সে বহুকাল আগের কথা। আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল। খালের পাশেই জঙ্গলের ভেতরে ছিল এক বড় গাছ। সেই গাছে বাস করত এক ছোট্ট পাখি। একদিন সকালে যখন সে বসে বসে ডিমে তাঁ দিচ্ছিল, গাছের পাশ দিয়ে একটা হাতি যাবার সময় তার গায়ের সাথে ধাক্কা লেগে নড়েচড়ে উঠলো গাছ। রাগের চোটে তেড়েফুড়ে ছুটে আসলো ছোট্ট পাখি - "বেকুব হাতি, গাছ নাড়াচ্ছো কেন? এভাবে তুমি গাছ নাড়ালে আমার ডিম গুলো ভেঙে যাবে না?
‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?