কিছুদিন আগে এক অগ্রজ জানালেন বাগান করার জন্য বেশ বড়সড় একটা জায়গা তিনি পেয়েছেন। সেখানে সব ধরনের দেশী গাছ লাগানোতে তাঁর আগ্রহ। সাথে তিনি এটাও চান যেন তাঁর বাগানে সারা বছরই কোন না কোন ফুল ফুটে থাকে। আমাকে অনুরোধ করলেন গাছের এমন একটা তালিকা তৈরি করে দিতে যাতে তাঁর ইচ্ছে পূরণ হয়। আমি সানন্দে তাঁকে তালিকাটা তৈরি করে দিলাম।
এবারে কোন কোন গল্পে ইশপের আয়নায় ধরা পড়েছে এই হতভাগা অনুবাদকের নিজের ছবি। বাকিগুলিতে অন্যান্য বারের মতন-ই চিরকাল এবং সমকাল।
১৮ দলীয় জোটে বিম্পি আর জামাত ছাড়া বাকি দলগুলোকে পাবলিক দুধভাতই মনে করে। তাই পাবলিকের জবানে ঘুরে ফিরে এদের বিম্পি-জামাত জোটই বলা হয়। এতে করে একটা জিনিস বোঝা যায়, বিম্পি আর জামাত পাবলিকের চেতনায় এখনও দু'টি পৃথক সত্ত্বা, কার্যত তারা কতটুকু ভিন্ন, সে আরেক তর্ক।
(১)
ট্রেনটা মিস করে ফেললাম। পরের ট্রেন ঘণ্টা খানেক পরে। এদিকে ওয়েটিংরুমটা বড্ড নোংরা, ওটাতে বসার রুচি হচ্ছে না। আধঘণ্টা বাইরে পায়চারি করে তবু ওই আস্তাকুড়ের মধ্যে গিয়ে বসলাম। খানিক বাদে একটা রিনরিনে কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে চমকে গেলাম আমি।
-চিনতেই পারো নি, নাকি ভাণ করছ?
খুব চেনা স্বর। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেলাম ঝিল্লির মুখ।
-থিয়েটার ছাড়ো নি বুঝি?
শেষ নির্বাচনের রিপোর্ট এখনও ওয়েবসাইটে আসেনি। কাজেই ২০০৮ সাল পর্যন্ত তথ্য নিয়েই এই লেখা। আমি হিসেব করে দেখলাম স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কমপক্ষে বাইশটি বামপন্থী দল পেয়েছি। তাদের বেশির ভাগের মধ্যে একটি মিল আছে। সেটি হল প্রতি নির্বাচনেই তাদের ভোট মোট দেয়া ভোটের যে শতাংশ হয় সেটি সাধারণত: একটি ভগ্নাংশ। খুব কমই দেখা যায় এটি এক শতাংশের বেশি। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে কয়েক দশক হয়ে গেল। দলগুলোও তো কম প
সুপারম্যান আমার প্রিয় সুপারহিরো। কিছু হবার সুযোগ থাকলে সুপারম্যানই হতাম। নো ডাউট।
আজ একটা এনিমেশন মুভি দেখছিলাম, সুপারম্যান ভার্সাস দ্য এলিট। দেখতে দেখতে মাঝপথে গিয়ে এক জায়গায় আটকালাম। সুপারম্যান এবং এলিটদের লিডার ম্যানচেষ্টার এর মাঝে তর্ক চলছে। ম্যানচেস্টার আইন নিজের হাতে তুলে নেবার পক্ষে, কারন হিসেবে তার বক্তব্য, সুপারম্যান অনেক বেশি রেসট্রিক্ট মানুষ, সে আইনও মেনে চলার চেষ্টা করে লাইন বাই লাইন। আর তাই বিভিন্ন সময়ে সে অসহায়। চোখের সামনে অনেক কিছু হতে দেখেও তাকে চুপ করে থাকতে হয়।
আবার বিভিণ্ন সময়ে সুপারম্যান সাংঘাতিক সব সুপারভিলেনকে থামিয়েছে, তারাও রেগুলার বেসিসে জেলখানা থেকে পালিয়ে ঝামেলা করেই যাচ্ছে। সবার প্রশ্ন, কেন তুমি তাদের মেরে ফেলছ না? সুপারম্যান বলছে, আমি আইন হাতে তুলে নেব না। আই ওন্ট বি দ্য জাজ।
সবাই আবার প্রশ্ন তুলছে, ওরা তো বার কার পালাচ্ছে, মানুষ মারছে শয়ে শয়ে... কি করবে তুমি এই বিষয়ে? কেন তাদের পারমানেন্ট ভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
রাত তিনটা বেজে গেছে, কিন্তু জাকির তখনো পাচ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, চিন্তা করছে গত সন্ধ্যার কথা। অন্যান্য দিনের মত গত কালও সন্ধ্যার পরে সে জগদীশ রোডের কোণায় বাইক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। চিন্তা করছিলো জুলহাসের কাছে বাকি পড়া টাকার কথা। গত কয়েক দিনে ছিনতাই করতে পারে নি সে, কিন্তু নেশা তো আর থেমে থাকেনি। বাকি টাকা দিতে না পারলে জুলহাস আর হেরোইন দিবে না বলে দিয়েছে, কিভাবে কি করা যায় চিন্তার সুতো ছিড়ে গিয়েছিল স
‘সোয়ান’ নদীর পার। মাত্র সন্ধ্যা হব হব ভাব। আকাশে সন্ধ্যা-রঙ্গের খেলা চলছে। সেই খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ‘সোয়ান’ নদীর স্বচ্ছ জলের টেলিভিশনে। এরমধ্যে আমি আর আদুভাই দুই প্যাকেট চিপস্ কিনে নিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য জাঁকিয়ে বসেছি। ভয়াবহ গরম পড়েছে। আশে পাশে অনেকগুলো বিদেশি পরিবার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে নদীর পারে পিক্নিক্ করতে এসেছে। বাচ্চা-কাচ্চার হইচই আর আমাদের আড্ডা চলছে।
রাঙামাটি ভ্রমণের এই সময়টাতে অজানা অনেক কিছু দেখবার যেমন আনন্দ ছিল তেমনি ছিল কোন এক বিকেলের কিছু সময়ের দুঃখ মাখা স্মৃতি। সুখের মুহূর্ত মানুষ ভুলে যাই কিন্ত দুঃখবহ স্মৃতি কেবলই তাড়া করে ফেরে। সেবারের এই স্মৃতি কটু যাত্রায় আমার সাথে ছিল আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলে, স্ত্রী আর দু একজন নিকটজন। আমাদের গন্তব্য শুভলং ঝর্ণার সাথে কিছুক্ষণ দেখা করা তারপর তার বুক চিরে বের হওয়া পানি গায়ে ছিটিয়ে ফিরে আসা।