; যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন সব কিছু সহজ লাগত। পাশের বাসায় যাওয়া মানে ছিল দুধভাত। আমাদের মাঝে অন্যরকম এক সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল। বিকেলের আড্ডা থেকে শুরু করে কারও বাসায় মেহমান আসলে আমাদের উপস্থিতি, আমারা যেন সবাই আপন মানুষ ছিলাম। শুধু আমাদের পাশের বাসা নয়, আমাদের পাশের বাড়ি এবং তার সবগুলো পরিবার ছিল আমাদের চেনা জানা। আপন মানুষ। একবার আমাদের পাশের বাড়িতে তিন তলায়, এক ছোট্ট শিশু ঘরের ভেতর থেকে দরজার ছিটকি
প্রথমেই সতর্কতাবাণীর ঝামেলাটুকু সেরে নেই। এটি কোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নয়। কেন নয়?
আমি ভাগ্যবান মানুষ; সবার এক্টা হ্যাপি বার্থডে থাকে, আমার ২টা আছে। ২য় জীবনের ১ম বার্থডেটা এখনও পালনের সময় আসে নাই। তো আমার বয়স হইলো একুনে সাত মাস। আমার পরিবার ও ২টা। সেই সচল বহুভাবে পাশে ছিলো, আছে।
আজকের দিনটা অন্যরকম ছিলো। দীর্ঘ একটা প্রতীক্ষার অবসানের আগের দিন। অনেকটা চৈত্র সংক্রান্তির মত। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মনটা উদাস হয়ে গ্যালো। ভাবলাম, হ্যাপেনিং ডে'র আগের রাত আজ, সামান্য ডাল-রুটি'র বদলে কয়েক পদের সামুদ্রিক মাছের কালিয়া; কবুতর বা হাঁসের কোর্মা; মটর পোলাউ কী নসিব হতে পারতো না (কী হাল, খাবারের নাম ও আজকাল মনে থাকেনা) ! আর পরে ভরপেটে একটা হাভানা সিগার! নসীবে বেনসন লাইট ও নাই
হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে নতুন কিছু না। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যেমন বহমান, হিন্দু নির্যাতনের জাঁতাকলও একইভাবে চলমান। প্রত্যেকটা ঘটনার পরে এই নিয়ে আমার মত কিছু পাব্লিক খামাখা হাউ-কাউ করে, বাকিরা তামাশা দেখে, কেউ মজা নেয়, কেউ আহা-উঁহু করে, তারপরে সব আগের মত। দেশে গণতন্ত্র আছে কিনা এই প্রশ্নে দ্বিমত, ত্রিমত, বহুমত থাকতে পারে তবে মালাউন কোপানো হবে কি হবেনা এই প্রশ্নে কোন দ্বিমত নাই, একটাই উত্তর, হবেনা মানে? হতেই হবে
মে ১৫, ১৯৭১
যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েই গেল। সানাউল্লাহ ভাই কিছুদিন চারিদিকের ভাও বোঝার চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত মিটিং ডেকেই ফেললেন। লোকজন নিতান্ত কম না। এলাকার মুরুব্বী, আধা মুরুব্বী, চ্যাংড়া, ছেলে ছোকরা, চার আনা, আটআনা, দশপাই, পাঁচপাই সব মিলিয়ে দুইশ এর মতো লোক। কমবেশি সবাই সানাউল্লাহ ভাইকে মানে। সানাউল্লাহ ভাই একটু গলা খাঁকারি দিয়ে শুরু করলেন,
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, শুক্রবার
ল্যাটিচিউড ২১ ডিগ্রী ০১ মিনিট নর্থ, লংগিচিউড ৯১ ডিগ্রী ২০ মিনিট ইস্ট
বন্ধু হাসনাত শাহরিয়ার প্রান্ত আমাকে একটি বই দিয়েছে। এখানে ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাক, সোনার বাংলা, জনপদ, গণকণ্ঠ এসব পত্রিকার ক্লিপিংস দেয়া আছে। ওর ব্যক্তিগত অনুমান ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইত্তেফাকের আচরণ অনেকটা এখনকার প্রথম আলোর মত। বইটির নাম হল বাংলাদেশ বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর। এর সম্পাদক হলেন মুনির উদ্দীন আহমদ। ঠিকানা হিসেবে দেয়া হয়েছে লন্ডনের একটি ঠিকানা। মাঝে মাঝে আমি বইটি উল্টে দেখি। অল্প ক
আমাদের স্বাধীনতার কাব্যময় ইতিহাসের মহাকবির নাম শেখ মুজিব; ধ্রুপদী সেই মহাকাব্যের শিরোনাম “জয় বাংলা”।
“জয় বাংলা”— মধুরতম সেই স্লোগানের নাম। ছোট্ট এই স্লোগানের অপরিসীম শক্তিতে এক হয়েছিলো বাংলার সকল মুক্তিপ্রাণ মানুষ।