তোমার চোখ দুটি ভারী আশ্চর্য ছিল। কেমন যেন গভীর, অতল, একটু উঁকি দিলেই মনে হতো টুপ করে পড়ে যাবো। সেই চোখে কখনো চিকমিক করতো রোদ্দুর, কখনো বা মেঘলা হয়ে যেত, কখনও আবার তারা ঝিকমিক করতো। তবু সেই চোখের অপার রহস্যের দুয়ার কোনোদিন খুলতো না আমার কাছে।
ব্যস্ততা আমায় দেয় না অবসর !! এ পর্ব লিখতে লিখতে সময় বয়ে গেল যে! দুঃখিত সেজন্যে।
গত পর্বের শেষে কথা দিয়েছিলাম কিভাবে কার্বনের চেইন, বাকি-বল, গ্রাফিন ইত্যাদির মধ্যদিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ পাওয়া যায় সে নিয়ে আলোচনা করবো; আলোচনা করবো এই পরশ পাথরের গবেষণা কতদূর এগুচ্ছে, আমরা কতদূর যেতে চাই সেসব নিয়ে। আসুন তাহলে শুরু করি।
প্রথমে ২১ শে এপ্রিল ২০১৩ সালের সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে প্রকাশিত বিডিনিউজ২৪.কমের 'ড. তাহের হত্যামামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল' সংবাদটি পড়ে নিন (পিডিএফ কপি)!
সচলে লেখা শুরু ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল।
তারিখ মনে আছে কারণ কোন কাজ না থাকায় সেদিন বাসাতেই ছিলাম। ঘরকুনো এই আমি তখন অধিকাংশ সময় নেটে আর টিভি দেখে কাটাই। নেটের লাইনের গতি তখন আমার ১৬ কিলোবাইট, একটা গান ডাউনলোড দিয়ে তখন ঘন্টা বসে থাকি, এমন অবস্থা।
সময় বদলাইছে। কাল রাতে নেটের স্পিড দেখে মাথা খারাপ হবার যোগাড়। ১২৫৪ কিলোবাইট স্পিডে সিনেমা ৫ মিনিটে নেমে গেল! ভাল লাগার কথা।
১
মাঘ মাসের মাঝামাঝি। বেজায় শীত পড়েছে। জয়নাল ঘড়ির দিকে তাকাল। সকাল ১০ টা বাজে, কিন্তু মনে হচ্ছে শেষ রাত এখনও পোহায়নি। ঘড়িটা জয়নালের শ্বশুর বিয়েতে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। জয়নালের লেখা পড়া ক্লাস সিক্স পর্যন্ত। ঘড়িতে সময় দেখতে তাঁর অসুবিধা হয় না। শ্বশুরের দেয়া ঘড়ি আর ৬ আনার একটা সোনার আংটি জয়নালের সর্ব সময়ের সঙ্গী। পানিতে ভিজলেও কিছু হয়না বলে ঘড়ি আর আংটি পড়েই খাওয়া গোসল সারে সে। হাসিনার সাথে বিয়ের পর তাঁর ভাগ্য খুলে গেছে। তাত বুনে দিন চালায় জয়নাল। হাসিনার সাথে বিয়ের পর পর তাঁর বিক্রি বেড়ে গেছে। মহাজনরা দামও দিচ্ছে ভাল। ঘড়ি আর আংটি সে ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে পড়ে।
ঘড়িতে দশটা পঞ্চাশ, এই সময়ে বদরুলের থাকার কথা ছিলো প্রগতি ফার্মের হেড অব মার্কেটিং সুমন কিবরিয়ার বাসার ডয়িংরুমে অথচ সে বসে আছে ফার্মগেট মোড়ে ছত্রিশ নাম্বার বাসের একেবারে পেছনের সারির একটি আসনে। অধিক জনসংখ্যা কি কারণে আর্শীবাদ বদরুল কোনদিনও বুঝতে পারেনি, তবু রাত বিরাতে টেলিভিশন টকশোতে কিংবা কোন কোন রাজনৈতিক নেতার উচ্ছ্বাস ভরা কন্ঠে সে মাঝে মাঝে শুনতে পায় অধিক জনসংখ্যা নাকি সম্পদ। তার মনে পড়ে ছেলে বে
অতি সম্প্রতি ইউনিকোড ৭.০ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে 'মধ্যাঙ্গুলি', 'ভালকান স্যালুট', 'কোট পরা মানুষ বাতাসে ভাসছে' - এই ধরনের প্রায়-ফালতু ধরণের আইকন ইউনিকোড বর্ণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। [ ১, ২ ]
বাড়িতে আরও কতগুলি মেয়ে ছিল, তবু ফাতেমাই ছিল সেরা, আর এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখায়নি কেউ! তাই যখন এক দুবাই-ফেরত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে হুট করে বিয়ে হয়ে গেল, ভ্রু-টা পর্যন্ত কোঁচকালো না কেউ! বরং ঈদ-পার্বণ সামনে রেখে ফাতু যখন সোনায়-দানায় থলথল হয়ে বাড়ি আসতো, তখন মেয়ের উপচানো সুখে সবারই চোখ জুড়িয়ে যেত, শোকর-গুজরানও চলত পাল্লা দিয়ে, “হইব না? আল্লাহ্র নিজের হাতের জিনিস যে!”
নুতন করে আর বলার কিছু নেই। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।