লিখতে বসলাম। জানিনা কি লিখতে বসেছি। লিখতে ইচ্ছা করছে তাই লেখা শুরু করা। লেখা শুরু করাটাও আরেক ঝামেলা। কি দিয়ে শুরু করবো। শুরু করতে যেয়ে আর শুরু করা হচ্ছে না। যাই হোক, শুরু যখন হোলই শুরুই করি। কাদের মোল্লার চা খাওয়া দিয়েই শুরু করি।
আমি সময়মত কিছু বলতে বা লিখতে পারিনা। কাদের মোল্লায় ফাঁসি নিয়ে উত্তেজনার দিনগুলোতে সবকিছু বাদ দিয়ে আমার চোখের সামনে ভাসতো আমাদের স্বাধীনতা উত্তর অসহায় পরিবারটি। আশির দশকেও মামাবাড়ির ঘরগুলো খড়ের, মাথার ওপর কিছু নতুন টিনের চাল। চারদিকে বলতে গেলে খোলাই। আমরা ওখানে যেতে চাইতাম না। মাকে জিজ্ঞেস করতাম -- মামারা এতো গরীব কেনো?
- মেয়ে আমেরিকান
আম্মা শুনে চোখ কপালে তুলে বলে,
- সাদা চামড়া?
- নাহ
হাঁফ ছেড়ে বলে,
- তাহলে কি আমাদের দেশী? আমেরিকায় বড় হয়েছে?
আমি বলি,
- নাহ আফ্রিকান আমেরিকান।
আম্মা আবারও চোখ কপালে তুলেন। একটু হেঁচকি তুলে কান্নার ভঙ্গী করেন। কিন্তু কান্না আসে না। 'ও মতিনের বাপ, এদিকে আসো। আমি শেষ' বলে বিকট চিৎকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গলার আওয়াজ বেশিদূর যায়না। আব্বা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাটুকে গলায় বলেন,
ভোররাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল নাসিমার। গলা শুকিয়ে কাঠ। দুঃস্বপ্ন দেখেছেন। পাশে মেয়েটা অঘোরে ঘুমুচ্ছে। ওকে ডাকতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ডাকলেন না। কিন্তু খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে তার, বুকের ভেতরের পাথরটাকে নেড়ে চেড়ে গুমোট ভাবটা কাটাতে চাইছেন তিনি। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে খাট থেকে নামতেই মেয়ে বিরক্ত গলায় বলল
-এত ভোরে উঠে পড়লে কেন মা?
-ইয়ে... সুমনকে একটা ফোন করবি, তিথি?
ভয়ে ভয়ে নাসিমা মেয়েকে বললেন কথাটা।
০০১।
অগ্রজ মাহবুব আজাদ সচলের অবস্থান-তখতে স্বগতোক্তি ঝুলাইয়া রাখিয়াছেনঃ “কসাই কাদের মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে কত্তবড় কেপিটেস্ট”। পীরবাবা আবার সত্যের ডালি উজাড় করিয়া বেশরমের ন্যায় বঙ্গালমুলুকে মুত্রবিসর্জন করিয়া অলৌকিকভাবে পাকমুলুকের সবুজ তৃণ নাপাক করিবার উপক্রম করিয়াছেন। এই প্রেক্ষিতে আরেক ব্যাঘ্রশাবক, সহাচল সুমন ভ্রাতঃ ফরমাইয়েছেন, উহাদিগকে (Dark lords, They who must not be named) ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের সুনিপুণ পাঁচালী। এক্ষণে বলিয়া রাখি, পরের মতখানার সঙ্গে আমি কিঞ্চিৎ দ্বিমত প্রকাশ করিতেছি। আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের আগে তাহাদিগের প্রয়োজনীয় উপাদানসমুহ আমাদিগের ভবিষ্যতের নিমিত্তে দ্রাক্ষারসের ন্যায় শুষিয়া নেওয়াই উত্তম- ইহাই আমার মত। স-মাংস অস্থি কেউ কখনও কি সারমেয় ভক্ষণের নিমিত্তে সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি সহযোগে ব্যাবহার করে? কিংবা স-মৎস্য কণ্টক কি পোষ্য মার্জারটিকে স্বত্ত ত্যাগ করিয়া দান করা হয়? মোটেই তাহা নহে। উহা আদতে সমীচীনও নহে। কিরুপে? উহাই আলোচনা করিব, বোকাবাক্সের বিজ্ঞাপনপূর্ববর্তী লাস্যময়ী উপস্থাপিকা কিংবা অতিউত্তেজনায় গাঁজন অপচয়কারী (গ্রন্থ মোতাবেক- শয়তানের ভ্রাতঃ) উপস্থাপকের ন্যায় বলিতেছি- “সঙ্গেই অবস্থান করুন”।
আজ বাংলাদেশ এর ৪৩ তম বিজয় দিবস ছিল। সকালে নিজের ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে ২৭ হাজার এর ও অধিক লোক এর অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকার অবয়ব নিয়ে যে বিশ্ব রেকর্ড করা হয় সেটার একটা ছবি শেয়ার করেছিলাম। সন্ধ্যায় সেই ছবিটাই আবার দেখি বড় স্ক্রিনে আট টি দেশের ছাত্র ছাত্রী দের উপস্থিতি তে। আজকে আমাদের একটা কোর্সের প্রেজেন্টেশান ছিল সন্ধ্যাই। আমার একজন বাঙালি সহপাঠিনী ওর স্লাইড প্রেজেন্টেশান শুরু করে ফেইসবুকে শেয়ার দেয়
কথাটা বেশ কিছুদিন আগে এই সচলায়তনেই বলেছিলাম মন্তব্যের ঘরে, এবার মনে হয় উচ্চস্বরেই বলার সময় এসেছে, "পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক।"
বাংলাদেশের সঙ্গে ইজরায়েলের কোনো জাতিগত বিরোধ নাই, ছিলোনা কোনোকালে, তবু সেই দেশটির সঙ্গে আমাদের কূটনীতির বিরোধ আছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল যাওয়া যায় না।
যতদূর মনে পড়ে একসময় একই সিস্টেম ছিলো তাইওয়ান আর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও।
"খুব জ্বলে, তাই না?"
এবারতো আমরা শুধু চাই শান্তিমতো নিজের ঘরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে। ওগুলাকে ডাস্টবিনে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসতে পারলে অনেক আরাম লাগতো; কিন্তু ঐদিকে খুব দূর্গন্ধ, একটু দুরেও, ঘরেও অনেক কাজ; তাই আবর্জনাগুলো ঘরেই মাটি চাপা দিচ্ছি। এতেও ডাস্টবিনের পিত্তি জ্বলছে; চোখের পানিতে সমগ্র ডাস্টবিনজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে!
খবরে প্রকাশ কাদের মোল্লার ফাঁসির খবরে পাকিস্তানে এত লোক গায়েবানা জানাজায় খাড়িয়ে গেছে যে আস্ত দেশের মাটি বলে দুই ইঞ্চি দেবে গেছে।
আচ্ছা ভালো কথা।
টরন্টো শহরে আমার প্রচুর পাকিস্তানীর সাথে নিয়মিত দেখা হয়। অফিসে দুই একজন আছে, অন্য ডিপার্টমেন্টে মূলতঃ। এছাড়া ট্যাক্সি বা দোকানপাটে দেখা হয়। তারা একে অপরকে চেনেনা কিন্তু সকলেই একটা কমন কাজ করে। দাঁত বের করে হেসে কোন রকম ওয়ার্নিং ছাড়াই হড়মড় করে উর্দ্দুতে ব্রাশফায়ার শুরু করে দেয়।
আয় তো তোদের মুণ্ডুগুলো আয় দেখি ‘ফুটোস্কোপ’ দিয়ে,
দেখি কত ভেজালের মেকি আছে তোদের মগজের ঘিয়ে।
কোনখানে বেশি স্যামকাকুডর, কোনপাশে কম ভাজা কার
কোন বামে তোর তেল গ্যাস নাই, কোন ডানে চাটে রাজাকার