স্টলের নাম্বারটা যেন কতো? বাহান্ন? নাকি তেপ্পান্ন?
আমার বয়স তখন এগারো-বারো বছর হবে। ভাড়া থাকি দোতলা এক বাড়ির নীচের তলাটিতে। কিন্তু আমার বিচরণ ছিল গোটা বাড়ি জুড়েই। এক মায়াবী দুপুরে, চিলেকোঠার ঘরটা থেকে হাতে এসে গেল আগফার একটি বাক্স-ক্যামেরা, আদিযুগের। তার সবচেয়ে পছন্দের বৈশিষ্ট্য ছিল - দুটি ভিউ-ফাইন্ডার। একটি ক্যামেরার পিছনের দেয়ালে, অন্যটি ক্যামেরার ছাদে। ক্যামেরাটির বহিরঙ্গের রূপে তাকে কোলে তুলে নেওয়ার মত ছিল না। কিছু অকর্মণ্যতাও ছিল হয
মৃত্যুটা ঠেকান গেল না। দুপূর দুটো নাগাদ খবর পাওয়া গেল যোগমায়া মারা গেছে। আগের সন্ধ্যায় নিজেই যখন কেরোসিন গায়ে ঢেলে ও আগুন ধরায় তখন খবর পেয়ে আমরা ওদের বাড়ী গিয়ে দেখি একটা সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার ঘটে গেছে। ফর্সা এবং মোটাসোটা চেহারার যোগমায়ার শরীর দিয়ে মাংসপোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। ঐ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শৈশব আর কৈশোরের প্রতি সব মানুষের থাকে অপার দূর্বলতা, থাকে অজস্র স্মৃতি। জীবনের সেই শ্রেষ্ঠ সময়টাকে নিয়ে ভাবতে যেমন ভালোলাগায় পূর্ণ হয় বুক তেমন দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয় যাপিত জীবন। সেই ভালোলাগার স্মৃতিচারনের চেষ্টা থেকে লেখতে বসলাম অগোছালো হাতে হারিয়ে ফেলা ছেলেবেলার কথামালা। লেখার পূর্বে মনে হয় হৃদয়ের সব কথা লেখতে বসলেই এক নিমিষেই লেখে ফেলতে পারবো কিন্তু বাস্তবে লেখতে বসলে ভাষাহীন হয়ে যায় মস্তিষ্ক!
এই লেখাটি মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধের ঢেঁকিতে পাড়া দেয়া। কিছুদিন আগে জামাল হাসান নামে একজন বাংলাদেশী-আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর কাছ থেকে আমি একটি ইমেইল পাই। তিনি এই মুহুর্তে কুয়েতে আমেরিকান আর্মীর হয়ে কাজ করছেন। আমার একটি লেখার সাথে প্রাসংগিক মনে হওয়ায় তিনি তার আশির দশকের শেষে লেখা [url=http://jhasan1971.wordpress
(১)