# শেষ হয়ে যাওয়া বিকেলের রোদ আর শুরু হতে যাওয়া রাতের আকাশ আমাকে প্রায় দ্বিধায় ফেলে দেয়। আঙ্গুলের ফাঁকে হাহাকার মেশানো বিষণ্ণতা নিয়ে তো এখন দিব্যি ভালো আছি। সবচেয়ে ঝামেলা হয় যখন দ্বিধাটি কী নিয়ে সেটাই বুঝে পাই না। সেদিন হয়ত আড্ডায় যাওয়া হয় না, কোনো মেয়েকে শিস দেওয়া হয় না, কাউকে নিয়ে টিপ্পনী কাটা হয় না। ফোনের পর ফোন আসে, ফোন বেজেই চলে আর আমি চুপচাপ বসে থাকি জানালার ভাঙ্গা কাঁচের সা
বিল্টুকে আপনারা সকলেই চেনেন। ও শহরের বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিলি করে। আমাদের ব্যস্ততার সময়ে অপ্রয়োজনীয় লিফলেট বাড়িয়ে দিয়ে বিরক্ত করে। ওর নাম হয়ত শহর থেকে শহরে পালটে যায় কিন্তু ব্যাপারটা একই থাকে। আমরা অনেকেই এইসব উটকো ঝামেলা পাত্তা দিই না, অনেকে হাতে নিয়ে একটু সামনে গিয়ে ফেলে দিই আবার কেউ কেউ মাঝে মধ্যে দু-একটা লিফলেট পকেটেও পুরে ফেলি। যাই হোক, কথা হচ্ছিল বিল্টুকে নিয়ে।
সীমান্তরখা-১, সীমান্তরখা-২, সীমান্তরখা-৩
ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না মোজাম দেড়ে। বিরক্ত হলেন বিডিআরদের ওপর। তবু দরজা খুলতে হলো।
‘কী ব্যাপার, এতো রাতি দরোজা খুইলে নিলে কেনো গা?’ বিরক্তি উগরে দিলেন খাকি পোশাকের বিডিআর জওয়ানদের ওপর।
‘চাচা,’ মুখ খুলল এক জওয়ান। ‘সারগর্তটা কি আপনার?’
‘হ্যাঁ, আমার বৈকি।’ মোজাম দেড়ের দ্বিধাহীন জবাব। ‘তা...?’
‘মানে, আপনার সারগর্তে খুঁড়ে আমরা ছ’বস্তা চিনি পেয়েছি। ওগুলো বোধহয় আপনার।’
রাগে লাল হয়ে উঠল মোজাম দেড়ের কৃষ্ণবরণ মুখমণ্ডল। কোনোমতে নিজেকে সামলে বললেন, ‘আমার বাড়ির চাকর-বাকরাও বিলাক করে না, এ কথা মুখ থেইকে ছাড়ার আগে একবার আমার সম্পক্যে খোঁজ-খবর করা উচিৎ ছিল তুমাদের।’
মশক মিছিল
মেঘের মতো থমথমে মন নিয়ে ফুলের দিকে তাকালে, আপেলগুলো
ঝরে পড়ে আছে, পাখিদের অনিহাও দেখলে। ছোট্ট খালের ধারায়
গড়িয়ে যাবে সন্ধ্যা, দূরে জ্বলে গেছে যদিও দুই-একটি প্রদীপ। ধোঁয়া-ধোঁয়া
হাতছানি দেয়, উঁচু ঐ পর্বত ? একটু দাঁড়ালে, ‘পৃথিবীর এসব কী অযাচিতই
লিখে যাচ্ছি’? ভাবনার পায়ে আবার হাঁটছো, মুখের উপর মশক মিছিল।
পাখিরা সব গাঢ়কাক
[justify]কঙ্কার বিয়েটা হুট করে হয়ে যাবে কেউ ভাবেনি। ওর সাথে আসাদের সম্পর্ক ছিল, বন্ধুদের মধ্যে দু’একজন ছাড়া কেউ জানত না সেকথা। যারা জানত তারা একথাও জানত ঝোঁকের মাথায় কিছু করে বসার মেয়ে কঙ্কা নয়। আসাদের পরিবারের অবস্থাও সেসবের পক্ষে অনুকূলে ছিল না।
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি আমাদের বিছানার মাঝে সারি সারি বিলের পাহাড়। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল... বিল বিল বিল। বিলি বিলি বিলি। টক টক যোগ করে যায় ক্যালকুলেটর।
বিলের বখরা নিয়ে ঘর হিম। বাইরে তাপমাত্রা ১৭ডিগ্রি ফারেনহাইট।
১ম বিপিএল এর উপস্থাপনা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম, এ লজ্জা রাখি কোথায় তারই ধারাবাহিকতায় এই লেখাটি।
পেপার স্প্রের নাম প্রথম শুনি প্রায় বছরখানেক আগে। ২০১১ সালের নভেম্বরে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ডেভিসে টিউশন ফি বৃদ্ধির কারণে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উপর পেপার স্প্রে নিক্ষেপ করা হয়। মুখ ঢেকে বসে থাকা নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের উপর হেঁটে হেঁটে নির্বিকারভাবে পুরো এক ক্যানিস্টার পেপার স্প্রে খালি করছে ইউনিভার্সিটি পুলিশ, এই ভিডিওটা ভাইরাল হয়ে ছড়ায় ইন্টারনেটে।