আমাদের সবাইকে তাজ্জব করে প্রফুল্ল আমার কানের উপর বিশাল একটা থাবড়া মেরে বসলো। আমি কখনো ভাবিনি এই জায়গায় আমাকে কখনো থাবড়া খেতে হবে। কুংফু কারাতের সকল প্রতিরক্ষা ব্যর্থ হয়ে আমি গড়িয়ে পড়লাম ৯ নম্বর মাঠের কোনায়।
হারামীটাকে আমি একটু আগেই আইসক্রিম কিনে খাওয়ালাম। আইসক্রিমের ঝোল এখনো তার ঠোঁটের কোনায় লেগে আছে। তবু সে এভাবে মারতে পারলো?
গভীর ঘুমের মধ্যে ছুটছে এক বালিকা। পরনে তার সমুদ্র নীল জামা। ঘটি হাতায় সাদা রঙ্গের লেইস। গুচ্ছের চুল বিনুনি করে হলদে ফিতায় বাঁধা। মাঠ ভর্তি হলুদ সর্ষে ক্ষেত। ক্ষেতের আইল ধরে ছুটছে সেই অবোধ বালিকা... ছুটছে...ছুটছে...ছুটছে...
কবে থেকে এই ছোটার শুরু?
লেদ্রো হ্রদের নাম আমার পরিচিত অনেকে শুনে থাকলেও যায়নি বা যেতে পারেনি কোনদিন। যাবার একমাত্র রাস্তাটা অনেকেই চিনে …… ইতালির বিখ্যাত গারদা হ্রদকে না ছুঁয়ে বা না দেখে লেদ্রো উপত্যকায় পা ফেলার কোনও উপায় নেই। ঝামেলাটা ওখানেই, গারদা লেকের(lago di garda) বিশালতা আর এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্পের অত্যাধুনিক অবকাঠামো আটকিয়ে দিবে ছুটির আনন্দ অন্বেষণে ঘরছাড়া টুরিস্টকে। কে যাবে বলুন ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গারদা লেক ছেড়ে ওই ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুঁচকে লেদ্রো লেকে? আমি কিন্তু যাই, আমার মত যারা পাহাড় ঘেরা এক শান্ত উপত্যকায় একটু আপন করে পেতে চায় প্রকৃতিকে তারা গরমের ছুটিতে ভিড় করে লেদ্রো উপত্যকায়। শখের ট্র্যাকিং জুতোজোড়া আর কাঁধের ঝোলা ছাড়াও এবার সাথে থাকছে DIANA।
এই উপকথা কেপ টাউনের মালয়-জনগোষ্ঠীর।
এক দেশে এক সুলতান ছিলেন। বহুদিন সুখে সংসার করার পরে হঠাৎ তাঁর স্ত্রী পরলোকে গেলেন। সুলতান খুব মুষড়ে পড়লেন। দিনের পর দিন তিনি শোকে ম্রিয়মান দেখে তার সঙ্গীসাথী শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে অনুরোধ করেন তিনি যেন অন্যদিকে মন দেন, ইচ্ছে করলে যেন নতুন আরেকটি বিবাহ করেন। কেউ কেউ সম্ভ্রান্ত বংশের সুন্দরী কন্যাদের খবর আনে, কিন্তু সুলতানের কাউকে পছন্দ হয় না।
মিনার টাওয়ার খুঁজে পেতে মোটামুটি ঘাম বেরিয়ে গেলো।
মুহিতের ভাষ্যমতে, গুলশান-২ থেকে সোজা নাক বরাবর পাঁচ মিনিট হাঁটলেই ৮ নম্বর রোড। রোডের মাথায় সৌদি দূতাবাস। দূতাবাসের গার্ডদের জিজ্ঞেস করলেই নাকি মিনার টাওয়ার দেখিয়ে দেবে।
[justify]
সেই ছেলেবেলায় কবে কোন এক অপ্রকৃতগ্রস্ত মহিলা বলেছিল, আমার নাকি বিদেশযাত্রা নাই কপালে, শুনে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। কেন জানি হাত দেখতে পারে এমন কাউকে পেলেই জিজ্ঞেস করতাম আমার-বিদেশযাত্রা আছে কি না। এত কিছু থাকতে বিদেশযাত্রার কথাই কেন জানতে চাইতাম ঠিক নিজে ও বলতে পারবোনা। এই পাগলামি করেছি বুয়েটে পড়ার সময় ও, এক বন্ধু একবার বলেছিল তার কোন এক বন্ধু হাত দেখতে পারে, তার কথা নাকি বেশ ফলে ও যায়। কিন্তু তাকে হাত দেখাতে হলে আবার অমুক জায়গায় তার সময়মত যেতে হবে। সেখানে ও গিয়েছিলাম, সে ও নাই বলেছিল। সবাই কমবেশি নাই বলতো। এই না কে হা করতেই কি না জানিনা আমার বারবার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। পাগলের মত খালি ঘুরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বিশ্বের এক ফালি জায়গা ও যেন বাদ না যায় যেখানে আমি পা ফেলি নাই।
# এনাটমি ডিসেকশন রুমের বুড়ো কংকাল আজ কেমন আছে? ক্যালসিয়ামের অভাবে ক্ষয়ে গিয়ে কী ঝরে পড়েছে মাটিতে? সুভাষ দাদু তার শত ব্যবহার্য ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলেছেন সব? ডিসেকশন রুমে ঢোকার মুখে বড় বড় তিনটা চৌবাচ্চার মতো বাথটাবে ফরমালিন গোসল কেমন হচ্ছে নাম না জানা মানুষগুলোর?
(প্রথম সাতটি পর্বে গ্রীক মিথলজি অনুযায়ী সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত ঘটনাপঞ্জী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছিলো। গ্রীক মিথলজির এই লেখাকে আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। সৃষ্টিতত্ত্ব ছিলো প্রথম ভাগ। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন দেবতাদের গল্প- যা অষ্টম পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে। তৃতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন ডেমিগডদের গল্প, চতুর্থ ভাগে বিভিন্ন বীর এবং অভিযানের কাহিনীসমূহ এবং পঞ্চম ভাগে থাকবে ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে রোম নগরীর প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত। এই কাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য এই সিরিজটা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া আর পাঠকদের জন্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখা। দেখা যাক, এই রাস্তার কোথায় শেষ হবে এবং শেষে কি আছে!)
অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!