যে পৃথিবী না-মানুষের
সেই পৃথিবীতে বাঁচি দিন শেষে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা শকুন ঘোরে হাওয়ায়
আধুনিক গেরস্তের ঘরে ঢুকে খেয়ে যায় হৃদয়-
কিছুই হয়নি ভেবে নির্লিপ্ততা গ্রাস করে
ধারহীন নেইলকাটারে নখ কাটি-
ইউটিউব খেতে থাকি চা-সিগ্রেটের সাথে।
প্রতি সন্ধ্যেবেলা-
একটা মানুষ একটু একটু করে মরে যায়।
"হ্যালো, তুলি?" ফোনের ওপাশ থেকে অন্বেষার গলা।
হেসে বলি, "হ্যাঁ রে টেঁপি, আমি। বল।"
অন্বেষা বেশ অনেকদিন টেঁপিতে আপত্তি করতো না, ভেবেছিলাম বুঝি ওর অভ্যাস হয়ে গেছে, কিন্তু আজকে ওপাশে সে রেগে ফায়ার, বলে, "তোকে বলেছিলাম টেঁপি বলে না ডাকতে। বন্ধুর একটা কথা রাখতে পারিস না?"
অনেকদিন একটা উপন্যাস টানা পড়ে শেষ করলাম- উইলিয়াম গোল্ডিং এর 'Lord of the Flies'। পড়তে পড়তে প্রথমত যেটা অনুভব করলাম সেটা হল সামাজিক বিজ্ঞানের (আরো বিশেষ করে বললে নৃবিজ্ঞানের) দীর্ঘ চার বছরের প্রশিক্ষণ আমার সাহিত্যপাঠের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধরণকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে, হয়ত বলা যায় সমৃদ্ধও করেছে। আগে যখন পড়তাম তখন কেবল শব্দের খেলা, লেখার শৈলী, চরিত্রের নিরিখে গদ্যের মাহাত্ম্য অবলোকন করতাম, তারও আগে স্রেফ নাম