জিম করবেট হলেন জঙ্গলের বিজ্ঞানী। জঙ্গলের প্রতি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে মৃত্যু, জিাঘংসা, কূটিলতা। সে সব শুধু সুনিপূণ ভাবে আবিষ্কারই করেনি করবেট, রীতিমত জঙ্গলের আইন তৈরি করে উত্তরসুরিদের জন্য একটা সুনির্দিষ্টি পথনির্দেশনা রেখে গেছেন। জঙ্গল আজ বিলুপ্তির মুখে, তাই করবেটের ‘‘জাঙাল লোর’’ কতদিন কাজে লাগবে তা নিয়ে সন্দিহান আমরা। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার যাদের রক্তে মিশে আছে, তারা কী থেমে যাবেন। না, তাই কি হয়! শিকারের নেশা মানুষ কমাতে বাধ্য হয়েছে, কিন্তু দিন দিন বেড়ে চলে পর্বতের হাতছানি। এক হিমালয়ই ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বুকে ডেকে নিয়ে শত শত পর্বতারোহীর প্রাণ কেড়ে নেয়। হিমালয় যেন মায়াবী ঘাতক--সে এভারেস্টই হোক আর কাঞ্চনজঙ্ঘা কিংবা অন্নপূর্ণা। কিন্তু এর মায়ডাকও তো উপেক্ষা করার মত নয়। তাই পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি উপেক্ষা করে, তুষারের বুকে অগ্নির উপাখ্যান রচনা করতে নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো চূড়ার দিকে অগ্রসর হন অদম্য প্রাণ অভিযাত্রীকেরা।
অনেক দিন আগে বঙ্কিমচন্দ্র চটোপধ্যায় বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলেছিলেন- "আমার একটি কথা জিজ্ঞাসার আছে, কাহার এত মঙ্গল? হাসিম শেখ আর রামা কৈবর্ত্ত দুই প্রহরের রৌদ্রে, খালি মাথায়, খালি পায়ে এক হাঁটু কাদার উপর দিয়া দুইটা অস্থিচর্ম্মবিশিষ্ট বলদে, ভোঁতা হাল ধার করিয়া আনিয়া চষিতেছে, উহাদের কি মঙ্গল হইয়াছে? . . . . . . .
এক সময়ের প্রেমিকা পোলিনকা খানতেভা ছিল রাশান স্তেপের মেয়ে, একেবারে দীঘল ঘাসের বনের ধারে রূপকথার শৈশব কাটানো মানুষ। স্তেপ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাইলের পর মাইল দিগন্তের ওপার পর্যন্ত চলে যাওয়া তৃণভূমি, যার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছে কিশোর ম্যাক্সিম গোর্কি। আবার অন্য মহাদেশের তৃণভূমি শুনলেই যেমন প্রেইরির ছোট্ট মেয়ে লরা ইঙ্গলসের কাঠের কুটির, পাম্পাসের ঘোড়সওয়ার গাউচো, সাভানার মাসাই এলমোরান, আর হাঙ্গের
[justify]
শিশুটি জানালা দিয়ে বাইরে বের হতে থাকলে আমাদের ভেতর নিরাপত্তাহীনতা জাগে। তার কাছে নিয়ে যায় আমাদের সঞ্চিত সকল ভীতি। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি বনের ভেতর ছিলো বাঘ। সে হাসে। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি আকাশের ভেতর ছিলো বিদ্যুৎ। সে হাসে। তাকে লিখিত বই দিয়ে বলি জলের ভেতর ছিলো কুমির। সে হাসে। তখন আমরা বুঝি বইয়ের ভেতর সে এখনো প্রবেশ করেনি। বইয়ের ভেতর তাকে প্রবেশ না করালে চলবে কেনো। আমরা বই আনি বাজা
সকালটা শুরু হল রাজকন্যা কঙ্কাবতীর মতো,তবে জানি না কোন রাজ্যের সে। ঘরের আরেক অংশীদার তপ্ত কফি দিয়ে গেল বিছানায় ,বন্ধুর ক্ষুদে বার্তা পেলাম মুঠোফোনে, শুভ সকাল রৌদ্রময়ী। চিলতে হাসি, মাইকা কে ধন্যবাদ জানালাম কফির জন্য ।শুরু হল প্রবাসে আরেকটি দিন, ছুটির দিন ,একটি রবিবার, যা ইচ্ছে ভাবনার দিন ।
বাক্সের ভিতরে বাক্সের মতন নতুন নতুন স্মৃতি বার হয়ে আসছে কিন্ডারগার্টেন ক্লাসের কথা লিখতে বসলেই, রঙীন সব ছবি আঁকা বাক্স। তখন জীবন ছিল বিস্ময়ে ভরা, প্রতিটা দিন ছিল অদ্ভুত রকমের আশ্চর্য, প্রতিটা সকাল যেন হাতের মুঠোয় লুকিয়ে আনতো অচেনা উপহার। তখন তো বেশীরভাগই অচেনা আমাদের। নিজেদের পাড়ার বাড়ীঘর মাঠ রাস্তাগুলো পার হয়ে গেলেই অচেনা রূপকথার রাজ্য। আমবাগান কুলবাগান জোড়া পুকুর গাছপালায় ঘেরা অদ্ভুত অদ্ভুত বাড়ী
[justify]
।।১।।
দেশে যেতে আমার খুব ভালো লাগে।
যখন বাংলাদেশে থাকতাম তখন দেশের বাড়ি বলতে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িটাকে বুঝাতাম। আমাদের বন্ধুদের একেক জনের দেশের বাড়ি ছিল একেক জায়গাতে। কারও বাড়ি বরিশালে, কেউ সিলেটের, কেউ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে, মনে হতো যেন বাংলাদেশটা এক বিশাল জায়গা, কত হাজার হাজার চেনা - অচেনা নাম। বিদেশে গমনের পরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, এইখানে সব বাংলাদেশির একটাই দেশ। কেউ যখন বলে যে সে দেশে যাচ্ছে - তখন বুঝতে হয় সে বাংলাদেশে যাচ্ছে, সেটা ঝালকাঠি না-কি মানিকগঞ্জ সেই প্রশ্ন পুরোই অবান্তর। আমরা যেই দিন মঙ্গলগ্রহে বসত গড়ব সেই দিন হয়ত দেশে যাওয়ার মানে হবে পৃথিবীর কোন এক জায়গা, সেটা সাংহাইও হতে পারে আবার রোমও হতে পারে।