বাংলাদেশে গণতন্ত্র এক কালে ছিলো হ্যালির ধূমকেতুর মতো। বহু বছর পর একবার দেখা যেতো। সামরিক জান্তা যেমন খুশি তেমন ভাবে একে গড়তেন, ভাঙতেন, কোলে রেখে খেলতেন। গত দুই দশকে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গণতন্ত্র এখন ধূমকেতু থেকে লোকাল বাস হয়েছে। বিপুল আওয়াজে চলে, বিবিধ জটে আটকা থাকে, এবং কিছুদূর পরপর বিরতি নেয়।
[justify]
একটা উপন্যাস লিখবো বলে নিজেকে প্রস্তুত করছি অনেকদিন। একটা উপন্যাস লিখবো। ইতিহাস নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বাংলাদেশ নিয়ে। উপন্যাসে স্বপ্ন থাকবে, উৎসব থাকবে, ভালোবাসা থাকবে। উপন্যাসে বেদনা থাকবে, বিবমিষা থাকবে, বিশ্বাসঘাতকতা থাকবে।
বনানিয়র্ক ইউনিভার্সিটির হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক মাজিদ মাহমুদের ক্লাস ছিল না আজ। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছয়তলা ভবন সর্বস্ব ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকের আনাগোণা ছিল কম। কিছু নিরাপত্তাকর্মী এখানে ওখানে আধো ঘুমে আধো জাগরণে মোবাইল ফোনে গান শুনছিল। সে গানের হাল্কা সুর মাজিদ মাহমুদের কানেও আসছিল। চার তলার অফিস রুমে তিনি পরীক্ষার খাতায় ডেবিট ক্রেডিট দেখায় মনোযোগী ছিলেন, তবুও হিন্দি গানটির সুর তার কানের সুড়ঙ্
‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ কিংবা ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’-এর মতো চটকদার নির্বাচনী স্লোগান সম্বলিত ইশতেহার প্রকাশ করলেও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী প্রচারণায় বিপরীত চিত্রটিই নজরে আসছে বেশি। গান্ধী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কর্তৃক আশীর্বাদধন্য নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, যিনি তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট রাজ্যের এবং সেই সুবাদে যিনি গুজরাটের মডেলে দেশ গড়ার প্রতি