[justify]
গেল সামারে নিশীথ সূর্যের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম এক ঝটিকা সফরে। যদিও আমি এখন যেই দেশে থাকি সেটাকেও নিশীথ সূর্যের দেশ বলা যায় তবুও কোন ছোটতে মামা/চাচা/ খালা কারো বিসিএস গাইডে পড়েছিলাম নিশীথ সূর্যের দেশ হল নরওয়ে, সেই থেকে মাথায় গেঁথে গেছে নরওয়ে নামটা। আর সত্যি বলতে কি এই অতি রোমান্টিক নামকরণের জন্যই আমার নরওয়ে যাবার বিশাল আগ্রহ ছিল সবসময়েই।
প্রিয় মিস্টার নিকন,
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
মাত্র সন্ধ্যা নামছে তখন, মির্জাকে ডাক দিলো হারুন, “কি মির্জা ভাই, আজকে আসবেন নাকি তাসের আসরে?”। মির্জা তখন গ্রামের শেষ মাথায় জঙ্গলের পিছে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখছে। মীরহাটা ঠিক গ্রাম না এখন আর, গ্রামের সবাই নন্দিতাল টাউনে থাকে। সেটা এখান থেকে এক দিনের হাটা পথের দূরত্ব প্রায়। বছরে একটা মৌসুম একটা বিশেষ ধরনের আনারস ফলে মীরহাটায়, অন্য কোথাও এটা পাওয়া যায় না। অনেক আগে যাদের গ্রামে জমি ছিলো, তারা বছরের
সপ্তাহটা খুব খারাপই গেল। ছ্যাঁক খেতে খেতেই কিভাবে যেন কাটিয়ে দিলাম। (দুষ্টু লোকেরা তফাত যাও, ছ্যাঁক আগুনেও খাওয়া যায়, হুঁহ)। প্রথমটা খেলাম গত শনিবার বিকেল ঠিক ৫টায়। বিস্তারিত বলা যাবেনা, শরমের কথা। আর শেষটা গতকাল বিকালে, তাও উপর্যুপরি। সাইড এফেক্ট হিসাবে আপাতত বিজ্ঞানের খেতা পুড়ি। বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা গল্পের চাইতে মানুষের গল্প অনেক মজার। আর সে গল্প যারা বানায় তারা থাকে অনেক অনেক দূরে, আফসোস।