অনেকদিন ধরে সানগ্লাসে লুকাই ভৌতিক দুপুর-
ভয়ে নয় তবুও লুকাই
বুক পকেটে মোচড় খেয়ে রাতবিরাতে চিত্কার করে ইতিহাসের বৈদ্যুতিক তর্জনী
ধাক্কা খায়, রক্ত-কবিতা-কলম- জাতীয় ফুলে সাম্প্রদায়িকতা নেই-
থাকতে পারেনা
হাতের রেখায় যখন তখন চোখ রাঙিয়ে উঠে বুড়িগঙ্গার শুকনো দৃষ্টি, মৌলবাদের ট্রাফিক
চোখ মুছতে মুছতে লুকাই ব-আকৃতির বিপুল হাহাকার
পত্রিকার পাতা খুলে একটা পাখি একটি অক্ষর কোথাও উড়ে না
সমকালীন সমাজের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিক এই গল্পগুলি সেই কৌতুহল থেকে কয়েকমাস আগে এদের ফিরে পড়তে আর সেই সাথে আমার অনুভব-এ অনুবাদ করতে শুরু করি। যত দিন গেছে তত অবাক হয়ে গেছি দেখে যে একের পর এক গল্পগুলি কি প্রবলভাবে আমাদের সময়ের কথা বলছে। এই গল্পগুলিতে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁরাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্পে একই অনুভব-এর কথা জানিয়েছেন। আসুন, দেখা যাক এবারের পঞ্চক-এ কি পাওয়া গেল।
বর্তমান সময়ের হটকেক হচ্ছে রাজনীতি। ফেসবুকে-ব্লগে সবাই বেশ সরব এ নিয়ে। আমি হলাম বোকা হদ্দ মানুষ, ওসব আমার মাথায় ঢুকে না। সক্কাল সক্কাল অফিস যাই, সারাদিন কামলা খাটি, এর ফাঁকে সময় পেলে ফেসবুকে ঢুঁ মেরে সবার স্ট্যাটাস পড়ি, ব্লগেও হানা দেই আর রাত করে অবসন্ন হয়ে বাড়ি ফিরে খেয়ে ঘুম।
অভিজাত এলাকার এক ধনকুবের গেছেন নগরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানে। দোকানটা বিশাল একটা হলরুম যেন। প্রথমে ঢুকতে মনে হয় না বইয়ের দোকান, মনে হয় কোন প্রাচীন মিউজিয়াম।
শহরে বইপত্র বেচার এমন একটা জায়গা আছে তিনি কল্পনাই করেননি। নিউইয়র্কের বার্নস এণ্ড নোবলে একবার ঢুকেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালীর বন্ধুর সাথে।
বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রায় শেষ। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ২৯০ টি সংসদীয় আসনের নব-নির্বাচিত সদস্যের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২৮৪ জন নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্য শপথ নিয়েছেন এর একদিন পরেই [১]। বাকিদের শপথ নেয়াও বর্তমানে সারা।
[justify]‘কি ভাই, ক্যামন আছেন?’ জানতে চাইলাম, অফিসের নীচে সিগারেট খেতে নেমেছি, স্মোকিং-ফ্রি এনভায়রনমেন্ট, নিচে নেমে মাঝে মাঝে সব পাপী’দের সাথে দেখা হয়, সেখানে বিদেশী নারী’রা সিগারেট খায়, তাই দেখে মাঝে মাঝে ভিরমি খেয়ে তাকিয়েই থাকে কিছু বেকুব কিসিমের প্রাণী। সেদিন, আর কেউ নেই, আমি কনসালটেন্সি বাদ দিয়ে চাকুরী’তে অস্থায়ী ভিত্তি’তে স্থায়ী হয়েছি, তিনি জবাব দিলেন, ‘চলছে লড়াই!’
[i]এই লেখাটির একটি ভীষণ অস্বস্তিকর ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে মনে হয় আমার মত এত কম সময়ে এত বেশি পরিমাণ মেধাস্বত্ব লংঘন আর কেউ করতে পারেনি। তবে আমি কথা দিচ্ছি এটি নিতান্তই সাময়িক। শুধুমাত্র ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে। এখানে আমার খুঁজে পাওয়া গানগুলি দিয়ে দিলাম। এই গানগুলির স্বত্ত্ব তাদের, যারা তৈরি করেছেন। আমি কিন্তু আমার সাউন্ডক্লাউড অ্যাকাউন্টে কোন অনুমতি ব্যতিরেকেই আপলোড করেছ
আমাদের দেশে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে বীরত্বের জন্যে খেতাব প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর বীরত্বের জন্যে ভূষিত করতে চারটি খেতাব প্রচলন করা হয়েছিলো। বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক, এই চারটি খেতাবে সামরিক ও বেসামরিক, উভয় প্রকার মুক্তিযোদ্ধারা ভূষিত হন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বীরত্বের জন্য সামরিক বাহিনীতে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করার নজির রয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তি
মাহফুজ খান
ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে খুব ছোটবেলা, প্রাইমারী স্কুলে। ৫/৬ বছর বয়সেই শিখে যাই কোন পিঁপড়া হিন্দুদেরকে কাটে আর কোনটা মুসলমানদের। এরপর থেকে কালো পিঁপড়া মারতাম না কিন্তু লাল পিঁপড়া দেখলেই প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়তাম, কারণ ওটা কামড়ায় আর ওটা হিন্দু পিঁপড়া।
দুদশক আগে স্কুলের পরীক্ষায় বহুবার লিখেছি আমাদের গ্রাম নিয়ে। তখন আনকোরা হাতে অনেক কথাই গুছিয়ে লেখা হত না, অথচ স্মৃতির ক্যানভাসে ঝাঁ চকচকে একটা গ্রামের ছবি আঁকা থাকত সবসময়। বছরে একবার অন্তত সে ছবিতে নতুন প্রলেপ দেবার সুযোগ হত গ্রাম থেকে বেড়িয়ে এসে। এখন কলমটাকে হয়ত কিছুটা শক্ত করে ধরতে পারি কিন্তু সেই ঝকঝকে ছবিটা বড় মলিন হয়ে গেছে, সেই জেল্লা আর নেই।