Archive - 2014

September 12th

তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়- ২

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৯/২০১৪ - ৭:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শরতের রাত দীর্ঘ তখন, বাংলাদেশ হলে হেমন্ত বলা যেত, উত্তরের দীর্ঘ সূর্যময় দিন আস্তে আস্তে গেরিলা আক্রমণে দখল করে নিচ্ছে আসন্ন শীতের অন্ধকার। সন্ধ্যা এখন ঝুলে থাকে আলোআধারির আকাশে দীর্ঘক্ষণ, রাত্রি দ্বি-প্রহরেও মৃদু আবছা আলো ফেরারি প্রেতাত্মার মত ঘুরে বেড়ায় ইতস্তত। জার্মান বন্ধু ম্যাথিয়াস গ্যাঞ্জারের সাথে গিয়েছি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে এক ফিনিশ হ্রদে। মাছ ধরায় ও রান্নায় দারুণ দড় ছেলেটা, প্রায়ই বিশাল সব পা


September 11th

জগতজ্যোতি, শেখ মুজিব ও অভিজাততন্ত্রের কালোজাদু

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৯/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
ছোট্ট করে জগতজ্যোতি দাসের কথা বলা যাক।
জগতজ্যোতি কোন মেজর, কর্ণেল, এয়ারমার্শাল কিংবা সৈনিক ও ছিলেন না। ছিলেন মাত্র একুশ বছরের এক সামান্য কলেজ ছাত্র। এই সামান্য ছেলেটা কী করেছিল- একটু মনে করা যাক। ভাটিবাংলার বিশাল হাওরবেস্টিত এলাকা- সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,হবিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি থানা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে। ৩৬ জনের দল নিয়ে তার বাহিনী ‘দাসপার্টি’ । সাব সেক্টর হেডকোয়ার্টার ছিলো তাহিরপুরের বড়ছড়া (টেকেরঘাট)। সেই তাহিরপুর থেকে জামালগঞ্জ, দিরাই, খালিয়াজুড়ি,মদন, মার্কুলি, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল হয়ে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সে ছোটে বেড়াতো দেশী নৌকা নিয়ে। মার্কুলির কাছে পাক আর্মির জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব তার। জগতজ্যোতির ও তার দাস পার্টির ভয়ে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হয় পাক আর্মি এবং এয়ারফোর্স সাপোর্ট সহ বিশেষ কমান্ডো টিম পাঠানো হয় শুধুমাত্র জগতজ্যোতিকে টার্গেট করে।
১৬ নভেম্বর ১৯৭১ শেষ যুদ্ধে শহীদ হবার পর তার লাশ প্রথমে আজমীরিগঞ্জ বাজারে পেরেক বিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো প্রদর্শনীর জন্য, তারপর নৌকায় করে ঘাটে ঘাটে দেখানো শেষে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো ভেড়ামোহনা নদীতে।


দ্য ডাচ্‌ ক্যপিটল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৯/২০১৪ - ৬:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তর সাগর থেকে ভেসে আসা নোনা বাতাস শ্যাওলা ধরা জাহাজের কাঠের পাটাতনে মিশে এক ধরনের স্যাতসেতে ঘ্রান তৈরী করে। কাঠের জাহাজ কালের কাছে বিলীন হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রচারী নীর্ভিক এক নাবিক জাতির জীবনসংগ্রামের এই ঘ্রান এখনও পাওয়া যায় সেই অঞ্চলে। এই ঘ্রান তারা জাহাজে করে বয়ে নিয়ে গিয়েছে আটলান্টিকের পশ্চিম প্রান্ত ধরে সোজা দক্ষিন দিকে। কাঠের জাহাজে ভেসে আরো পূব দিকের ভারত মহাসাগর ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়


September 10th

অচিন দেশে

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০১৪ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাস ছয়েক হয় সিডনী এসেছি, মোটামুটি খুঁটি গেড়ে বসার পরিকল্পনা নিয়ে। একটা স্থায়ী ঠিকানা দরকার, ভাসমান জীবন আর কতদিন? নিজের দেশে স্থায়ী ঠিকানা বানানোর চেয়ে চাঁদে যাওয়া আমার কাছে সোজা, কাজেই সে চেষ্টা থেকে অব্যাহতি নিয়েছি বহু আগেই। ছাপোষা মানুষের বিদেশ বিভুঁইয়েই ভরসা, যদি দু’দণ্ড সুখ মেলে!


