'বিজয়ের মাস বিজয়ী থাকুক বাংলাদেশে। বিজয় দিবস অমানুষের বিরুদ্ধে মানুষের বিজয়ের প্রতীক হোক সমগ্র বিশ্বে।
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রতিটা মুহুর্তে বাংলাদেশে হৃদয় পেতে রেখেছে যে বন্ধু সেই বন্ধুর জন্য একটি সবুজ পতাকার ভালোবাসা। বাংলাদেশ তোমাকে ভোলেনি, যেমন তুমি ভোলোনি তোমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
চাঁদ কিংবা তারা চাইনি, চেয়েছিলাম সূর্যটাকে
যার আলোয় সারা পৃথিবীটা রঙে ভরে উঠে
প্রতিদিনই আসে যে সমস্ত আঁধারের বাধাকে তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে
চেয়েছিলাম সূর্যটাকেই কেননা তার আলোর ঔজ্জ্বল্যে
নিভে যায় সমস্ত চন্দ্র-তারা দিকবিদিক।
যে কোমল সবুজটা
গায়ে মেখে রাখে ঘাস, ক্ষেত, পুকুরের জল, অনিঃশেষ বনানী
তার মাঝখানেই সূর্যটা জ্বলজ্বল করুক,
চেয়েছি সবুজটা জেগে থাকুক ঊজ্জ্বল রৌদ্রে
ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় অবশ্যই খুশি হয়েছি। কিন্তু সে খুশি সাথে সাথেই উবে যায়, যখন দেখি কারো ভাই অফিস থেকে ফেরাপথে জামাতের চোরাগোপ্তা হামলার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। আরও উবে যায়, যখন দেখি, কারো বোন ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে শিবিরের তাড়ায় আলি-গলি দৌড়ে বাড়ি ফেরে। ঘরের ভেতরে কোনো মায়ের ভীতসন্ত্রস্ত শুকনো মুখ দেখে আমারও মুখ শুকনো হয়ে যায়। পাশের বাড়ির একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা যখন জামাত-শিবিরের প
১।
আমার জন্ম খুব সাধারণ পরিবারে। কঠোর ইসলামিক ধ্যানধারণা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সম্পর্কে তীব্র সচেতনতা এর কোনটাই আমার পরিবারে ছিল না। স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রথম হাতেখড়ি হয় বাবার কাছ থেকে আর বাকিটা বই পড়ে কিংবা সিনেমা দেখে। তবে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ দুই সরকারের সময়েই স্কুলে পড়ার কারণে স্কুলের বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের দুই রকম ইতিহাস পড়ার দুর্ভাগ্য হয়েছে। এটা দু:খজনক একটা ব্যাপার তবে বড় একটা অংশ বাদ দেয়া ছাড়া বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভয়ংকর কোন ম্যানিপুলেশন ছিল না। যেমন, রাজাকার নামটা বাদ ছিলো, বলা হতো এদেশীয় দোসর তবে রাজাকাররা দেশ রক্ষার চেষ্টা করছিল এমন কিছু দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অন্তত দশ এগারো বছরের কিশোর হিসেবে ওই বইগুলো থেকে এতটুকু বুঝতাম যে মুক্তিযুদ্ধ আসলে বিশাল একটা ব্যাপার।
বঙ্গবন্ধুর একত্তরের ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই পূর্ব বাংলার মানুষ মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোন একটি যুদ্ধের। যদিও তার প্রকৃতি ও প্রাবল্য সম্পর্কে সাধারন মানুষের কোন প্রকার ধারনা ছিলোনা। তবে তাদের মধ্যে মুক্তির আকাঙ্খা জাগ্রত হয়েছে প্রবলভাবে। ছাত্রনেতাদের এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তৃতা থেকে বাংলার মানুষ 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' হৃদয়ে ধারণ করেছে। এর রূপ সম্পর্কেও জেনেছে।
আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের ছোট বেলাতেই কেউ না কেউ থাকে যে তার মনোজগতে প্রচণ্ড ভাবে প্রভাব ফেলে। কেউ না কেউ তার রুচির ধরনটা গড়ে দিতে থাকে— তার প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের ভেতর থেকেই। যেমন আমার বেলায় ছিলো আমার ছোট মামা।
ছোট মামার যে কোন কাজে এসিস্ট্যান্ট হতে পারাটা ছিলো সে সময় আমার সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত কাজ। মামার এসিস্ট্যান্ট হয়েই বিজয় দিবসে নানুদের বাসার উঠান পুরোটা পতাকা দিয়ে সাজিয়েছি।
সাজেদুল চৌধুরী রুবেল
১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে ৩০ লাখ প্রান ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এ দেশের শোষিত মানুষের কাঙ্খিত “বিজয়” নামের লাল সূর্যটি।
___________________________________________________________________
শীত ঋতুটা কি অন্যরকম, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে?
মাটির মানুষ!
কানের কাছে মৃদু স্বরে ‘আই লাভ ইউ’ শুনে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। কাঁধে গরম নিঃশ্বাস আর জড়িয়ে ধরে থাকা হাতটাকে চিনে নিতে সময় লাগে না আমার। রোজ রাতে কাজ শেষে এভাবেই পাশে এসে শোয় রকিব। হাতটাকে টেনে বুকের কাছে নিয়ে গাঢ় ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে অস্ফুটে বলি, ‘আই লাভ ইউ টু’। রকিব শুনেছে কি শুনেনি তাতে কীই বা এসে গেলো, ও তো আমার সবজান্তা শমসের!
বেশকিছুদিন ধরে হরতাল, অবরোধের কারণে অফিসে পৌছাই সকাল সকাল। কখন কি ঝামেলায় পড়ি, তাই আগেই রওনা দেই।অফিস আওয়ার শুরু হবার ঘন্টা খানেক আগে গিয়ে বসে থাকি।
আমার মতো আরো অনেকেই এই রকম সকাল সকাল এসে পড়েন আজকাল। কাজ পুরোপুরি শুরু হবার আগে কিছুক্ষণ সবাই চা খাই, কোনো একটা ডেস্ক এর কাছাকাছি উপস্থিতেরা কয়েকজন একসাথে আলাপ করি।