যে কুমারী কন্যারে সমাজের আড়ালে পরের বাড়িতে সন্তানের জন্ম দিতে হয় চিক্কুর চাইপা রাখার অভ্যাস তার এমনিতেই থাকে। প্রসব চিৎকার চাইপা রাখার অভ্যাসে কুন্তী আইজ চাইপা রাখে গর্ভপাতের গোঙানি। ...তার গর্ভের প্রথম পোলায় আজ নামব গর্ভের শেষ সন্তানের সামনে। মৃত্যুপণে। ...মায়ের পেটের ভাই জাইনাও কর্ণ অস্ত্র চালাইব অর্জুনের দিকে আর শত্রু জাইনা অর্জুন মারব কর্ণরে....
কাল রাত্তিরে ওয়ারনামবুল শহরের আকাশে কালপুরুষ দেখে বেশ আয়েশ করে ঘাড় বেঁকিয়ে দেখতে যেয়ে চমকে উঠলাম, পুরা তারামণ্ডলটাই উল্টে আছে! কাঁধের আদ্রা চলে এসেছে নিচে, হাঁটুর বাণরাজ ডিগবাজি মেরে উপরে এবং উল্টো দিকে! বিশাল কালপুরুষের বেল্ট আর তার নিচের নীহারিকা চলে গেছে কাঁধের কাছাকাছি! কী কেলেংকারি! এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনা কেন হবে? আমি তো আর উল্টো হয়ে ঝুলে নেই !
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাল পড়া বাসন্তী যে একটা সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন ছিল, সেটা আমরা এখন প্রায় সবাই জানি। বিশেষ করে সেই ছবির আলোকচিত্রি আফতাব আহমেদ খুন হওয়ার পর ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ভাই এর এই লেখা থেকে আমরা সেই ব্যাপারে অনেক স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি। লেখাটির ছোট্ট একটু অংশ এখানে দিচ্ছি পাঠকের সুবিধার্থে-
১)
দুই ক্ষেপ মিলিয়ে নয় নয় করেও পাঁচ বছর হয়ে গেল পুণেতে| বেড়ে ওঠার সেই ছোট্ট মফস্বল কোন্নগরের পরেই জীবনে সবচেয়ে বেশীদিন ত্থাকছি পুণেতে| সহ্যাদ্রির কোলে শান্ত ছোট্ট শহরটাকে প্রায় চোখের সামনেই মেট্রোসিটি হয়ে যেতে দেখলাম|
শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীর মুল ফটকের ব্যানার হেডিং এ বড় করে লেখা আছে- ''পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই৷''
কথাটা কি আদৌ সত্য? আমারতো মনে হয় বাজারে প্রচলিত বেশীর ভাগ বই আমাদেরকে বিপথগামী করে- অন্ধকারে ঠেলে দেয় । মলাটবদ্ধ পাতার পর পাতা । তাতে যা কিছু লেখা তাই আলোকের বার্তা নয় । এমনকি তা হতে পারে অন্ধকারের গোডাউন।
চিন্তা গুলো মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাই ভাবলাম লিখেই ফেলি। কথাগুলো নতুন না, শুধু উপলব্ধিটা নতুন হতে পারে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি চাচারা লন্ডনে থেকে গেছেন, আমার বাবা থাকতে না পেরে ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। সেই থেকে আমার বাবাকে কেউ কেউ "বঙ্গবন্ধু" ডাকা শুরু করেছিল!
[b]স্বপ্নের জোনাকিপোকা[/b]
১০ ডিসেম্বর
আমার মনে হচ্ছে আমি একটু একটু করে বড় হয়ে যাচ্ছি। আমার আম্মুর ভাষায় আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই বড় হয়ে যাওয়াটা কেন যেন আমার ভালো লাগছে না। আমার ইদানিং খুব ইচ্ছে করে আম্মুকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে কিন্তু পারছি না। সেদিন অনেক বুদ্ধি করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আম্মুর পাশে শুয়ে শুয়ে বলেছিলাম -
শীতকাল আসি আসি করছে। দুপুরের দিকে এটা বেশ টের পাওয়া যায়। ছোট ছেলেটাকে খাইয়ে বিছানায় দিয়ে এসে পারুল রান্না ঘরের সাফসুতরো করতে করতে শাড়ির আঁচলটা একটু ভালো মতো জড়িয়ে নেয় পিঠের কাছটায়। ঠাণ্ডা বাতাসটা সবার আগে সে তার পিঠেই টের পায়। এই বাসাটার সমস্যা হলো কলঘরটা মূল বাড়ির বাইরে। এই একগাদা বাসন, হাড়ি পাতিল এখন সেখানে গিয়ে ধুতে হবে। এখন কি আর ইচ্ছে করে এগুলি ধুতে!
ছিলো না তেমন কোনো আশা,
যতটা ক্ষণ ছিল ভালোবাসা,
তোমার কথাই ভেবেছি সারাটাক্ষণ।
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।