বেশ বড় সড় একটা ধাক্কা মত খেলাম। কারণ গল্পের প্রধান চরিত্র নব্বই বছরের একজন বৃদ্ধ সাংবাদিক! যে তাঁর নব্বইতম জন্মদিন পালন করতে চাচ্ছেন একেবারেই নিজের মতন করে!
এবং দেয়ালের একপাশ সংক্ষেপে গৃহী হলেও মোড়কে উৎপন্ন সফল সুখে’র দায়ভার পার্শ্ববর্তী দেয়ালের কানে কেবল-ই মন্ত্রণা দেয় পরবাসী... হে বিভেদ, হে দ্বন্দ্ব কিংবা ইতর লোভের জলে ঢিল ছোঁড়া হৃত হাত -- জলে বাড়ে জলধি যদি, কর্মে কার্পণ্য বাড়ায় স্তুতি আর যতি-হীন অপলাপ...
'একাধিক শোকে অশ্রুর একাধিক ধারা বহে না' -- সৈয়দ শামসুল হক
অসংখ্য কথা জমে মেঘ হয়ে আছে...
অতএব প্লাস্টিকের হাসি দিতে দিতে খুচরা হিসেবগুলি নগদে সেরে ফেলার নাম নাগরিক সভ্যতা। আমি জানি চাঁদের বাহারি জৌলুস, এরপর বজ্রপাত সহ বৃষ্টি, আবার ভ্যাপসা গরম এবং দুইশোর উপরে বিপি। পরিত্যক্ত এই রাত্রিটাও কেটে যাবে আরেকটা সকাল হবে বলে। দুঃস্বপ্নের হাতপাখা নাড়তে নাড়তে একদিন খয়েরি হয়ে যায় জংধরা অনামি মানুষ; আমি সেই মানুষদের দলে...বছর কুড়ি আগের শৈশবটায় দেড় হাত লম্বা আমিটাই ভালো ছিলাম। কেন যে হুদামিছা বয়েস বেড়ে গেলো, আর জীবনের সীমানাটাও সাড়ে তিন হাত লম্বা হয়ে গেলো... কখনো কখনো ভাবি একটা মাত্রই তো জীবন, তাতেই যদি সব নিয়ম মেলে চলি তাহলে তো 'নাগরিক মানুষ' হয়ে যাবো। তারচেয়ে বরং চলুক না অনার্য জীবন...
১৯৭২ সাল, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের পর্বতমালায় একধরনের ব্যাঙ খুঁজে পাওয়া গেল। প্রাণীবিদরা ভেবেছিলেন- ব্যাঙ প্রজাতির অনেকগুলি সদস্যের মধ্যে আরেকটি সদস্য মাত্র যোগ হল। তখনও বোঝা যায়নি এই ব্যাঙের মাহাত্ম!
এক রাজার ঘরে ছিল তিনটি সুন্দরী কন্যা। তাদের মধ্যে বড়টি মেজোটি সুন্দরী আর গুণশীলা বটে কিন্তু ছোটোটি রূপেগুণে একেবারে অতুলনীয়া। সেই ছোটো রাজকন্যার নাম ছিল সাইকি।