মনে আছে একটা সময় ছিল কম্পিউটারে বাংলা লেখাকে মনে হতো এভারেস্ট জয়ের সমান! বাসার কম্পিউটারে বিজয় ইনস্টল করা ছিল, বাংলা দুইটা কি-বোর্ডের লে-আউট প্রিন্ট করে রাখা ছিল। বাংলা অক্ষরসহ কি-বোর্ডও কিনতে পাওয়া যেতো। কখনো দরকার হলে, অনেক কষ্টে দেখে দেখে বানান করে করে বাংলায় লিখতাম। খুব জরুরি আর বড় কিছু হলে নীলক্ষেত থেকে কম্পোজ করিয়ে প্রিন্ট করিয়ে আনতে হতো!
শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারিই নয়, আমার মতে একজন প্রথম প্রজন্মের প্রবাসীর জন্য তার প্রতিটি দিনই মাতৃভাষা দিবস| ব্যাপারটি হয় দু'ভাবে| যদি মাতৃভাষা দিবসটিকে আমরা মাতৃভাষার উপর তার অধিকারকে বুঝে থাকি তাহলে অন্য ভাষার সাথে তার যে দ্বন্দ্ব হয় সে দ্বন্দ্বের স্বরূপটি দু'রকমের...প্রথমটি নিজের সাথে এবং অপরটি তার পরবর্তী প্রজন্মের অর্থাত্ তার সন্তানদের সাথে|
সহসচল মনি শামিমের লুকিয়ে রাখা প্রতিভার বিকাশে আমার অল্প হলেও অবদান রয়েছে-- এই কৃতিত্বটুকু নিয়েই লেখা শুরু করছি। ছবি তোলা শখের হলেও আমার প্যাশনে পরিণত হতে পারেনি। যে কারণে ছবি তেমন তোলাও হয়না। হয়তো সমায়াভাব একটি বড় কারণ। ঠিক একই কারণে সাজিয়ে গুছিয়ে আর ছবি তোলা হয়ে ওঠেনা। ঘটা করে বাইরে যাব--সেটাও এখন হয়না। ঘরে বসে তো আর ফটোগ্রাফি হয়না!
আজ, আজ না গতকাল ২০ তারিখ বই মেলায় বিভিন্য স্টলে ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি স্টলের সামনে দাঁড়ালাম। সবই বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই। এরমধ্যে একটা দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর জীবনের বিভিন্য সময়ের ওপর আঁকা বিভিন্য শিল্পীদের আঁকা কিছু ছবি যা ছোটদের জন্যে প্রকাশিত হয়েছে। ছোট বোনের জন্যে কিনবো কি কিনবো না ভাবতে ভাবতেই ভেবে দেখলাম আমি নিজেও তো ছোট। এই ছবিগুলা কিনলে ছোট বোনের সাথে আমার চাহিদাও পুরন হয়ে যাবে। ভাবনাটা শেষ হওয়ার আগেই কিনে ফেললাম ছবিগুলো। এখানে তাঁর মধ্যে নয়টা ছবি শেয়ার করা হল। বাকিগুলোও আস্তে ধীরে শেয়ার করা হবে।