পি’কে জীবনে সে মাত্র একবারই দেখেছিল। অনেক দুর থেকে। তাও ত্রিশ বছর আগে।
এরপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারে নি।
তোমাকে তো দেখিনি কোনদিন।
১৬ বছরের তরুণ তখন। মনে যৌবনের বান ডেকেছে। যা দেখি চারপাশে, সব ভাল লাগে। ছয় ঋতু যেন পরস্পরে লীন হয়ে চির বসন্তে রূপ নিয়েছে। পথ ঘাট, ভাল লাগে, ভাল লাগে পথের দুপাশের সৌন্দর্যও। ঘাস গুল্ম-লতা, ফুল পাখি--সব সব ভাল লাগে। সেই ভালোলাগার অনুভূতির সাথে আরও একটা অনুভূতি জেগে ওঠে--চম্পা। সে কী আমাকে চিনতে পারবে? সেই ছড়া কি ওর মনে আছে? মুখোমুখি হলে আমিই বা ওকে কী বলব? আচ্ছা, এই একযুগে কেন ওর সাথে দেখা হলো না? কত মানুষের সাথেই দেখা হয়? ওর মামার বাড়ি, যেটা আমার বাবার ফুফুর বাড়ি, সেখানে বছরে দু-তিনবার পা পড়ে আমার? ও কি একবারও আসে না মামার বাড়ি? নাকি ও যখন আসে আমি তখন যাই না? ভ্যানে চলতে চলতে কোথা থেকে একরাশ অভিমান এসে আচ্ছন্ন করল আমাকে? কিন্তু অভিমান তখনই মূল্যবান, যার ওপর অভিমান করছি তার কাছে এর কিঞ্চিত মূল্য যদি থাকে। নইলে ঝরাপাতার সমান মূল্যটিও তার নেই।
[justify]
এইবার আমেরিকা আসার মূল উদ্দেশ্য সোশাল মিটিং হলে ও এর মাঝেই কেমন করে যেন ওয়েস্ট কোস্টের দিকে একটা রোডট্রিপ এরেঞ্জ হয়ে গেল। সান ফ্রান্সসিস্কোতে কনফারেন্সে যোগ দিতে আসা রাজু আর তিন্নি ছাড়া ও নিউ ইয়র্ক থেকে রনিকে ও পাওয়া গেল এই ট্রিপে। এইবারের ট্রিপের কোন প্লানই আমার করা হয়নি, পাঁচদিনের রোডট্রীপে টাচ এন্ড গো করে যেসব জায়গা দেখা হলো তা নিয়েই আজকের ছবি ব্লগ। সান-ফ্রান্সিস্কো থেকে শুরু করে ইয়োসোমিতে ন্যাশনাল পার্ক দেখে বিশপ হয়ে ডেড ভ্যালির মাঝ দিয়ে ঘুরে এসে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, উইপটকি পার্ক হয়ে সিকুইয়া পার্ক দেখে সোজা সান ফ্রান্সসিস্কোতে এয়ারপোর্টে এসে এই ট্রিপের পরিসমাপ্তি। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মাইল এর মত ড্রাইভিং করতে হয়েছে সব জায়গা ঘুরে দেখতে।