দুদশক আগে স্কুলের পরীক্ষায় বহুবার লিখেছি আমাদের গ্রাম নিয়ে। তখন আনকোরা হাতে অনেক কথাই গুছিয়ে লেখা হত না, অথচ স্মৃতির ক্যানভাসে ঝাঁ চকচকে একটা গ্রামের ছবি আঁকা থাকত সবসময়। বছরে একবার অন্তত সে ছবিতে নতুন প্রলেপ দেবার সুযোগ হত গ্রাম থেকে বেড়িয়ে এসে। এখন কলমটাকে হয়ত কিছুটা শক্ত করে ধরতে পারি কিন্তু সেই ঝকঝকে ছবিটা বড় মলিন হয়ে গেছে, সেই জেল্লা আর নেই।
কেমন আছো, প্রিয়তা? সেলফোন, স্কাইপ, ভাইবার... কতকিছু আছে
তবু কথা নেই বহুদিন, নেই আসা কাছে।
বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে এক উপেক্ষিত ঈশ্বরের নাম জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়!
দেশের থেকে হাজারটা ক্রোশ দূরে
ঘর বেঁধেছি সুখের আশায়
বিজন অচীনপূরে।
নিত্য শুধু হাওয়ায় পাতি কান,
পূবের হাওয়া আনলো বুঝি আমার মাটির গান।
গান এ তো নয়! কোথায় গানের সুর?
লক্ষ প্রাণের কান্না আসে
পেরিয়ে সমুদ্দুর!
একাত্তরের শকুনরা ফের খুবলে খাচ্ছে দেশ
মারছে মানুষ, বাড়ছে শুধু কষ্ট অনিঃশেষ।
হায় গো আমার মাতৃভূমি
তোমায় দূরে ফেলে
অসহায় ক্ষোভে কাঁদছে দেখ
তোমার মাটির ছেলে।
ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে জন্ম নেয়া পাকিস্তানের মুখে ঝাঁটা মেরে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ আজ স্বাধীনতার চার দশক পরেও ধর্মীয় বিষে নীল। শুধু মুসলমান হয়ে না জন্মাবার কারণে বারবার ভিটেশূন্য হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। কখনো ভোটের দোহাই দিয়ে, কখনো বাবরি মসজিদে হামলার দায়ে, কখনো বা স্রেফ ফেসবুকে কোন ছবিতে ট্যাগ হয়ে যাবার অপরাধে বাড়ি-ঘর, উপসানালয় হারিয়ে ফেলছে তারা, কখনো বা সাধের প্রাণটাও বিদায় নিচ্ছে শরীর থেকে