September 9th

একটি হাউ-টু ব্লগঃ যেভাবে আপনার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাবেন-

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০১৪ - ১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুরু-
-----------------
গত বছর ডিসেম্বরে দেশে যাবার পরে একটা অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার হলো।

সারা দেশে তখন নির্বাচন পূর্ববর্তী আন্দোলন আর অবরোধ, সেই সাথে লেগে আছে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও...। দেশে যাবার আগে আগে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকেই বললেন এরকম পরিস্থিতিতে না যেতে, নির্বাচন শেষ হোক, পরিস্থিতি শান্ত হোক, তারপর যাওয়া যাবে।
আমি তেমন একটা গা করলাম না। নিজের দেশে যাচ্ছি, সেটার জন্যে আবার পরিস্থিতি বিবেচনা কী? অনেককেই দেখেছি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে যাবার আগে ‘ওয়েদার’এর খোঁজ নেন, তা না হলে দেশে গিয়ে অসুখে পড়েন, আমার এখনও এরকম হয়নি। একবার শুধু অতিরিক্ত নিমন্ত্রণের চাপে পেটের বারোটা বেজে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলাম কদিন, এ ছাড়া আমার এতদিনকার চিরচেনা ‘ওয়েদার’ কখনোই আমাকে বিপদে ফেলেনি। আর এইসব হরতাল, অবরোধ এসব তো আমাদের নির্বাচনী কালচার, ডরাইলেই ডর, নইলে তেমন কিছু না।


৭ই মার্চের সত্য ভাষণের খোঁজে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০১৪ - ১২:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১)

৭ মার্চের ভাষণের শেষে বঙ্গবন্ধু কী বলেছিলেন তা অডিও, ভিডিও, টেক্সট তিন ভার্সনেই সর্বত্র পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে সহজলভ্য। সবখানেই ভাষণ শেষ হয়েছে 'জয় বাংলা' দিয়ে। কিন্তু তবু বছরের পর বছর ধরে একটা বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ দাবী করছেন বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের শেষে 'জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন আবার কেউ নাকি শুনেছেন ‘জয় বাংলা, জিয়ে পাকিস্তান’। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেননি। রূপকথার গল্পের চরিত্রের মতো যা কিছু মানুষের কল্পনায় ঘুরপাক খায় শুধু।


দ্বিতীয় পৃথিবী

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রফিক হা করে সাবেরের দিকে তাকিয়ে থাকল। লোকটা নিজেকে সাবের হাসান নামে পরিচয় দিয়েছে। পদবী নিউ এরাইভ্যাল এডমিনসট্রেটর। সাবের মৃদু হেসে বলল,

আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না, না?

রফিক কি বলবে ভেবে পেল না। তার একবার মনে হয়েছিল এসব ভাওতাবাজি। কোথায় না কোথায় এসে পড়েছে। এরা তাকে ভোদাই বানিয়ে মজা নিচ্ছে। রফিক আমতা আমতা করে বলল,

না মানে...এ কি করে হয়? আমার বয়স কত বল্লেন?

সাবের বলল, পয়ত্রিশ বছর তিন মাস।

রফিক বলল, আমার জন্ম তারিখ ১৮-১০-১৯৭৭। ভাই, সে হিসাবে আমার বয়স চৌত্রিশ।

সাবের দৃঢ় গলায় বলল, আপনার বয়স পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। আমাদের মেশিন যেভাবে ক্যালিব্রেট করা আছে তাতে ২/১ মাসের হেরফের হতে পারে, কিন্তু এক বছর অনেক বড় ব্যাবধান। এত বড় ভুল হবার কথা নয়।

রফিকের ধাই করে তখন একটা জিনিস মনে পড়ে গেল। তার সার্টিফিকেটের বয়স আর সত্যিকারের বয়স এক নয়। সরকারি চাকুরির বয়সসীমা থাকার কারণে অনেকেই এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় বয়স কমিয়ে দেয়। তার বাবাও দিয়েছিল। সত্যিকারের বয়স হিসেব করলে তার বয়স দাঁড়ায় পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তার হাত ঘেমে গেল।


অনুবাদ প্রচেষ্টা-১

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৮:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খামারবাড়ির দেয়ালের উপর শরৎকালে সার বেঁধে কিছু পরিযায়ী পাখি বসে থাকত। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে কিচিরমিচির করে নানারকম গল্পগুজব করত, কিন্তু সবসময় গ্রীষ্ম, দক্ষিণের দেশ, চলমান শরৎকাল আর উত্তুরে হাওয়া কবে শুরু হবে সেটাই ছিল তাদের মূল ভাবনার বিষয়। একদিন ঠিক ঠিক তারা উধাও হয়ে গেল এবং খামারের সব হাঁস-মুরগীরা এই সব পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠল।

এসব দেখে একদিন খামারের একটি মুরগী ঘোষণা করল -“আগামী শীতে আমিও দক্ষিণের দেশে যাব।”


তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয় -১

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৭:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতের শুরু হয়েছে শরতের আগুন রূপকে হিমে মুড়ে। পাইন আর স্প্রুস বাদে বাকী সব গাছ ন্যাড়া হয়ে গেছে বেশ কসপ্তাহ আগে, তাদের পাতাহীন ডালে আলতো তুষার জমছে রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে, কিন্তু মণ মণ বরফ এসে তখনও চাপেনি গাছের কাঁধে আর মাটির বুকে। গাড়ী নিয়ে চলেছি শীতের হেলসিংকিতে কাজের ফাঁকে। তখন আঁধারের রাজ্য, বরফশুভ্রতা এসে আলোকিত করার অনেক আগেই পাতালের আঁধার এসে কালিমালিপ্ত করে উত্তরের বিকাল, সন্ধ্যে, রাত,