সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের কর্নেল সিরিজের একটা বইয়ে কাক সম্পর্কে দারুণ এক তথ্য পেয়েছিলাম। কাক নাকি তার বাসায় নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিস জড়ো করে। যেমন-- ভাঙা চুড়ি, কাঁচের টুকরো, ছোট-খাটো নাট-বল্টু। বইটা যখন পড়ছি তার কিছু দিন আগে খুব কাছ থেকে কাকের বাসার কিছু ছবি তুলেছিলাম। বইটা পড়ার সময় মনে হলো, দেখি না আমার ছবিতে এমন কিছু আছে কিনা। ছবি দেখে তাজ্জব! সত্যিই আমার এই প্রতিবেশী কাক মামারও তাদের বাসায় আজব একটা জিনিস সংগ্রহ করেছেন। পাঠক ছবিতে চোখ বুলিয়ে দেখুন, একটা পেঁচানো ইলেট্রিক তার অবহেলায় পড়ে রয়েছে কাকের বাসায়।
একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক (খুব সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে অর্থাৎ প্রশ্ন আর তার উত্তরের মাঝে কাউকে খুঁজতে যাওয়া অনেকটাই বোকামি। কারণ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যদি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন তাহলে শত প্রশ্ন করেও তাকে বের করা সম্ভব নয়। তারপরও লেখকের সততার উপর আমরা আস্থা রাখি বলে সাক্ষাৎকার গ্রন্থগুলো আমাদের প্রিয় পাঠ্য হয়ে ওঠে। একজন লেখককে অামরা সাধারণত দুভাবে চিনতে কিংবা জানতে পারি। এক তার লেখা আর
এককালে এসএসসি, এইচএসসি দিয়েছিলাম। গোল্ডেন কোনটাতেই পাইনি, দুক্ষেত্রেই দুটো করে মিস গিয়েছিলো। ইন্টারে আবার ইংরেজিতে এ-প্লাস তো অনেকদূর, এ মাইনাস পেয়েছিলাম। এখনকার কথা ভাবলে গা শিউরে ওঠে! পরে কিন্তু জিআরই ভার্বাল আর আইএলটিএসে খারাপ করিনি (আর আমার এ-প্লাস পাওয়া বন্ধুগণ কি করেছে, সে নাহয় নাই বললাম)
কোনমতে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরেছিলাম, ১৮ দরকার ছিল, পরীক্ষা দিতে বসতে, আমার ছিলো সাড়ে আঠারো। আজকাল ভাবলেই মনে হয়, বিরাট বাঁচা বেচে গেছি! এখন যে পরিমাণ এ-প্লাসের ছড়াছড়ি, তাও আবার গোল্ডেন!
আমার সময়ের গোল্ডেন-ওয়ালারা কোথায়? আমি বলতে পারি, ৫০% বুয়েট-মেডিকেলে পড়ে, খেয়ে-পরে ভালই আছে। আর বাকি ৫০%? আমার কোন ধারণা নেই, তারা কই গেছে কে জানে। সেই ১০-১২ বছর আগের সেই নাক-উঁচু গোল্ডেন এ-প্লাসরাই যদি হারিয়ে যেতে পারে, তাহলে আজকের কাঁচকি মাছের ঝাঁকে ঝাঁকে মত এ-প্লাসেরা কই যাবে?
