মৃত্যু এসে নাম লেখাবে
এ বনের প্রতিটি ফুল
প্রতিটি পাখি
বুনো-গন্ধ
কীট-পতঙ্গ
প্রজাপতি আর তোমাদের মাঝে
পৃথিবীর কোন খানে আমি আর নেই
তারপর শিশির ধোয়া রাত
পাতায় পাতায় জোনাকি
পৃথিবীকে সাজাতে যেয়ে
সহসা সাজিয়ে ফেলবে তোমাকেই
সমস্ত দু:খের হাত খুলে খুলে
অতৃপ্তির বাঁধন ছিঁড়ে ছিঁড়ে
আমি উঠে বসেছি, পরিপূর্ণ-আনন্দে!
তখন সময়
নি:চিন্তে মুছে ফেলেছে আমাদের পদচিহ্ন ...
২৬.১০.২০১৪
একটা সুইসাইড নোট লিখতে হবে। এতে যেমন দায় চাপানো যায়, তেমন এড়ানোও যায়। আইনের ছাত্রী হিসেবে আমি জানি, আমার ইচ্ছামৃত্যুতে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হাসানকেই প্রথমে সব জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে। যদিও আমার পরিণতি বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল হাসানেরই। এই তো পরশু রাতে যখন স্টাডি রুমে এসে চেয়ারে বসে আছি আর জেল পেনে ডায়েরির ভাঁজে আঁকিবুকি করছি, হাসান পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে দ
উত্তর আমেরিকার গ্রীষ্মে লঅঅম্বা বিকালের পর ঝপ করে মাঝরাত হয়ে যায়। হোটেল রুমে ফিরতে ফিরতে ঝিঁঝিঁ ডাকা রাত নেমে এলো। জানালার ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার দেখে মন কেউ নেই কিছু নেই লাগতে লাগতেই ঘুমের রাজ্যে ডুব দিলাম। পরের দিন সকালেও যথারীতি জানালায় উঁকি দিয়ে হরিণ খোঁজা; ওয়াশরুম এর ভেতর থেকে ওগো শুনছো বলে হাঁক দিয়ে দরজা খোলানো; কটকটে লাল লিপস্টিপ দিয়ে সকালের নাস্তা খেতে নামা; স্ক্রাম্বলড এগ, টোস্ট, জ্যাম জেলি, ফ্রুটস, জ্যুস,হোম ফ্রাই, আর মন মাতানো সুগন্ধের রোস্টেড কফি দিয়ে ঠেসে নাস্তা করে তোড়জোড় করে ল্যাগেজ নামানো শুরু করলাম। ঝকঝকে সকালের রোদে ফিরে যাওয়ার বিষন্নতা আর স্বস্তির চনমনে গন্ধ।
অনেকদিন কিছু লিখি নাই। মাথায় ছুটে বেড়ানো এলোমেলোচিন্তাগুলিকে গুছিয়ে একটা প্যারাগ্রাফে বঁধার মতো স্থবিরতাও যদি মস্তিষ্ক আমায় অনুকম্পা করতো, হয়তো খসড়া অন্তত করতে পারতাম। কিন্তু সে আশা বৃথা। টুকিটাকি ভাবনা গুলো যেন বুদবুদ। বড় করতে গেলেই ঠুস ঠাস ফেটে যায়। নেহায়েত দু তিনটাকে যদি ব্লগের পাতায় এনে ফেলতে পারি, মন্তব্যে আলোচনায় হয়ত আরেকটু সমৃদ্ধ হতে পারে। এইসব আলগা ভাবনা অবজার্ভেশন কে এক সুতোয় বাঁধতে সিরি
সামনে তো ৩রা নভেম্বর আসছে। ১৯৭৫ সালের এইদিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকীয়তে এ নিয়ে তারপরের কয়েকদিনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল?
