মাত্র সন্ধ্যা নামছে তখন, মির্জাকে ডাক দিলো হারুন, “কি মির্জা ভাই, আজকে আসবেন নাকি তাসের আসরে?”। মির্জা তখন গ্রামের শেষ মাথায় জঙ্গলের পিছে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখছে। মীরহাটা ঠিক গ্রাম না এখন আর, গ্রামের সবাই নন্দিতাল টাউনে থাকে। সেটা এখান থেকে এক দিনের হাটা পথের দূরত্ব প্রায়। বছরে একটা মৌসুম একটা বিশেষ ধরনের আনারস ফলে মীরহাটায়, অন্য কোথাও এটা পাওয়া যায় না। অনেক আগে যাদের গ্রামে জমি ছিলো, তারা বছরের
সপ্তাহটা খুব খারাপই গেল। ছ্যাঁক খেতে খেতেই কিভাবে যেন কাটিয়ে দিলাম। (দুষ্টু লোকেরা তফাত যাও, ছ্যাঁক আগুনেও খাওয়া যায়, হুঁহ)। প্রথমটা খেলাম গত শনিবার বিকেল ঠিক ৫টায়। বিস্তারিত বলা যাবেনা, শরমের কথা। আর শেষটা গতকাল বিকালে, তাও উপর্যুপরি। সাইড এফেক্ট হিসাবে আপাতত বিজ্ঞানের খেতা পুড়ি। বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা গল্পের চাইতে মানুষের গল্প অনেক মজার। আর সে গল্প যারা বানায় তারা থাকে অনেক অনেক দূরে, আফসোস।
[justify]আমার কোন জন্মস্মৃতি নেই। এই স্মৃতি কোন মানুষেরই থাকে না। কেন থাকে না তার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই নিউরোলজিস্টরা দিতে পারবেন। আমার সেই ব্যাখ্যা জানা নেই, জানতে ইচ্ছেও করে না, শুধু আফসোস লাগে। মনে হয়ে সেই স্মৃতিটুকু থেকে আমাকে কোন ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। ভীষন অন্যায় করা হয়েছে আমার উপর।
[justify]“অনেক দিন আগের কথা, তেইশ বছর পার হয়ে গেছে। ১৯৭৩ সালে আমি খুলনা গেছি। দৌলতপুর কলেজে আমার কয়েকজন ছাত্র ছিল। ইচ্ছা ছিল ওদের একটু খোঁজ খবর নেওয়া, কে কেমন আছে, দেশের খবর নেয়া ইত্যাদি। দেখলাম এক মহিলা কলেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, কি চাও তুমি? রক্তচোখ মেলে বললো, কলেজে পড়বো। বুঝলাম মেয়েটি স্বাভাবিক নয়। বললাম, তোমার নাম কি? নাম?
অনেক বছর আগে বিজ্ঞান যখন ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করছিলো সেই মধ্যযুগে বা তারও আগে কোন এক সময়ে পেরুর জেলেরা লক্ষ্য করেছিলো কোন কোন বছর তাদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ছে, আবার কোন কোন বছর মাছ একেবারেই কম। তারা আরো খেয়াল করলো- যে বছরগুলোতে জালে মাছ কম আসছে সে সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পানিও থাকে খুব উষ্ণ, বৃষ্টিপাত হয় বেশি আর এই ব্যাপারটা শুরু হয় ঠিক যখন তারা ‘ক্রিসমাস’ বা যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব পালনে মেতে ওঠে ত
আকাশটাকে আরেকটু উঠতে বললাম উঠলো
নদীটাকে আরেকটু নামতে বললাম নামলো
নিখোঁজ আমাকে খুঁজে বের করে
আকাশের সব'কটা বিস্ফোরণ
বুক ভিজিয়ে নিভিয়ে দিলো জীবিত অসুখ -
চেয়েছিও তাই একসময়
এক প্রস্তাবিত নিঁখুত পরিকল্পনায়
মিথ্যে আগুন আর হাসপাতালের করিডোর।
মর্জিনা সঙ্গে করে খাবার এনেছে। ইলিশ মাছ, রুই মাছ, মুরগি আর গরুর মাংস। মর্জিনা তার স্বামী মিরাজ আলীকে ভাত বেড়ে দেয়। মিরাজ আলী খেতে খেতে বলে, তর আফায় এত কিছু দিলো? কছ কি! মিরাজ আলীর গলায় খুশি, সন্দেহ, বিস্ময়।
মর্জিনা চোখ-মুখ কুঁচকে একটুক্ষণ চেয়ে দেখে মিরাজ আলীকে। তারপর ঝাঁঝের সঙ্গে বলে, তয় কি আমি চুরি কইরা আনছি?
একটা কাটা দাগের চিহ্ন মুছে যেতে কতদিন সময় লাগে? কিংবা আদৌ কি মুছে যায়?
এই আমার মত করে ধরো। এই দেখ আমি কিভাবে ধরেছি। এই বলে গুরুপদ দা নিজে বাঁশীটা ঠোটে ঠেকিয়ে বাজাতে শুরু করল। আর বাঁশীটা কি সুন্দর বাজতে লাগল। নাও চেষ্টা কর। তা তো অবশ্যই। ব্যাপারটা তো বেশ সহজ দেখছি। কিন্তু বাঁশীটা আমি নিজের ঠোটে ঠেকিয়ে যেই ফু দিলাম প্রথমে কোন সুরই বের হলনা। বেশ খানিক্ষন চেষ্টার পর যা বার হল সেটা মোটেই শ্রুতিমধুর কোন শব্দ নয়। আর বের হতে না হতেই আমার দম ফুরিয়ে হাঁফাতে শুরু করলাম। গুরুপদ