দীর্ঘ ছুটির পরে কাজে ফিরেছে মিলি। বিচ্ছিরি অসুখের চিকিৎসায় ভেঙ্গে পড়েছে শরীর। নিজেকে টেনে টেনে চলে ও। এ শহরের বাসগুলো ইচ্ছে করলেই নিচু করা যায়। বয়স্ক কিংবা হুইল চেয়ারের যাত্রী দেখলেই বাসের চালকেরা বাস নামিয়ে নিচু করে দেয়। কিন্তু মিলিকে বাইরে থেকে দেখে ওর শারীরিক অবস্থা বুঝার উপায় নেই। তারপরেও চালককে অনূরোধ করলে, নিচু করে দিতো যাতে বাস থেকে নামতে সহজ হতো। মিলি কিছুতেই তা করবে না। অদ্ভুত এক আত্মমগ্ন অভিমানে ডুবে আছে ও। তাই প্রতিবার বাসে ওঠা নামা করতে কষ্টে নীল হয় ও। নিজেকে নিজেই বলে, “কষ্টেরা নীলই হয়, মিলি, নীলই হয়...”
মাথার মধ্যে বেঁচে আছে
লতার ঘ্রাণ নদীর স্রোত
এখনো বনফুল
আমাকে চিনতে পারছো
আমি সেই বনচারি
উৎসের কাছে মানুষ ফেরে
আমি শুধু বলতে এসেছি
এই বনবিথিবাহারে গোলাপে কাঁটার কৃষ্টি
বেঁধে যদি বুকে আর দুফোটা অশ্রু
সেই তো পরম প্রাপ্তি
মুখটা ময়লা না মেঘলা
ঠিক মতো বুঝিয়ে না বললে
কী করে বুঝব- বলো হে সবুজ পাতা
মুখটা ময়লা না মেঘলা ?
২৬.০৭.২০১৩
মেডুসা- গ্রীক মিথলজির এক আকর্ষণ। গ্রীক মিথলজির কোনো আলোচনাই মেডুসা ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়। টাইফোয়িয়াসের কথা মনে আছে? যার সাথে দেবতাদের বিশাল এক যুদ্ধ হয়েছিলো? সেই বিশাল দানব টাইফোয়িয়াস বিয়ে করেছিলেন অর্ধেক সাপ, অর্ধেক মানবী এচিডনে-কে। তাদের তিন মেয়ে ছিলো, যারা গর্গন নামে পরিচিত ছিলেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন মরণশীল, তিনিই হচ্ছেন মেডুসা। কেউ কেউ বলে থাকেন, মেডুসা প্রথমে গর্গন ছিলেন না, তিনি খুব সুন্দরী ছিলেন, তার বাবা মা ছিলেন ফোরকিস এবং কিটো।
লেখা শুরু করি অভিযোগ জানিয়ে। আমি দুর্ধর্ষ একজন লেখক। বিদ্যুৎ গতিতে আমি লিখে যাই। দিনে মিনিমাম কয়েকশত গদ্য, পদ্য। সচলায়তনে আমার মোট দুই লাখ ছেচল্লিশটা লেখা ছিল। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি দুইলাখ লেখা গুম! ছিল দুইলাখ ছেচল্লিশটা লেখা, এখন গুনে দেখি আছে মাত্র ছেচল্লিশটা। বাকি দুইলাখ লেখা (যার বেশিরভাগই প্রেমের পদ্য ছিল অবশ্য) রাতের বেলা ট্রাকে করে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছে । অথবা হয়তো ইলেকট্রিক চুল্লিতে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে সেই ছাই দিয়ে সচলের মডুরা দাঁত মেজে ফেলেছে । যাই হোক, অভিযোগ করা শেষ। আমার দুই লাখ লেখার গায়েবানা জানাজা করে এবারে টিউটোরিয়াল শুরু।
দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন
অনেকদিন পর নির্জন অবসরের শান্ত কোন প্রহরে তোমায় কিনে দেয়া বইটির এই পাতাটিতে হয়ত তুমি আবারো চোখ রাখবে, তোমার আচ্ছন্ন স্মৃতিমেদুর চোখে সেদিন কি ভাষা ফুটে উঠবে তা আমি জানি না, হয়ত কিছুটা অনুমান করতে পারি; ১৬ আগস্ট ২০১৩ এর সেই সন্ধেবেলাটি তখন হয়ত সুদূর অতীতের দিকে হেঁটে গেছে অনেকটুকু পথ, তবুও তোমার স্মৃতিতে আবার কি সে ফিরে আসবে?
আজ ২০ আগস্ট।
একাত্তরের আজকের দিনে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফট্যান্ট মতিউর রহমান শহীদ হন।
কতটা দু:সাহসী হলে ও দেশের প্রতি কত বেশি ভালোবাসা-মমতা থাকলে, একাত্তরে পশ্চিম পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি থেকে বিমান ছিনতাই করে, তা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নেয়ার ইচ্ছে ও চেষ্টা মতিউর রহমান করেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
নব্বই দশকের মাঝামাঝির দিকে বাংলা সফট-রক ব্যান্ড 'ফিডব্যাক' তাদের এপিক লোকগীতি ভিত্তিক ফিউশন এ্যালবাম 'বাউলিয়ানা' প্রকাশ করেছিলো যা কিনা দেশি তরুণদের গানের স্বাদে আমূল পরিবর্তন করেছিলো; এমনকি পরবর্তীতে বাংলা ব্যান্ডের ধারাকে ঘুড়িয়ে দিয়েছিলো। সাত বছর গবেষণার পরে ফিডব্যাক সেই এ্যালবাম প্রকাশ করেছিলো যা কিনা ছিলো মূলত লালনের গানের ফিউশন। তবে লালনের গানের সুর একটু গম্ভীর এবং কথা একটু
এই উপকথা কেপ টাউনের মালয়-জনগোষ্ঠীর। আজকে গল্পের শেষাংশ। এখানে আগের অংশ
পরদিন সকালে সুলতান জমকালো সাজপরানো রাজকীয় ঘোড়ায় চড়ে এসে হাজির আমিনার দুয়ারে। ঘোড়া থেকে নেমে দরজা ঠকঠক করে ডাকলেন, "আমিনা, আমিনা।"
আমিনা দরজা খুলে দেখলো সুলতান দাঁড়িয়ে। সে নত হয়ে সম্মান জানিয়ে সুলতানকে এনে প্রথম ঘরে বসালো।