আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।
শরতের তাল পাকা গরম। ভ্যাপসা, অস্বস্তিকর। তবে তা শুধু বড়দের জন্য। আমাদের বয়েই গেছে শরৎকে কেয়ার করতে। ঘরকুনো হয়ে বসে থাকার দিব্যি তো কেউ দেয়নি! বিশেষ করে নানা বাড়িতে। মা-বাবার বারণ নেই, চাচার রক্তচক্ষু নেই, তাই অস্বস্তি¡র দুপুরে-ঘুমও নেই। নানা বাড়ির সাথেই বিশাল বাগান। আম, জাম, কাঁঠালের। বাগানের ঠিক মধ্যিখানে এক বিরাট তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি মেরে। ধপাস করে একটা তার পড়ে। আমরা ছুটে যাই। কিন্তু কোথায় তাল! কে যেন কুড়িয়ে নিয়ে গেছে। ফিরে এসেছি। আবারও ধপাস! এবার ছুটে গিয়ে দেখি, তাল মুখে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন শিয়াল মামা।
[justify] ঘটনা ১
চোখেমুখে উত্তেজনা চেপে রাখার নিস্ফল চেষ্টা করে, বড় ভাই আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “ঐ যে, আরেকটা মেয়ে আছে না? ওর নাম যেন কী? আসলে পড়ে কোথায়?”
আমরা যে ওনার উত্তেজনা বুঝতে পারছি, সেটা ওনাকে বুঝতে না দিয়ে আমরা কথাবার্তা চালাচ্ছিলাম, “কোন মেয়েটা?”
আমেরিকার বড় বড় সুপারমার্কেটগুলোর দোকানে লোক টানার একটা জনপ্রিয় আইটেম হলো রোটিসেরি চিকেন। জিনিসটা আর কিছুইনা আমাদের দেশের মুরগীর গ্রিল। মার্কেটের ডেলি অংশে গেলে বড় বাক্সের মধ্যে যদি মুরগীকে শিঁকে গাঁথা অবস্থায় ঘুরতে দেখেন, তাহলেই বুঝলেন আপনি পাইলেন তাহাকে পাইলেন। এদের সবখানেই পাওয়া যায়, ওয়ালমার্ট হোক, ক্রোগার হোক কিংবা কস্টকো/স্যাম্স ক্লাব। দোকানে লোক আনার বঁড়শি হিসেবে এই জিনিস অতুলনীয় কারণ, এরকম (
সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগির ঝাপসা জানালা দিয়ে উদ্দেশ্যহীন দৃষ্টিটা বাড়িয়ে দিলাম বাইরে। ঢাকা এখন আমার কাছে অচেনা একটা শহর। আমার স্মৃতির ঢাকা শহরের সাথে এই গিজগিজ উঁচু দালানের ধোঁয়াটে শহরের কোন মিলই নেই। কিন্তু এই প্ল্যাটফর্ম আমার খুব চেনা। আমাকে দেখেই যেন ওরা ডাক দিল। ডাকলে ডাকুক, আজ আমি কোন ডাক শুনতে আসিনি। টুকরো টুকরো মোজাইকের নকশা মাড়িয়ে আমি এগিয়ে গেলাম টিকেট চেকারের দিকে।
খালি হাতে আত্মরক্ষা
- মো. আনোয়ার পারভেজ
চে আর্নেস্তো গ্যেভারার শাণিত চোখে প্রথমবারের মত আমার চোখ পড়ে সেগুলো তখন নিস্প্রভ হয়ে গেছে, কারণ আমি তাঁর মৃতদেহের ছবি দেখছিলাম। তাঁর চোখ দুটি চেয়ে আছে, সেই দৃষ্টি এক গোলার্ধ থেকে ছুটে আসে অন্য গোলার্ধে, বাংলার খবরের কাগজে ছাপা হওয়া সেই ছবি দেখে মনে হয়েছিল যীশুর মত টলটলে চোখ নিয়ে অভিমান ভরা দৃষ্টি ছুঁড়ে দিচ্ছে কেউ, এটি জীবন্ত চোখ সে মৃত্যু এত দশক পরেও তাড়া করে তাঁর সেই মৃত অভিমান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মত নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন হবার ফলে একদিকে যেমন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষকে তা স্বনির্ভর করেছে অন্যদিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দৃষ্টিমান ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, প্রযুক্ত