প্রেম ...পাকিজা শাড়ির তলায় লুকিয়ে ছিল
আমি তাকে ধরে নিয়ে এলাম বেদনাহত কবুতরের বাচ্চার ডিমে তা দিয়ে
অথবা নার্গিস বন পেঁয়ারার ডালে বসে থাকা ডাবল পেঁয়ারা
মৌটুসী তুমি নেমে এসো জলদি
গভীর অনকূলহীনতা হামাক পিছু ডাকে
অভিমান..স্বপ্নহীনতাকে ঘিরে ধরে নিয়তই চাবকায়
ওগো ঘোড়া তোমার গোলাপী হৃদয় কেবলই দৌড়ায় মাঠ পেরিয়ে দূরের মাঠে
তবু তুমি ক্লান্ত নও...তুমি কি জানো না বেদনায় নীল হয়ে গেছে চীন সাগর
সকালে অফিসে আসার আগে চা খেতে খেতে দশ মিনিট টিভির নিউজলাইনে চোখ বুলাই। ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিভি জিনিসটার সাথে এটাই আমার একমাত্র যোগাযোগ।
আজ সকালে চ্যানেল ঘুরাতে গিয়ে এটিএন বাংলায় আটকে গেলাম অচিন এক ভদ্রলোকের গর্জিত ভাষণে। নিউইয়র্কের হিলটন হোটেল থেকে লাইভ সম্প্রচার চলছে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাযুক্ত টাই পরে সেই ভদ্রলোকের বক্তৃতা গর্জন। সামনে মাইক থাকলেও রাজনৈতিক ভাষণগুলো কেন যেন গলা, কান ও গগন বিদারী হয়। এই ভদ্রলোকের চেহারা দেখে আমাদের পাড়ার খুইল্লা মিয়ার কথা মনে পড়লো। ইলেকশানের আগে তার গলায়ও অসুরের শক্তি ভর করতো।
(কিউপিড এবং সাইকীর এই গল্পটিও শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যায়। তাই চরিত্রগুলো গ্রীক মিথলজির হলেও নামগুলো সব রোমান নামই ব্যবহার করা হয়েছে। )
আগের পর্বে বলেছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে কিভাবে বোমা বানিয়ে সুনামী সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন বলবো আমাদের সবার জানা একটা ঘটনা, কিন্তু সে ঘটনা যে সুনামীর সাথে সম্পর্কযুক্ত সেটা অনেকেই জানিনা।
ঘোরাঘুরি আমরা বেশ ভালো পাই। আমরা বলতে আমি, আমার গিন্নি আর এক বছর বয়েসি কন্যাটি। পৌণে ছয় এর পুত্র ঘুরতে যাবার কথা শুনলেই মুখ গোমরা করে ল্যাচা মেরে বসে পড়তে চায়, ঘুরে ঘুরে পাথর গাছপালা পানি দেখার চাইতে ইউটিউবে কার্টুন দেখা তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক। বেশিরভাগ দিনে তাকে ধমক দিয়ে কিংবা টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বার করতে হয় এবং সেইসব দিনগুলোতে অবধারিত ভাবে কানের কাছে সারাক্ষণ বাজতে
প্রাচীন মানুষের মন কেমন ছিলও? অবচেতন মন বলতে কি কিছু ছিলও? যদি অবচেতন মন থাকে তবে অবদমিত ঘটনাগুলোই বা কেমন ছিলো? এই সব অবদমিত ঘটনাগুলো কিভাবেই বা মানুষের চেতনার জগতকে প্রভাবিত করতো? অর্ধ-চেতন মন (Sub-Conscious Mind) বলতে কি কিছু ছিলও? নাকি, আজকে আমরা মন বলতে যা বুঝি তা নিছক কোটি বছরের বিবর্তিত রূপ? মনের এই স্তরগুলো ঠিক কবে থেকে একসাথে তাদের কার্যকলাপ শুরু করেছিলো ?
সুনামী কি সেটা আমরা সবাই কম বেশী জানি। সাগরে বা লেকে বিশাল আয়তনের পানি স্থানান্তর হওয়ার ফলে একের পর এক যে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে সুনামী বলা হয়। ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিধ্বস, পানির নীচে বিস্ফোরন (পানির নীচে আনবিক যন্ত্রের বিস্ফোরনসহ), হিমবাহের ভাঙ্গন, উল্কাপিন্ডের সংঘর্ষ, এবং পানির নীচে ও উপরে সংঘটিত আরো অনেক আলোড়নের জন্য সুনামী সৃষ্টি হতে পারে।
২০০৯-এ আমি একবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য মন্ট্রিয়ল গিয়েছিলাম। সেই শহরের কিছু গাড়িঅলা মানুষ আমাকে অপার করুণা দিয়েছিলেন।গাড়িতে করে অনেক ঘুরিয়েছিলেন তাঁরা। শহরের আনাচে কানাচে "অনেক ঘুরেছি আমি বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে"! মন্ট রয়্যাল পাহাড়ের ওপরটা তো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে সমস্ত শহর জুড়ে রাতের আলোকসজ্জা দেখা ছিল আমার প্রিয় অভ্যাস।
ছোটবেলায় শীতল যুদ্ধের সময় দেখতাম বামপন্থীদের একটি বৈশ্বিক অবস্থান ছিল। নিকারাগুয়ার সান্দানিস্তা সরকারের সাথে কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সংঘাতে কিংবা পেরুর পিনোচে বা ফিলিপাইনের মারকোসের বিরুদ্ধে গনঅভ্যুত্থানে এদেশের বামপন্থীরা একটি পক্ষ নিতেন। ভিয়েতনামে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকার রাস্তায় প্রতিবাদের সময় পুলিশের গুলিতে দু’জন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী নিহত হবার ঘটনা সবার জানা। কালের বিবর্তনে এখন