কোন ভাষায় বর্ণমালার সবগুলো বর্ণ সমান হারে ব্যবহার হয়না। যারা একটু খোঁজ-খবর রাখে তার চট করে বলে দিতে পারবে ইংরেজি ভাষায় সর্বাধিক ব্যবহৃত বর্ণ হল E, তার পর পুনরাবৃত্তির ক্রম ধরে একে একে আসে T, A, O, I ইত্যাদি। যারা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা Letter Frequency নিয়ে অন্তর্জালে সন্ধান করতে পারেন।
মধ্য দুপুরের ভয়ংকর রোদ। ঘোড়াটা থেমে থেমে চিঁহি আওয়াজ করছে। তেষ্টা পেয়েছে মনে হয়।
মুকুন্দরাম হাতের তালুর উলটা পিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিলেন। মুখটা তেতো হয়ে আছে, সকাল থেকে কিছু পেটে পড়েনি। সেই গত সন্ধ্যায় একটা পাখি ঝলসে খেয়েছিলেন চান্দার ঝিলের ধারে, এরপরে একটানা পথচলা। এলাকা সুবিধার না, আরো কিছুদূর যেতে হবে তবেই নিরাপদ জায়গা শুরু। থামা চলবে না, সে যতই তেষ্টা পাক।
তবে প্রস্রাবের বেগ ধরেছে, কোথাও থেমে নেয়া জরুরী। খামোকা চুড়িদার ভিজানোর মানে হয়না।
দুপুর প্রায় ১২:৩০টা বাজছে। কমপক্ষে ২০ মিনিট হোল হাফিজ সাহেবের গাড়ি মোটামুটি একই জায়গায় দাঁড়ানো। স্কুল ছুটির কাছাকাছি সময়ে এই রাস্তাটায় আসাই ভুল হয়ে গেছে আসলে।
১
লিস্ট। যা যা কিনতে হবেঃ
১) চা।
২) দুধ।
৩) সকালের নাস্তাঃ ব্যাগল এবং ক্রিম চীজ।
৪) এনভেলপ।
৫) অরেঞ্জ জুস।
৬) মাংসঃ গরু এবং মুরগী দুইটাই।
৭) হলুদ।
৮) ডিশ ওয়াশিং সোপ।
৯) পেঁয়াজ।
১০) গার্বেজ ব্যাগ।
দুবাইয়ের দুবাই হয়ে উঠার পিছনে যেটির সবচেয়ে বড় অবদান তা হলো দুবাই ক্রিক (খোর দুবাই)। আমাদের দেশের ছোট খাটো একটা খালের মতই হবে এর বিস্তৃতি - কিন্তু এই খাল বা খাড়ি তিল তিল করে গড়ে তুলেছে এই শহরকে। আরব সাগর থেকে বাঁক খেয়ে দুবাইতে ঢুকে প্রায় ১৫-২০ মাইলের মত এই ক্রিক বা খাড়িকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল দুবাইয়ের সব ব্যবসা - এখনো চলছে।
[justify]সচলায়তনে এবার হাজির হলাম আমার দ্বিতীয় পোষ্ট নিয়ে। যথারীতি ভ্রমণ বিষয়ক পোষ্ট। আজ লিখছি রাঙামাটি জেলার অন্তর্গত ‘কাপ্তাই’ উপজেলা নিয়ে। প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক রাঙামাটি গেলেও কাপ্তাইকে কেন যেন অনেকেই অবহেলার চোখে দেখেন। তাই কাপ্তাই না দেখেই তারা বাড়ির পথ ধরেন। যদিও কাপ্তাইয়ে ছোট বড় বেশ কিছু ট্যুরিষ্ট স্পট গড়ে উঠেছে আগেই। যা সৌন্দর্যের দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী। এমনকি এ স্পটগুলো সারাদিন
তোমার বাড়িটা দুপুরের রেলগাড়ির মত,
মৌমাছির ব্যস্ত গুঞ্জন, ডেকচির বাষ্পীয় শিস
শিশিরের কীর্তিকলাপ প্রপাতের স্বর হয়ে ঝরে,
তোমার গলায় বেজে ওঠে তালগাছের উৎফুল্লতা।
হালকা নীল দেয়ালটি, গ্রামীণ ডাকপিওনের মত
গেয়ে-ওঠা টেলিগ্রাম হাতে, পাথরের ওপর ঝুঁকে কথা বলে,
আর ওই ওখানে, দুটো ডুমুর গাছের সবুজ ধ্বনিময়তার মাঝখানে,
নিঃশব্দে হেঁটে যান হোমার।
এখানে নেই নাগরিক ধ্বনি, নেই কান্না,