৪ থেকে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত পত্রিকাগুলো দেখলে জানা যায় মাত্র একবার একটি পত্রিকায় সুশীল টাইপ একটি সম্পাদকীয় এসেছিল। ৭ই নভেম্বর থেকে যেহেতু আবার দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় সেদিন বা এর পরে যদি না এসে সেটা না হয় মাফ করা যায়। কিন্তু তার আগে যে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদকরা এটি নিয়ে টুঁ শব্দটিও করলেন না এটি তো দেশের সাংবাদিকতা চর্চার ইতিহাসে একটি বড় কলংক। আজকে যখন প্রথম আলোর মতিউর রহমান বা ডেইলী স্টারের মাহফুজ আনামের দ্বিচারিতা আমরা দেখি তখন কি খুব বেশি অবাক হওয়া উচিৎ? তারা যে উত্তরাধিকার বহন করছেন সেটি কী খুব গৌরবজনক?
নিচে নিউজক্লিপগুলোতে আমি সম্পাদকীয়গুলো দিলাম। যেসব পত্রিকার কথা বলা হচ্ছে তাদের সম্পাদকরা ছিলেন নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী (দৈনিক বাংলা), আনোয়ার হোসেন (ইত্তেফাক), ওবায়দুল হক (অবজারভার) ও এনায়েতউল্লাহ খান (বাংলাদেশ টাইমস)।
৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭৫
এদিন কোন পত্রিকার সম্পাদকীয়তেই জেল হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু বলা হয় নি। সেদিন অবশ্য সংবাদ হিসেবেও এটি পত্রিকাগুলোতে আসেনি।
[justify]
ঘুম তাড়ানোর টোটকা হিসেবে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঝড়ের বেগে লেখা। গালমন্দ বেশি খেলে হয়তো আবার ঝড়ের বেগে মুছেও দিতে পারি।
কী আছে জীবনে, কন?
___________________________________
[right]'Death really did not matter to him but life did,
and therefore the sensation he felt when they gave their decision
was not a feeling of fear but of nostalgia...'
খন্দকার ঘাঁটতে ঘাঁটতে হয়রান হয়ে গেছি। তাই একটু বেতালের ব্লগর-ব্লগর। সামনে হরতালের ছুটি আছে, তখন নাহয় বকেয়া আদায় করে দেব। আজকে সুকুমার রায়ের জন্মদিবসে একটু গুরুভক্তি দেখাব ভাবছিলাম। কিন্তু আল-বদর প্রধান নিজামী’র রায়ের আনন্দে সব হ-য-ব-র-ল হয়ে গেল। তাই এই আবোল-তাবোল লেখা। এটি একান্তই ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারণ। স্মৃতির সাথে বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাস মেশাতে আসবেন না। বেশি মেশামেশির অভ্যাস থাকলে ব্লেন্ডারে আবেগের সঙ্গে যুক্তি মেশান।
১৯৯১ সালের ২৭শে মে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মনিরুজ্জামান মিঞার আমন্ত্রণে ক্যাম্পাসে গিয়ে ধোলাই খেয়েছিল। ভাবলাম সেদিনের নিউজ ক্লিপগুলো দিয়ে রাখি।
দৈনিক বাংলা
আজি হতে কত বর্ষ আগে?
সার্ধশতবর্ষ তো অবশ্যই।
১৮৯৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। অবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত 'ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন' নাট্যের একটি অঙ্কের পার্শ্বচরিত্র হিসেবে এসেছিলেন প্রথমবার।
দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে।
ভূমিকাঃ
কখনও ভ্রমণ কাহিনী লিখিনি। আমার দৌড় দুই-একটা ফুচকা টাইপের গল্প লেখা পর্যন্ত। সচলে দেখি অনেকেই সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। পড়ে বেশ আনন্দ পাই। সপ্তাহ খানেক আগে আমেরিকার পশ্চিম অংশের বিস্তীর্ণ এলাকার পাহাড়-পর্বত, এবং মরুভূমি দাবড়িয়ে এসে পেটের ভেতর ভ্রমণ কাহিনী লেখার তীব্র ইচ্ছা মোচড় দিয়ে উঠল। বাথরুম পর্ব শেষ করে দৌড়ে এসে টেবিলে আধুনিক কাগজ কলম মানে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। যেহেতু এ ব্যাপারে আমি একেবারেই নবীন তাই আশা করছি আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কেউ ক্ষমা অসুন্দর (!) দৃষ্টিতে দেখবেন না।